হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৩৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে

২৩৮৪-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ বিছানায় ঘুমানোর সময় যেন নিজের পরিধেয় বস্ত্রের ভিতর দিক দিয়ে বিছানা ঝেড়ে নেয়। কেননা সে জানে না, তারপর বিছানায় কি এসে পড়েছে। অতঃপর সে যেন এ দু’আ পড়ে,

’’বিস্‌মিকা রব্বী ওয়া য’তু জাম্‌বী ওয়াবিকা আরফা’উহ ইন্ আম্‌সাকতা নাফসী ফারহাম্‌হা- ওয়া ইন্ আরসালতাহা- ফাহফাযহা- বিমা- তাহফাযু বিহী ’ইবা-দাকাস্ স-লিহীন’’

(অর্থাৎ- হে রব! তোমার নামে আমার দেহ রাখলাম এবং তোমার নামেই আবার তা উঠাব। যদি তুমি আমার আত্মাকে (মৃত্যু হতে) ফিরিয়ে রাখো, তবে তুমি আমার আত্মার উপর দয়া করো। আর যদি একে ছেড়ে দাও, তাহলে এর রক্ষা করো, যা দিয়ে তুমি তোমার নেক বান্দাদেরকে রক্ষা করে থাকো।)। অন্য এক বর্ণনায় আছে, অতঃপর সে যেন নিজের ডান পাশে ঘুমায়, তারপর বলে, ’’বিসমিকা’’ (অর্থাৎ- তোমারই নামে)। (বুখারী, মুসলিম) [1]

অন্য আর এক বর্ণনায় আছে, ’’তারপর সে যেন পরিধেয় বস্ত্রের ভিতরের দিক দিয়ে (বিছানা) তিনবার ঝেড়ে নেয়, আর তুমি যদি আমার আত্মাকে রেখে দাও, তবে ক্ষমা করে দিও।’’

بَابُ مَا يَقُوْلُ عِنْدَ الصَّبَاحِ وَالْمَسَاءِ وَالْمَنَامِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَوَى أَحَدُكُمْ إِلَى فِرَاشِهِ فَلْيَنْفُضْ فِرَاشَهُ بِدَاخِلَةِ إِزَارِهِ فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ ثُمَّ يَقُولُ: بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أرفعه إِن أَمْسَكت نَفسِي فارحمهما وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ . وَفِي رِوَايَةٍ: ثُمَّ لْيَضْطَجِعْ عَلَى شِقِّهِ الْأَيْمن ثمَّ ليقل: بِاسْمِك وَفِي رِوَايَةٍ: «فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ ثَوْبِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَإِن أَمْسَكت نَفسِي فَاغْفِر لَهَا»

ব্যাখ্য: ‘আল্লামা কারী (রহঃ) বলেনঃ তদানীন্তন সময়ে ‘আরবদের নিকট লুঙ্গি বা চাদর ছাড়া অন্য কোন কাপড় ছিল না বিধায় বিছানা ঝাড়া বা পরিষ্কার করার সাথে পরিধেয় বস্ত্রকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আর এটাই সহজ ছিল এবং এতে আবরু খুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও এতে কম থাকে। ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ বিছানায় যাওয়ার পূর্বে তা ঝাড়া মুস্তাহাব। কেননা তাতে সাপ, বিচ্ছু বা অন্য কোন কষ্টদায়ক বস্ত্ত থাকতে পারে যা সে জানে না, কাজেই বিছানা ঝাড়াটা জরুরী। আর পরিধেয় বস্ত্র দ্বারা হাত আবৃত থাকবে যাতে বিছানায় খারাপ কিছু থাকলেও তা দ্বারা অনিষ্ট সাধিত না হয়।

উল্লেখ্য যে, আলোচ্য হাদীসটি আল্লাহ তা‘আলার কথারই সমর্থক।

اللّٰهُ يَتَوَفَّى الْأَنْفُسَ حِيْنَ مَوْتِهَا وَالَّتِىْ لَمْ تَمُتْ فِىْ مَنَامِهَا فَيُمْسِكُ الَّتِىْ قَضٰى عَلَيْهَا الْمَوْتَ وَيُرْسِلُ الأُخْرٰى إِلٰى أَجَلٍ مُّسَمًّى

অর্থাৎ- ‘‘আল্লাহ তা‘আলা মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না তার নিদ্রাকালে.....।’’ (সূরা আয্ যুমার ৩৯ : ৪২)