হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৩২৪

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্

২৩২৪-[২] আগার আল মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার অন্তরে মরিচা পড়ে, আর (ওই মরিচা পরিষ্কার করার জন্য) আমি দিনে একশ’বার করে ইস্তিগফার করি। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْاِسْتِغْفَارِ وَالتَّوْبَةِ

وَعَنِ الْأَغَرِّ الْمُزَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْم مائَة مرّة» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: কারী বলেন, ‘আরবদের মাঝে বলা হয় غين عليه অর্থাৎ- বস্ত্তটি তার উপর আচ্ছাদন করে নিয়েছে।

(عَلٰى قَلْبِىْ) অর্থাৎ- যা অন্তরকে আচ্ছাদন করে নেয়, ভুল এবং খাদ্য সম্বন্ধীয় বিষয়, জৈবিক চাহিদা সম্বন্ধীয় বিষয় ও অনুরূপ চাহিদা সম্বন্ধীয় বিষয় নাফসের অনুকূলের দিকে দৃষ্টি দেয়ার কারণে যা হতে মানুষ মুক্ত থাকতে পারে না। নিশ্চয়ই তা আবরণ ও মেঘমালার মত যা অন্তরকে আচ্ছাদন করে নেয় ফলে তার মাঝে ও উচ্চ পরিষদবর্গের মাঝে আড়াল সৃষ্টি করে, অতঃপর অন্তর স্বচ্ছকরণ ও আচ্ছাদনকে দূরীকরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর তা যদিও গুনাহ নয় কিন্তু তা তার সমস্ত অবস্থার প্রতি সম্বন্ধ করে ঘাটতি ও মানবিক নিম্ন অবস্থার দিকে অবতরণ যা গুনাহের সাথে সাদৃশ্য রাখে ফলে তার পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করা উপযোগী হয়ে যায়।

‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমি বলব, বিদ্বানগণ এ হাদীসের অর্থ বর্ণনা ও ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে নিশ্চল হয়ে গেছেন। এমনকি ইমাম সুয়ূত্বী বলেন, এ হাদীস মুতাশাবিহ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত যার অর্থ জানা যায় না। এ হাদীসের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আসমা‘ঈ অভিধানের সামনে থমকে গেছেন এবং বলেছেন, ব্যাপারটি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তর ছাড়া অন্যের অন্তর সম্পর্কে হত, অবশ্যই তার ব্যাপারে আমি উক্তি করতাম এবং তার ব্যাখ্যা করতাম তবে ‘আরবগণ الغين বলতে পাতলা মেঘমালাকে বুঝায়।

সিনদী বলেন, এর প্রকৃত রূপকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে জানা যায় না, আর নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মান অনেক ধারণাতে যা জাগ্রত হয় তার অপেক্ষা মহত্তর ও সুমহান। সুতরাং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে তা সোপর্দ করে দেয়াই উত্তম। আর তা হল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ একটি অবস্থা অর্জন হত যা ক্ষমা প্রার্থনার দিকে আহবান করত। অতঃপর তিনি প্রত্যেক দিন একশতবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। সুতরাং তিনি ছাড়া অন্যের ক্ষেত্রে কি পরিমাণ ক্ষমা প্রার্থনা করা প্রয়োজন হতে পারে? এ বিষয়ে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।

(فِى الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ) মানাবী বলেন, এখানে مائة বা শতবার দ্বারা আধিক্যতা বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এটি سبعين বর্ণনার পরিপন্থী নয়।