হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৩১০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্‌দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব

২৩১০-[১৭] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই এবং আল্লাহ সুমহান) বলেন, আল্লাহ তা’আলা তার কথা সমর্থন করে বলেন, হ্যাঁ, ’’লা- ইলা-হা ইল্লা- আনা-, ওয়া আনা- আকবার’’ (অর্থাৎ- আমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই এবং আমি অতি মহান)। আর যখন বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শারীক নেই)। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লা- আনা- ওয়াহদী, লা- শারীকা লী’’ (অর্থাৎ- হ্যাঁ, আমি একক, আমার কোন শারীক নেই)। আর যখন কোন বান্দা বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই, তাঁরই রাজ্য ও তাঁরই প্রশংসা)। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লা- আনা- লিয়াল মুলকু ওয়া লিয়াল হামদু’’ (অর্থাৎ- হ্যাঁ, আমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই, আমারই রাজ্য এবং আমারই প্রশংসা)।

কোন বান্দা যখন বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়ালা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই এবং আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কোন উপায় ও শক্তি নেই)। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’লা- ইলা-হা ইল্লা- আনা- লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বী’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা’বূদ নেই এবং আমার সাহায্য ছাড়া কারো কোন উপায় ও শক্তি নেই)। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলতেন, যে ব্যক্তি এসব কালিমাগুলো নিজের অসুস্থতার সময়ে পড়ে, তারপর মৃত্যুবরণ করবে, সে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা পাবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ صَدَّقَهُ رَبُّهُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا وَأَنَا أَكْبَرُ وَإِذَا قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ يَقُولُ اللَّهُ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا وَحْدِي لَا شَرِيكَ لِي وَإِذَا قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا لِيَ الْمُلْكُ وَلِيَ الْحَمْدُ وَإِذَا قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا الله وَلَا وحول وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِي وَكَانَ يَقُولُ: «مَنْ قَالَهَا فِي مَرَضِهِ ثُمَّ مَاتَ لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যা: (وَعَنْ أَبِىْ سَعِيدٍ وَأَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَا: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ) তিরমিযী, ইবনু মাজাহ ও হাকিমে আছে, নিশ্চয়ই তারা উভয়ে আল্লাহর রসূলের কাছে পৌঁছল, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ..... শেষ পর্যন্ত। ইবনুত্ তীন বলেন, এ শব্দের মাধ্যমে বর্ণনার তাকীদ নিয়ে এসেছেন, আমি বলব, এটি হল হাদীস আদায়ের ধরন। সুয়ূত্বী তাদরীবুর্ রাবী কিতাবের ১৩৫ পৃষ্ঠাতে বলেন, রামহুরমুযী হাদীস আদায় ও গ্রহণের শব্দসমূহের শ্রেণী বিন্যাসের ক্ষেত্রে একাধিক অধ্যায় বেঁধেছেন। সে অধ্যায়গুলো থেকে একটি হল, শাহাদাত শব্দকে নিয়ে আসা যেমন আবূ সা‘ঈদ-এর উক্তি আমি আল্লাহর রসূলের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি جر (জার) বা কলসিতে নাবীয ভিজানো থেকে নিষেধ করেছেন। ‘আবদুল্লাহ বিন ত্বাউস-এর উক্তি আমি আমার পিতার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই তিনি বলেনঃ আমি জাবির বিন ‘আবদুল্লাহ-এর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই তিনি বলেনঃ আমি আল্লাহর রসূলের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই তিনি বলেনঃ আমি মানুষের সাথে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। ইবনু ‘আব্বাস-এর উক্তি আমার নিকট কিছু সন্তুষ্টচিত্ত লোক সাক্ষ্য দিল এবং আমার কাছে তাদেরকে সন্তুষ্ট করল। ‘আসরের এবং ফজরের পরে সালাতে।

(صَدَّقَه رَبُّه) অর্থাৎ- তার পালনকর্তা তার কথার সমর্থন বর্ণনা করতে যেয়ে বলেন, (لا إله إلا أنا وأنا أكبر) কারীর উক্তি ‘‘এ পদ্ধতি আমি সত্যায়ন করেছি’’ বলা অপেক্ষা পরিপূরক। তিরমিযীতে আছে (صدقة ربه وقال) অর্থাৎ- (قال) এর পূর্বে (واو) বৃদ্ধি করে। তারগীবে আছে, (صدقة ربه فقال) অর্থাৎ- (واو) বর্ণের পরিবর্তে (فاء) বর্ণ দ্বারা, ইবনু মাজাতে আছে বান্দা যখন (لا إله إلا الله الله أكبر) বলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন আল্লাহ ‘আযযা ওয়াজাল্লা বলেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আমিই সর্বাধিক বড়।

(لَمْ تَطْعَمْهُ النَّارُ) অর্থাৎ- আগুন তাকে স্পর্শ করবে না অথবা তাকে জ্বালিয়ে দিবে না। অর্থাৎ- তাকে খাবে না। অর্থের আধিক্যতা বুঝানোর জন্য খাদ্যকে জ্বালিয়ে দেয়ার অর্থে (استعارة) করা হয়েছে যেন মানুষ তার খাদ্য যাকে সে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং এর মাধ্যমে শক্তি অর্জন করে। ইবনু মাজাতে আছে, এ শব্দগুলো যাকে মৃতের সময় দান করা হবে আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। সিনদী বলেন, এ শব্দগুলো যাকে তার মৃত্যুর সময় দান করা হবে এবং এগুলো বলার তাওফীক যাকে দেয়া হবে আগুন তাকে স্পর্শ করবে না বরং শুরুতেই পুণ্যবানদের সাথে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

হাদীসে ঐ ব্যাপারে প্রমাণ রয়েছে যে, হাদীসে এ উল্লেখিত শব্দসমূহ বান্দা যখন তার ঐ অসুস্থতাতে বলবে এবং ঐ শব্দসমূহের উপর ঐ অসুস্থতাতে মারা যাবে, অর্থাৎ- সুস্থ বিবেকে এ শব্দসমূহ তার শেষ কথা হবে তাহলে আগুন তাকে স্পর্শ করবে না এবং তার কৃত অবাধ্যতার কাজ তার কোন ক্ষতি করবে না। নিশ্চয়ই এ শব্দাবলী সমস্ত গুনাহকে ক্ষমা করে দিবে।