হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২২৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ

২২৭৬-[১৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর জিকির ছাড়া বেশি কথা বলো না। কেননা আল্লাহর জিকির ছাড়া অন্য কথা বেশি বলা হৃদয় কঠিন হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর শক্ত হৃদয়সম্পন্ন ব্যক্তিই হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা হতে সবচেয়ে বেশি দূরে। (তিরমিযী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُكْثِرُوا الْكَلَامَ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ فَإِنَّ كَثْرَةَ الْكَلَامِ بِغَيْرِ ذِكْرِ اللَّهِ قَسْوَةٌ لِلْقَلْبِ وَإِنَّ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنَ اللَّهِ الْقَلْبُ الْقَاسِي» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (لَا تُكْثِرُوا) আল্লাহর জিকিরে বেশি কথা বলা লাগলে ভাল। তবে জিকিরুল্লাহ ব্যতীত অন্য প্রসঙ্গে অত্যধিক হারে কথা বলো না। কেননা, জিকিরুল্লাহ ব্যতীত বেশি কথা হলো অন্তরের কর্কশতার প্রমাণ।

ইমাম নাবাবী (রহঃ) ও ইমাম মুনযীরী বলেন, হাদীসটির মধ্যে একটু ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, অহেতুক কথা একটু বলা যেতে পারে যেহেতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বেশি হারে অহেতুক কথা বলো না। তবে বিরত থাকা অবশ্যই ভাল।

(وَإِنَّ أَبْعَدَ النَّاسِ مِنَ اللّٰهِ الْقَلْبُ الْقَاسِي) এখানে কলব তথা অন্তর বলে মূলত অন্তরের অধিকারী তথা মানুষকে বুঝানো হয়েছে। ‘যেমন বলা হয়ে থাকে’ অংশবিশেষ উল্লেখ করে পুরোটাকে উদ্দেশ্য করা।

অথবা কলব মানেই ব্যক্তি নেয়া যেতে পারে।

 যেমন বলা হয়ে থাকে (المرأ بأصغريه أي بقلبه ولسانه) তথা মানুষ হচ্ছে তার ছোট দু’টি বস্ত্তর সমন্বয় এক তার অন্তর দুই তার জিহবা।

 মোট কথা হলো, অন্তর কঠিন হয়ে গেলে আমাদের জন্য তা অকল্যাণ ডেকে আনবে। যেমনঃ মহান আল্লাহ বলেন,

ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً

‘‘অনন্তর পরবর্তী তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল যেন তা পাথরের মতো তার চেয়ে বেশি কঠিন।’’ (সূরা আল বাকারাহ্ ২ : ৭৪)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ