হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২২৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ

২২৭৪-[১৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন দল কোন মাজলিসে বসল অথচ আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করল না এবং তাদের নবীর প্রতিও দরূদ সালাম পাঠাল না। নিশ্চয়ই তাদের জন্য এটা ক্ষতির কারণ হলো। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তিও দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

ব্যাখ্যা: (وَلَمْ يُصَلُّوا عَلٰى نَبِيِّهِمْ) এখানে ‘আম তথা কথাকে প্রথমে ব্যাপকভাবে বলে পরে খাস তথা নির্দিষ্টকরণের দিকে যাওয়া হয়েছে, অর্থাৎ- প্রথমে বলা হলো যেখানে আল্লাহর জিকির করা হয়নি, পরে আবার বলা হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাত আদায় করা হয়নি। অথবা জানি নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর সালাত আদায় করাও যিকিরের একটা অংশ বিশেষ। সুতরাং প্রথমে ব্যাপকভাবে বলে পরবর্তীতে খাস করার মাধ্যমে নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের বিষয়টিকে বেশি গুরুত্বারোপ করা হলো।

(وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ) আল্লাহ যদি চান তাহলে তিনি তাদেরকে মাফ করে দিবেন তবে এমন কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে থাকলে বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নিতে থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ