হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২২১০

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)

২২১০-[২৪] ’উবায়দাহ্ আল মুলায়কী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি ছিলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচর। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে কুরআনের বাহকগণ! কুরআনকে তোমরা বালিশ বানাবে না। বরং তা তোমরা রাতদিন তিলাওয়াত করার মতো তিলাওয়াত করবে। কুরআনকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে সুর করে পড়বে। কুরআনের বিষয়বস্ত্ত সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে পড়বে। তাহলেই তোমরা সফলতা অর্জন করবে। দুনিয়ায় এর প্রতিফল পাবার জন্য তাড়াহুড়া করো না। কারণ আখিরাতে এর উত্তম প্রতিফল রয়েছে। (বায়হাক্বী- শু’আবূল ঈমান)[1]

وَعَنْ عُبَيْدَةَ الْمُلَيْكِيِّ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ لَا تَتَوَسَّدُوا الْقُرْآنَ وَاتْلُوهُ حَقَّ تِلَاوَتِهِ مِنْ آنَاءِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَفْشُوهُ وَتَغَنُّوهُ وَتَدَبَّرُوا مَا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ وَلَا تَعْجَلُوا ثَوَابَهُ فَإِنَّ لَهُ ثَوَابًا» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان

ব্যাখ্যা: কুরআনকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করা কুরআনের মর্যাদার পরিপন্থী। কুরআনকে বালিশ হিসেবে গ্রহণ করা তার প্রতি অমনোযোগিতা, অলসতা অসম্মানের পরিচয়। কারণ যে ব্যক্তি কুরআনকে বালিশ করে অথবা বালিশের নিচে রেখে ঘুমায় সে যেন কুরআন তিলাওয়াত, হিদায়াত ও এর দ্বারা উপকার সাধন করা থেকে বিমুখ হল। তাই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের ধারক বাহককে মাথার নিচে কুরআন দিয়ে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন।

কারী বলেছেন, তোমরা কুরআনকে বালিশ করো না। কেননা এরূপ করলে কুরআনের হক আদায়ে তোমরা অলস এবং অমনোযোগী হয়ে পড়বে। বরং কুরআন জেনে, বুঝে, ‘আমল করে, তিলাওয়াত করে এর হক আদায়ে ব্রতি হও। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনকে দিনে রাতে যথাযথভাবে তিলাওয়াত করতে ও এর অনুসরণ করতে বলেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো নির্দেশ দিয়েছেন যে, কুরআন জানা ব্যক্তিরা যেন কুরআনকে শোনান, শিক্ষা দেয়া, লিখা, ব্যাখ্যা করা, চর্চা করা ও তার প্রতি ‘আমল করার মাধ্যমে প্রচার করে। আর তারা যেন সুন্দর কণ্ঠে তিলাওয়াত করে এবং এর মর্মার্থ অনুধাবন করে পরকালে এর জন্য সাওয়াবের আশা করে। কারণ এর দ্বারা দুনিয়াতে পারিশ্রমিক গ্রহণ করা যাবে না। পরকালে এর সাওয়াব বিশাল বড়।

أهل القرآن -কে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো এই যে, কুরআন জানা ব্যক্তির ওপর এর দায়িত্ব বেশি। কারণ অন্যদের তুলনায় তারা কুরআন হক সম্পর্কে বেশি অবগত। তাই তাদের ওপর এটা ওয়াজিব।

অথবা এর দ্বারা মু’মিনগণ উদ্দেশ্য। কেননা তাদের কমপক্ষে অল্প হলেও কুরআন জানা থাকে। অথবা এর দ্বারা কুরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী উদ্দেশ্য।