হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২১৮১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৮১-[৭৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে ’’সূরা আল ওয়াকি’আহ্’’ তিলাওয়াত করবে, সে কখনো অভাব অনটনে পড়বে না। বর্ণনাকারী ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ তাঁর কন্যাদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সূরা তিলাওয়াত করতে বলতেন। (ইমাম বায়হাক্বী শু’আবূল ঈমান-এ বর্ণনা করেছেন)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْوَاقِعَةِ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ لَمْ تُصِبْهُ فَاقَةٌ أَبَدًا» . وَكَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يَأْمُرُ بَنَاتَهُ يَقْرَأْنَ بهَا فِي كل لَيْلَة. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের ব্যাখ্যায় মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, অভাব এবং দারিদ্র্যতা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যদি অভাব এসেই পড়ে তবে তাকে সবরে জামীল দান করা হবে। আর এর বিনিময়ে তাকে মহান পুরস্কারের ওয়া‘দা দেয়া হয়। অথবা এর অর্থ হলো তাকে কখনো অন্তরের অভাবী করা হবে না, (বলা হয় অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী)। যখন তার অন্তরের প্রশস্ততা দান করা হবে এবং তার রবের মারিফাত ও তার ওপর তাওয়াক্কুলের শক্তি দান করা হবে, তখন সে তার সকল কর্ম আল্লাহর দিকে সোপর্দ করবে এবং আল্লাহর দেয়া অবস্থাকে হাসি মনে গ্রহণ করে নিতে পারবে। ফরে তার অভাব আর অভাব মনে হবে না।