হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২১৭৩

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২১৭৩-[৬৫] জুবায়র ইবনু নুফায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরা আল বাকারাকে আল্লাহ তা’আলা এমন দু’টি আয়াত দ্বারা শেষ করেছেন, যা আমাকে আল্লাহর ’আরশের নীচের ভাণ্ডার হতে দান করা হয়েছে। তাই তোমরা এ আয়াতগুলোকে শিখবে। তোমাদের রমণীকুলকেও শিখাবে। কারণ এ আয়াতগুলো হচ্ছে রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের উপায়। (দীন দুনিয়ার সকল) কল্যাণলাভের দু’আ। (মুরসালরূপে দারিমী বর্ণনা করেছেন)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

وَعَن جُبَير بن نفير رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهَا صَلَاةٌ وقربان وَدُعَاء» . رَوَاهُ الدِّرَامِي مُرْسلا

ব্যাখ্যা: সূরা আল বাকারার শেষ দু’টি আয়াত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, সুতরাং প্রত্যেকের উচিত সেটা নিজে শিক্ষা করা এবং স্বীয় স্ত্রীকে শিক্ষা দেয়া। হাকিম-এর এক বর্ণনায় নিজের সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার কথাও এসেছে। এটা ‘আরশে ‘আযীমের নিচের বিশেষ ধন-ভাণ্ডার থেকে অবতীর্ণ হয়েছে।

এ দু’টি আয়াতকে সালাত বলা হয়েছে, সালাত অর্থ এখানে ‘রহমতুন খাসসাতুন’, অর্থাৎ- বিশেষ রহমাত, অথবা রহমাতুন ‘আযীমাতুন মহা-রহমাত। কেউ কেউ এটাকে ইস্তিগফার অর্থেও ব্যবহার করেছেন। মুল্লা ‘আলী কারী এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কেননা ইস্তিগফার অর্থ হলো ক্ষমার জন্য দু‘আ। এ দু’টি আয়াতকে আরো বলা হয়েছে (قُرْبَانٌ) কুরবা-নুন, (وَدُعَاءٌ) ওয়া দু‘আউন।

‘কুরবান’ এর অর্থ নিকটে হওয়া অথবা ما يتقرب به إلى الله تعالى অর্থাৎ- এমন জিনিস যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। কোন কোন হাদীসে قُرْبَانٌ এর স্থলে قُرْاٰنٌ শব্দ রয়েছে।

মোটকথা মুসল্লি এ দু’টি আয়াত সালাতে পাঠ করবে, আর সালাতের বাইরে কুরআন তিলাওয়াতকালে এ দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করবে। দু‘আকারী এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দু‘আও করবে।