হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২১২৬

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১২৬-[১৮] আবূ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَفِظَ عشر آيَات من أول سُورَة الْكَهْف عصم من فتْنَة الدَّجَّال» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: সূরা আল কাহাফ-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থকারী দাজ্জাল থেকে নিরাপদ থাকবে, এর অর্থ হলোঃ সে দাজ্জালের ফিৎনা ও অনিষ্টতা থেকে নিরাপদ থাকবে। ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, কেউ কেউ বলেছেন, এর শুরুতে আযায়িব বা বিস্ময়কর বিষয়সমূহ এবং আয়াত বা আল্লাহর বিশেষ নিদর্শনের কথা বিধৃত হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি ঐগুলো নিয়ে গভীর চিন্তা-গবেষণা করবে সে দাজ্জালের ফিৎনায় পতিত হবে না।

‘আল্লামা ত্বীবী বলেন, (এ সূরায় বর্ণিত বিস্ময়কর ঘটনা) যুবকেরা যেমন স্বেচ্ছাচার যালিম বাদশাহের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা (ঐ দশ আয়াত) পাঠকারীকে যালিমের হাত থেকে অথবা সৃষ্টির অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন।

সহীহ মুসলিম ও সুনান আবী দাঊদ-এর বর্ণনায় সূরা কাহাফ-এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিরমিযীর বর্ণনায় তিন আয়াত পড়ার কথা বলা হয়েছে। দুই রকম বর্ণনার মাঝে সমাধান এভাবে দেয়া যায় যে, দশ আয়াত সংক্রান্ত হাদীসটি পরে বর্ণিত হাদীস। সুতরাং এটার উপর ‘আমল করতে হবে। যে দশের ‘আমল করবে সে তিনের ফাযীলাত অবশ্যই পাবে। অথবা তিনের হাদীস-ই পরের হাদীস, তিন আয়াত পাঠ করে যদি নিরাপদ হয়ে যায় তাহলে দশ আয়াত পাঠের কোন প্রয়োজন নেই। আবার কেউ বলেছেন, দশ আয়াতের হাদীস হলো মুখস্থ করার ক্ষেত্রে আর তিন আয়াতের হাদীস হলো দেখে দেখে পাঠের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, দশ আয়াত আর তিন আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বেশি সংখ্যার উপর ‘আমল করাই আবশ্যক। সুতরাং প্রথমের দশ আয়াত পাঠ করবে। আরেকটি বিষয় জ্ঞাতব্য যে, কোন হাদীসে সূরা আল কাহাফ-এর শেষ দশ আয়াতের কথা বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আহমাদ, মুসলিম, আবূ দাঊদ, নাসায়ী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

উভয় হাদীসের সমন্বয়ে ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, তিলাওয়াতকারী সূরার শুরু থেকে দশ আয়াত এবং শেষ থেকে দশ আয়াত পাঠ করবে। আর যে ব্যক্তি চায় সকল হাদীসের উপর তার ‘আমল হোক সে যেন পূর্ণ সূরাটাই তিলাওয়াত করে নেয়।