হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২১১০

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১১০-[২] ’উকবাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (একদিন) মসজিদের প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। এ সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আসলেন ও (আমাদেরকে) বললেন, তোমাদের কেউ প্রতিদিন সকালে ’বুত্বহান’ অথবা ’আক্বীক’ বাজারে গিয়ে দু’টি বড় কুঁজওয়ালা উটনী কোন অপরাধ সংঘটন ও আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ছাড়া নিয়ে আসতে পছন্দ করবে? এ কথা শুনে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের প্রত্যেকেই এ কাজ করতে পছন্দ করবে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদি তা-ই হয় তাহলে তোমাদের কেউ কোন মসজিদে গিয়ে সকালে আল্লাহর কিতাবের দু’টি আয়াত (মানুষকে) শিক্ষা দেয় না বা (নিজে) শিক্ষাগ্রহণ করে না কেন? অথচ এ দু’টি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য দু’টি উটনী অথবা তিনটি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য তিনটি উটনী অথবা চারটি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য চারটি উটনীর চেয়েও উত্তম। সারকথা কুরআনের যে কোন সংখ্যক আয়াত, একই সংখ্যক উটনীর চেয়ে উত্তম। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ فِي الصُّفَّةِ فَقَالَ: «أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ كُلَّ يَوْم إِلَى بطحان أَو إِلَى العقيق فَيَأْتِي مِنْهُ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِي غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطْعِ رحم» فَقُلْنَا يَا رَسُول الله نُحِبُّ ذَلِكَ قَالَ: «أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ الله عز وَجل خير لَهُ من نَاقَة أَو نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٍ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِل» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: عقيق ‘আক্বীক’ মদীনাহ্ থেকে দুই তিন মাইল দূরে অবস্থিত বৃহত্তর উটের বাজার। উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট উটের কথা বলা হয়েছে এজন্য যে, ‘আরবের লোকদের নিকট এটি ছিল অধিক প্রিয় এবং অধিক মূল্যমানের বস্ত্ত।

মসজিদে গিয়ে কুরআন শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেয়ার সাওয়াব ‘আরবের ঐ উঁচু কুঁজ বিশিষ্ট লাল উটের মূল্যের চেয়েও অধিক বেশি, এমনকি প্রতিটি আয়াতের বিনিময় একটি করে উটের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যে যত আয়াত পড়বে বা পড়াবে সে তত বেশি উটের মালিক হবে। এর অর্থ ঐ উট সদাকাহ্ করলে যে সাওয়াব মিলবে তা সে পাবে।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এটা উৎসাহব্যঞ্জক একটি দৃষ্টান্তমূলক কথা যাতে মানুষ এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়। অন্যথায় কুরআন মাজীদের একটি আয়াতের মারেফাতের তুলনায় গোটা পৃথিবী তুচ্ছ।