হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২০৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৩৮-[৩] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’ইমরানকে অথবা অন্য কোন লোককে জিজ্ঞেস করেছেন, আর ’ইমরান তা শুনছিলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে অমুক ব্যক্তির পিতা! তুমি কী শা’বান মাসের শেষ দিনগুলো সওম রাখো না? তখন তিনি বললেন, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি (রমাযানের শেষে শা’বান মাসের) দু’টি সওম পালন করে নিবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ سَأَلَهُ أَوْ سَأَلَ رَجُلًا وَعِمْرَانَ يَسْمَعُ فَقَالَ: «يَا أَبَا فُلَانٍ أَمَا صُمْتَ مِنْ سَرَرِ شَعْبَانَ؟» قَالَ: لَا قَالَ: «فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ»

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে سَرَرِ শব্দটি নিয়ে ‘উলামাগণের মাঝে মতপার্থক্য রয়েছে, তবে প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী এ শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মাসের শেষাংশ (অর্থাৎ- ২৮, ২৯, ৩০ তম রাম) এবং এটাই জমহূর ভাষাবিদদের মত। আর এটাই ইমাম বুখারী (রহঃ) প্রণীত সহীহ আল বুখারীর তরজমাতুল বাব (باب الصوم آخرالشهر) এর সমর্থক। তবে এ ক্ষেত্রে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত পূর্বে উল্লেখিত হাদীসের মাধ্যমে একটি জটিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা হলোঃ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, তোমরা একদিন কিংবা দু’দিন সিয়াম পালনের মাধ্যমে রমাযান (রমজান)কে এগিয়ে নিও না। অথচ এ হাদীসে শা‘বানের শেষের দিনে সিয়াম পালনের বিষয়টি স্পষ্ট। এর জবাবে বলা যায় যে, লোকটি প্রতি মাসের শেষে সিয়াম পালন করা তার নিয়মতান্ত্রিক রুটিন ছিল। অথবা তার ওপর মানৎ-এর সিয়াম ছিল। ‘আল্লামা যায়নুল মুনীর (রহঃ) বলেন, হয়ত লোকটি প্রতি মাসের শেষ তারিখে সিয়াম পালন করত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (তোমরা একদিন কিংবা দু’দিন সিয়াম পালনের মাধ্যমে রমাযানকে এগিয়ে নিও না) এ নিষেধের কারণে তা পরিত্যাগ করে। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তা আদায় করার জন্য নির্দেশ দেন, যাতে সে তার ‘ইবাদাতের উপর অবিচল থাকে। কেননা আল্লাহর নিকট ঐ ‘আমলই সর্বপ্রিয় যা সর্বদা করা হয়। আর এ সিয়াম ছুটে গেলে পরবর্তী মাসের শুরুতে তা আদায় করতে হবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمَيْنِ) অর্থাৎ- রমাযানের সিয়াম যখন শেষ করবে তখন ঈদের পরবর্তী সময়ে শা‘বানের শেষ তারিখের বদলা স্বরূপ দু’দিন সিয়াম পালন করবে। আহমাদ ও মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে, শা‘বানের শেষের সিয়ামের স্থলে দু’দিন সিয়াম পালন করবে। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, নফল ‘ইবাদাতের কাযা আদায় করা শারী‘আতসম্মত, অতএব ফরয ‘ইবাদাতের কাযা আদায় করা তো আরো অধিক অগ্রগণ্য এবং অপরিহার্য।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ