হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৭৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত

১৭৬৯-[৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। (এখন) তোমরা কবর যিয়ারত করবে। কারণ কবর যিয়ারত দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُزَهِّدُ فِي الدُّنْيَا وتذكر الْآخِرَة» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, কবর যিয়ারতের মধ্যে অনেক গুরুত্ব ও ফাযীলাত রয়েছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, كنت نهيتكم عن زيارة القبور অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। অর্থাৎ আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশংকা করেছিলাম যে, তোমরা কবর যিয়ারত করতে গিয়ে জাহিলী যুগের কাজ করে ফেল। আর তা হল- কবরবাসীর কাছে ক্রন্দন করা এবং তার কাছে এমন কিছু উল্লেখ করা যা ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় উচিত নয়, এখন তোমাদের মাঝে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং তোমরা আল্লাহভীরু হয়েছ। তাই এখন তোমরা কবর যিয়ারত কর।

এ হাদীসের মধ্যে ناسخ তথা রহিতকারী ও منسوخ তথা যাকে রহিত করা হয়েছে এক সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ কবর যিয়ারতের আদেশ দ্বারা কবর যিয়ারতের নিষেধাজ্ঞাকে রহিত করা হয়েছে।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কবর যিয়ারতের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া বিমুখ হয়। অর্থাৎ কবর যিয়ারতের মাধ্যমে দুনিয়া ত্যাগী হয়, দুনিয়ার প্রতি কোন লোভ, লালসা ও মোহ থাকে না। আর আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। ক্ববরের পাশে দাঁড়ালে জীবিতদের চিন্তা আসে এক সময় আমার অবস্থাও এমন হবে। অর্থাৎ ক্ববরে চলে যেতে হবে। এ হাদীসটি ইবনু মাজাহতে উল্লেখ করা হয়েছে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ