হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৭৬-[৩১] ইমাম নাসায়ী, ইব্রাহীম আল আশহালী হতে, তিনি তার পিতা হতে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি, ’’ওয়া উনসা-না-’’ পর্যন্ত তার কথা শেষ করেছেন- আর আবূ দাঊদের বর্ণনায়, ’’ফাআহয়িহী ’আলাল ঈমা-ন ওয়াতা ওয়াফফাহূ ’আলাল ইসলা-ম, ওয়ালা- তুযিল্লানা- বা’দাহু’’ উল্লেখ আছে।[1]

وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الْأَشْهَلِيِّ عَنْ أَبِيهِ وانتهت رِوَايَته عِنْد قَوْله: و «أنثانا» . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ: «فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ وَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ» . وَفِي آخِرِهِ: «وَلَا تُضِلَّنَا بعده»

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের অন্যতম রাবী আবূ ইব্রা-হীম আল আশহাল তার নাম পরিচয় সম্পর্কে ইমাম আত্ তিরমিযী তার উস্তায ইমাম বুখারীকে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে চেনেননি।

এতদবর্ণনা সম্বলিত হাদীস সুনানে নাসায়ী ও আবূ দাঊদে বিদ্যমান, কিন্তু এতে শব্দের অগ্রপশ্চাৎ এবং শব্দ পার্থক্য রয়েছে। এ বর্ণনায় অর্থাৎ নাসায়ীর বর্ণনায় أنثانا শব্দ ব্যবহার হয়েছে। আর আবূ দাঊদের বর্ণনায় فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ وَتَوَفَّه عَلَى الْإِسْلَامِ ব্যবহার হয়েছে। ফাতহুল অদূদ গ্রন্থে আত্ তিরমিযীর বর্ণনাটি অধিক প্রসিদ্ধ, আর তা হলোঃ

فَأَحْيِه عَلَى الْإِسْلَامِ وَتَوَفَّه عَلَى الْإِيمَانِ তাকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো এবং ঈমানের উপর মৃত দিও। এটাই যথার্থ ও বাস্তব সম্মত, কেননা ইসলাম হলো প্রকাশ্য আরকানসমূহকে ধারণ করার নাম আর এটা হায়াতের জীবনেই পালন করতে হয়। আর ঈমানটা হলো বাতিনীয় বা গোপনীয় বিষয় যা বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত যা মৃতকালে কাম্য।

মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) বলেনঃ উভয়ভাবেই পড়া যায় তবে প্রসিদ্ধ পদ্ধতিতে পড়াই উত্তম। কেউ কেউ বলেছেন, যারা ঈমান আর ইসলামের মধ্যে কোন পার্থক্য মনে করেন না তাদের দিকে খেয়াল রেখেই বলা হয়েছে। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, فَأَحْيِه عَلَى الْإِسْلَامِ বাক্যটিই সুসাব্যস্ত এবং অধিকাংশের মতও এটাই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ