হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৪০৭

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪০৭-[৭] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খুতবাহ্ (ভাষণ) দিতেন তাঁর দু’চোখ লাল হয়ে যেত, কণ্ঠস্বর হত সুউচ্চ, রাগ বেড়ে যেত। মনে হত তিনি কোন সামরিক বাহিনীকে এ বলে শত্রু হতে সতর্ক করে দিচ্ছেনঃ সকাল-সন্ধ্যায় তোমাদের ওপর শত্রু বাহিনী হানা দিতে পারে। তিনি খুতবায় বলতেন, আমাকে ও ক্বিয়ামাত (কিয়ামত)কে এভাবে পাঠানো হয়েছে। এ কথা বলে তিনি তাঁর তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলকে একত্র করে মিলিয়ে দেখালেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا خَطَبَ احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ وَعَلَا صَوْتُهُ وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيش يقولك: «صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ» وَيَقُولُ: «بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ» . وَيَقْرُنُ بَيْنَ إِصْبَعَيْهِ السَّبَابَةِ وَالْوُسْطَى. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা করতেন মানুষদের অন্তর থেকে উদাসীনতা দূর করার জন্য। যাতে তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কথাগুলো যথাযথভাবে দৃঢ়তার সাথে ধারণ করতে পারে, অথবা নাসীহাতের দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে। আলোচ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, খুতবার বিষয় সম্পর্কে মানুষকে সাবধান করা মুস্তাহাব এবং খুতবাহ্ বুলন্দ আওয়াজে দেয়া মুস্তাহাব।

(كَأَنَّه مُنْذِرُ جَيْشٍ) সে ব্যক্তি যে তার সম্প্রদায়কে আগত শত্রুর ভয় দেখায়, কিংবা যে তার সম্প্রদায়কে ভীতি প্রদর্শন করে যে, শত্রু অতি নিকটে এবং তারা আক্রমণের প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। যেমন- একজন ভীতি প্রদর্শনকারী তার আওয়াজ উচ্চ করে, চক্ষু তার লাল হয়, স্বজাতির উদাসীনতায় প্রচন্ড রাগ করে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবস্থা ঠিক তেমনি, তার প্রত্যক্ষ দৃষ্টান্তঃ নিশ্চয় যখন وَأَنْذِرْ عَشِيْرَتَكَ الْأَقْرَبِيْنَ অর্থাৎ ‘‘আর তুমি সতর্ক কর তোমার নিকটাত্মীয় স্বজনদের’’- (সূরাহ্ আশ্ শু‘আরা ২৬ : ২১৪)- এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়, তখন তিনি সাফা পাহাড়ে আরোহণ করে তার স্বজাতির গোত্রদের নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেনঃ হে ফিহর-এর বংশধর, হে ‘আদ-এর সন্তানেরা.....!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ