হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

১৩৯৮-[১৮] ’উবায়দ ইবনু সাব্বাক্ব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক জুমু’আর দিন বলেছেনঃ হে মুসলিমগণ! এ দিন, যে দিনকে আল্লাহ তা’আলা ঈদ হিসেবে গণ্য করেছেন। অতএব তোমরা এ দিন গোসল করবে। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে তা ব্যবহার করলেও কোন ক্ষতি নেই। তোমরা অবশ্য অবশ্যই মিসওয়াক করবে। (মালিক, ইবনু মাজাহ তাঁর [’উবায়দাহ্ হতে])[1]

وَعَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فِي جُمُعَةٍ مِنَ الْجُمَعِ: «يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ إِنَّ هَذَا يَوْمٌ جَعَلَهُ اللَّهُ عِيدًا فَاغْتَسِلُوا وَمَنْ كَانَ عِنْدَهُ طِيبٌ فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ يَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَه عَنهُ

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত জুমু‘আর দিনটা মুসলিমদের জন্য খাস, ইবনু মাজাহর বর্ণনায় রয়েছেঃ নিশ্চয় এটা ঈদের দিন আল্লাহ তা‘আলা সেটা মুসলিমদের জন্য নির্ধারণ করেছেন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ঈদের দিনের জন্য মুস্তাহাব। আর মুয়াত্ত্বার শব্দে প্রমাণিত হয় যে, নিশ্চয় গোসল করাটা যে জুমু‘আয় উপস্থিত হবে তার জন্য খাস নয়। ইবনু মাজায় রয়েছে, (فمن جاء إلى الجمعة فليغتسل) অর্থাৎ যে জুমু‘আয় আসবে সে যেন গোসল করে। এই বর্ণনাটা ইঙ্গিত করছে, যে ব্যক্তি জুমু‘আয় উপস্থিত হবে, তার জন্য গোসলটা খাস। ‘উলামাগণের মাঝে এ মর্মে মতপার্থক্য রয়েছে যে, গোসল শুধু জুমু‘আর সালাতের জন্য, নাকি জুমু‘আর দিনের জন্য। ইমাম মুহাম্মাদ ও দাঊদ (রহঃ) যে মত ব্যক্ত করেছেন তা আবূ ইউসুফ (রহঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, নিশ্চয় তা (গোসল) জুমু‘আর দিনের জন্য। সুতরাং তা শিশু, নারী, পুরুষ ও দাস সবাইকে সম্পৃক্ত করে এবং যে সালাতে উপস্থিত হবে এটা তার জন্য খাস নয়।

জমহূর ‘উলামাগণ মতামত দিয়েছেন যে, নিশ্চয় তা সালাতের জন্য, দিনের জন্য নয়। সুতরাং গোসলটি তার জন্য খাস যে সালাতুল জুমু‘আয় উপস্থিত হবে।

সারকথা হলোঃ এখানে গোসল দু’টি, (১) দিনের জন্য (২) সালাতের জন্য এবং উভয় বিষয়ে হাদীস বর্ণিত রয়েছে, প্রথমটি মুস্তাহাব এবং দ্বিতীয়টি ওয়াজিব।

সুতরা যে ব্যক্তি জুমু‘আর পূর্বে গোসল করবে তার জন্য দু’টি গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে। আর যে ব্যক্তি জুমু‘আর পর করবে তার জন্য শুধু দিনের গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে, সালাতের গোসলের ফাযীলাত অর্জন হবে না।

(وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ) অর্থাৎ (الزموه)  তোমরা তা আবশ্যক করো। এখানে أمر-টি খাস করে জুমু‘আর দিনে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) এবং গোসলের সময় পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার পূর্ণতার জন্য মিসওয়াক করা যে মুস্তাহাব এর গুরুত্ব বা দৃঢ়তা বুঝানোর জন্য।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ