হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

১৩৮৫-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম খুতবাহ্ পাঠ করার সময় যদি তুমি তোমার কাছে বসা লোকটিকে বলো যে, ’চুপ থাকো’ তাহলে তোমার এ কথাটিও অর্থহীন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ التَّنْظِيْفِ وَالتَّبْكِيْرِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا قُلْتَ لِصَاحِبِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أنصت وَالْإِمَام يخْطب فقد لغوت)

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের দলীল হলো জুমু‘আহ্ ছাড়া অন্য খুতবাটি জুমু‘আর মতো নয় যে, তাতে কথা বলা নিষিদ্ধ। হাফিয (রহঃ) বলেনঃ তার কথায় (يَوْمُ الْجُمُعَةِ) সেটার মুখ্য উদ্দেশ্য হলো জুমু‘আহ্ ছাড়া অন্যদিনের খুতবাটা সেটার বিপরীত। অন্যদিনের খুতবায় কথা বলা নিষিদ্ধ নয়। (أَنْصِتْ) অর্থাৎ খুতবাহ্ শ্রবণের জন্য সাধারণ কথা বলা থেকে নীরব থাকো।

ইবনু খুযায়মাহ্ (রহঃ) বলেন যে, (الإنْصَاتْ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ আল্লাহর যিকর ছাড়া মানুষের সঙ্গে কথা বলা থেকে নিশ্চুপ থাকা। আলোচ্য হাদীস থেকে দলীল গ্রহণ করা যায় যে, খুতবাহ্ চলা অবস্থায় সকল প্রকার কথা বলা নিষিদ্ধ। কেননা তার কথা (أَنْصِتْ)-এর মাধ্যমে সৎকাজের আদেশও যখন অনর্থক পাপের কাজ ও প্রতিদান নষ্টকারী হয়।

তখন অন্য কথা বলা তো অনর্থক হওয়ার ক্ষেত্রে অধিক অগ্রগামী। খুতবাহ্ চলা অবস্থায়, সালামের জবাব, হাঁচির জবাবে আলহাম্‌দুলিল্লা-হ বলা যাবে কিনা এ ব্যাপারে ‘উলামাগণের মাঝে ইখতিলাফ রয়েছে। ইমাম আহমাদ, শাফি‘ঈ ও ইসহাক্ব (রহঃ) এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কোন ব্যক্তিকে জুমু‘আর দিন (খুতবাহ্ চলা অবস্থায়) সালাম দেয় তবে আমি তা অপছন্দ করি এবং এটাও মনে করি যে, কারো তার জবাব দেয়া উচিত কেননা সালামের জবাব দেয়া ফরয। অনুরূপভাবে হাঁচির জবাব দেয়াও বৈধ কারণ হাঁচির জবাব দেয়া সুন্নাত।

মির্‘আত প্রণেতা বলেনঃ আমার নিকট এ মাসআলাগুলোর ব্যাপারে প্রাধান্য ও প্রসিদ্ধ মত হলোঃ খুতবাহ্ চলা অবস্থায় নীরব থাকা ওয়াজিব এবং কথা বলা হারাম এটি যে ইমামের কাছাকাছি থাকবে এবং খুতবাহ্ শুনবে তার জন্য। আর যে দূরে থাকবে এবং খুতবাহ্ শুনতে পাবে না তার ক্ষেত্রে নীরব থাকা উত্তম। আর খুতবাহ্ চলা অবস্থায় হাঁচির জবাব দেয়া, সালামের উত্তর প্রদান মনে মনে দেয়া জায়িয। অনুরূপ হাঁচির জবাবে আলহামদুলিল্লাহ বলা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পড়া বৈধ। তবে মাথা, হাত, চক্ষু দ্বারা ইশারা করার মাঝে অপছন্দতার কিছু নেই। কোন খারাপী দূর করা কিংবা প্রশ্নকারীর জবাবে ইশারা করাতে কোন দোষ নেই। আর চুপ থাকার সময় হলো খুতবার শুরু থেকে, ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে নয়। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ