হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩০৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)

১৩০৩-[৯] আ’রাজ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সব সময় লোকদেরকে (সাহাবীদেরকে) পেয়েছি তারা রমাযান মাসে কাফিরদের ওপর লা’নাত বর্ষণ করতেন। সে সময় ক্বারী অর্থাৎ তারাবীহের সালাতের ইমামগণ সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্-কে আট রাক্’আতে পড়তেন। যদি কখনো সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্-কে বারো রাক্’আতে পড়ত, তাহলে লোকেরা মনে করত ইমাম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সংক্ষেপ করে ফেলেছেন। (মালিক)[1]

وَعَن الْأَعْرَج قَالَ: مَا أَدْرَكْنَا النَّاسَ إِلَّا وَهُمْ يَلْعَنُونَ الْكَفَرَةَ فِي رَمَضَانَ قَالَ: وَكَانَ الْقَارِئُ يَقْرَأُ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فِي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ وَإِذَا قَامَ بِهَا فِي ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً رَأَى النَّاسُ أَنه قد خفف. رَوَاهُ مَالك

ব্যাখ্যা: রমাযানের বিতর সালাতে সাহাবী ও তাবি‘ঈনগণ কাফিরদেরকে অভিসম্পাত করতেন। আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন যে সম্ভবত এখানে লা‘নাত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যেহেতু কাফিররা আল্লাহ তা‘আলা যে মাসকে সম্মান দিয়েছেন সে মাসকে তারা সম্মান করেনি এবং যে মাসে কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ হয়েছে সে মাসে তারা (কাফিররা) হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়নি বা হিদায়াতের পথে আসেনি বিধায় তারা তাদের ওপর লা‘নাত পাওয়ার মাধ্যমেই তার জবাব পেয়েছে।

আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন যে, সম্ভবত এ অভিসম্পাতটি রমাযানের শেষোর্ধেকের সাথে খাস ‘উমার (রাঃ) থেকে সহীহ সানাদে বর্ণিত রয়েছে যে,

السنة إذا انتصف رمضان أن يلعن الكفرة في آخر ركعة من الوتر بعد ما يقول القاري: سمع الله لمن حمده، ثم يقول اللهم العن الكفرة.

অর্থাৎ, সুন্নাত হলো রমাযানের অর্ধেক অতিবাহিত হলে বিতরের শেষ রাক্‘আতে কাফিরদেরকে অভিসম্পাত করা। ইমাম سمع الله لمن حمده (সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ) বলার পর বলবে اللهم العن الكفرة (আল্ল-হুম্মাল ‘আনিল কাফারাহ্) অর্থাৎ হে আল্লাহ! কাফিরদের ধ্বংস করো। (আবূ দাঊদ)

আর যখন ‘উমার (রাঃ) ‘উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর নেতৃত্বে লোকজনকে তারাবীহের জন্য জমায়েত করলেন তখন ‘উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) রমাযানের দ্বিতীয়ার্ধেক ছাড়া কুনূত পড়তেন না।

(ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً) এখানে এ দলীল সাব্যস্ত হচ্ছে যে, সসহাবায়ে কিরামগণের একটি দল আট রাক্‘আতের বেশী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন রমাযান মাসে। তবে এতে কোন অসুবিধা নেই, কেননা তা নফল; আর নফল সালাতের কোন সীমা নেই, কাজেই তাতে রুকূ'-সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) বৃদ্ধি করা (বেশী বেশী নফল সালাত আদায় করা) বৈধ।

কারণ সালফে সালিহীনদের একদল ৪১ রাক্‘আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। তবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতী ‘আমল হলো ১১ রাক্‘আত, যা (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে) সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ