হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬৭-[১৪] খারিজাহ্ ইবনু হুযাফাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা এমন এক সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দিয়ে তোমাদের সহযোগিতা করেছেন (পাঞ্জেগানা সালাত ছাড়া) যা তোমাদের জন্যে লাল উটের চেয়েও অনেক উত্তম। তা হলো বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। আল্লাহ তা’আলা এ সালাত তোমাদের জন্য ’ইশার সালাতের পর থেকে ফজরের (ফজরের) সালাতের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মাঝে আদায়ের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن خَارِجَة بن حذافة قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ أَمَدَّكُمْ بِصَلَاةٍ هِيَ خَيْرٌ لَكُمْ مِنْ حُمْرِ النِّعَمِ: الْوَتْرُ جَعَلَهُ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْعِشَاءِ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, أمدكم بصلاة বাক্যটি প্রমাণ করে যে, বিতর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ওয়াজিব নয়। যদি ওয়াজিব হত তবে أمدكم ব্যবহার না হয়ে الإلزام ব্যবহার হত। অর্থাৎ তিনি ألزمكم অর্থাৎ فرض عليكم বলতেন অথবা অনুরূপ কোন বাক্য বলতেন।

هِيَ خَيْرٌ لَّكُمْ..... অর্থাৎ সেটা (বিতর) তোমাদের জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম, এখানে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাল উটের দ্বারা বিতর সালাতের উপমা দিয়েছেন আরবদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। কারণ লাল উট আরবদের নিকট অধিক মূল্যবান ও মর্যাদাশীল, এ উপমার মধ্যে একটি ইঙ্গিত রয়েছে যে, দুনিয়ার সবকিছুর তুলনায় সেটা (বিতর সালাত) উত্তম।

فِيْمَا بَيْنَ.....  অর্থাৎ বিতর সালাতের ওয়াক্ত ‘ইশা এবং ফাজর (ফজর) উদয় হওয়ার মাঝের পূর্ণ সময়। এর দ্বারা দলীল হলো বিতরের ওয়াক্ত শুরু হয় ‘ইশার সালাতের পর থেকে এবং তা বিস্তৃত থাকে ফাজর (ফজর) উদয় হওয়া পর্যন্ত। যেমন- ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস وانتهى وتره إلى السحر অর্থাৎ বিতরের শেষ সময় সাহরী পর্যন্ত যা পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে। ইমাম ইবনু তায়মিয়্যাহ্ (রহঃ) বলেনঃ উক্ত হাদীসের দলীল হলো ‘ইশার সালাতের পুরো সময় কোন অবস্থাতে বিতরের ওয়াক্ত হিসেবে গণ্য হবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ