হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬৪-[১১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ক্বায়স (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত রাক্’আত বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো চার ও তিন (অর্থাৎ সাত), আবার কখনো ছয় ও তিন (অর্থাৎ নয়), কখনো আট ও তিন (অর্থাৎ এগার) আবার কখনো দশ ও তিন (অর্থাৎ তের) রাক্’আত বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তিনি সাত-এর কম ও তের-এর বেশী বিতরের সালাত আদায় করতেন না। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن عبد الله بن أبي قيس قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ: بِكَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوتِرُ؟ قَالَتْ: كَانَ يُوتِرُ بِأَرْبَعٍ وَثَلَاثٍ وَسِتٍّ وَثَلَاثٍ وَثَمَانٍ وَثَلَاثٍ وَعَشْرٍ وَثَلَاثٍ وَلَمْ يَكُنْ يُوتِرُ بِأَنْقَصَ مِنْ سَبْعٍ وَلَا بِأَكْثَرَ مِنْ ثَلَاث عشرَة. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: জেনে রাখতে হবে যে, নিশ্চয় মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এ বর্ণনায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের পূর্ণ সালাত যার মধ্য বিতর সালাতও রয়েছে। এসবগুলোকে তিনি মুত্বলাক্বভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি ছাড়াও আরো অনেকেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাতের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) মুত্বলাক্বভাবে বর্ণনা করেছেন।

আত্ তিরমিযী অভিন্ন শব্দে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৩ রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন। যখন তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেন এবং দুর্বল হয়ে পড়লেন তখন তিনি ৭ রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন, ভিন্ন শব্দে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, বিতরের সালাত তের, এগার, নয়, সাত, পাঁচ, তিন ও এক রাক্‘আত। এরপর ইমাম আত্ তিরমিযী (রহঃ) বলেন যে, ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তের রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন, এর অর্থ হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরসহ রাতের সালাত তের রাক্‘আত আদায় করতেন। সুতরাং রাতের সালাতকে বিতরের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

রাতের সালাতের উপর বিতর সহ মুত্বলাক্বভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অতএব বিতর সহ তিনি তের রাক্‘আত আদায় করেছেন। মির‘আত প্রণেতা বলেনঃ ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণনায় প্রতিটি সংখ্যায় তিনের উল্লেখ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এ রিওয়ায়াত প্রকৃতপক্ষে বিতর তিন রাক্‘আত, আর তার পূর্বে যা উল্লেখ রয়েছে তা রাতের সালাত বা তাহাজ্জুদ। অতএব এখানে বিতর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো পূর্ণ রাতের সালাত। তার কথারই সমর্থক ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর হাদীস, বিতরকে তোমরা রাতের সালাতের শেষ সালাত করো। সেখানে তিনি বিতর বলেননি অর্থাৎ বিতরসহ রাতের সালাত আদায় করবে।

আর সাত-এর কম ও তের রাক্‘আতের বেশি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিতর আদায় করতেন না, এটি অধিকাংশ সময়। কারণ অন্য বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পনের রাক্‘আত বিতর আদায় করতেন। এ ইখতিলাফ বা বৈপরীত্য যা পাওয়া যায় তা সময়ের আধিক্য কিংবা স্বল্পতার কারণে। যেমন- ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন যে, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বয়স বেশি হয়েছিল (বার্ধক্যে উপনীত হয়েছিলেন) তখন তিনি চার রাক্‘আত সালাত আদায় করতেন, কাজেই প্রমাণিত হয় যে, অবস্থা বা সময় ভেদে তিনি ক্বিয়ামুল লায়ল কম বেশি করতেন (বৈধতার বর্ণনার জন্য)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ