হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৪৮-[৮] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) দাঁড়িয়ে আদায় করবে। যদি তাতে সক্ষম না হও তাহলে বসে আদায় করবে। যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে (শুয়ে) কাত হয়ে আদায় করবে। (বুখারী)[1]

بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ

وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَائِمًا فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَإِنْ لَمْ تستطع فعلى جنب» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: এটা ফরয সালাতের কথা বলা হয়েছে, অন্যথায় নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এমনিতেই বসে আদায় করা বৈধ। মূলত ‘ইমরান ইবনু হুসায়ন বাউশী রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কষ্টকর হয়ে পড়ে, এ জন্য তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করেন, তার-ই প্রেক্ষিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। এতে প্রমাণিত যে, সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য সালাতের মধ্যে দন্ডায়মান হওয়াটা ওয়াজিব। এজন্য জমহূরের মতে নৌকায় আরোহীদের সাধ্য হলে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা ওয়াজিব। দাঁড়াতে সক্ষম না হলে বসে পড়বে, তাও না পারলে শুয়ে। কিন্তু ইমাম শাফি‘ঈ, মালিক, আহমাদসহ আরো কতিপয় ইমাম বলেন, সক্ষমতা শর্ত নয় বরং দাঁড়াতে কষ্ট অনুভব হলেই বসে পড়বে।

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস তাদের এ দাবির পক্ষে প্রামাণ্য দলীল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে তার যদি কষ্ট হয় তবে বসে, তাও যদি কষ্ট হয় তবে শুয়ে ইশারার সাথে সালাত আদায় করবে।

বসে সালাত আদায় করলে কিভাবে বসবে এ নিয়ে নানা কথা; হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, ‘মুসল্লীর জন্য যেভাবে বসলে সুবিধা হয় সেভাবেই বসবে। আর শুয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে হলে ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) সামনে নিয়ে ডান কাতে শুবে। তবে কতিপয় শাফি‘ঈ এবং হানাফী চিৎ হয়ে শুয়ে ক্বিবলার দিকে পা রাখার পক্ষপাতি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ