হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১৪৪

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুক্তাদীর ওপর ইমামের যা অনুসরণ করা কর্তব্য এবং মাসবূকের হুকুম

১১৪৪-[৯] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাকবীর তাহরীমাসহ(মাসেহ) আল্লাহর জন্যে জামা’আতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেন তার জন্যে দু’ প্রকার মুক্তি তার জন্য বরাদ্ধ করা হয়। এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর দ্বিতীয় মুনাফিক্বী থেকে মুক্তি। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الْأُولَى كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاق . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ) জাহান্নাম থেকে মুক্তির সম্ভাবনা ছোট ও বড় সকল প্রকার গুনাহ মাফ হওয়া ছাড়া।

(وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاق) ত্বীবী বলেনঃ অর্থাৎ ইহকালে তাকে মুনাফিক্বের ‘আমল করা থেকে নিরাপদে রাখবেন এবং নিষ্ঠাপূর্ণ ‘আমলের জন্য তাকে তাওফীক দিবেন। পরকালে তাকে মুনাফিক্বের শাস্তি থেকে নিরাপদে রাখা হবে অথবা সে ব্যক্তি মুনাফিক্ব না বলে তার পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করা হবে। কেননা মুনাফিক্বরা যখন সালাতে দাঁড়ায় তখন অলস অবস্থায় দাঁড়ায় আর এ অবস্থা তার বিপরীত। হাদীসটি ইমামের সাথে তাকবীরে উলা পাওয়া মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে। ইবনু হাজার বলেন, প্রথম তাকবীর পাওয়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ্। ক্বারী বলেন, সালাফদের থেকে যখন প্রথম তাকবীর ছুটে যেত তখন তারা নিজেদের ব্যাপারে তিনদিন শোক পালন করতেন এবং জামা‘আত ছুটে গেলে সাতদিন শোক পালন করতেন। ইমামের সাথে প্রথম তাকবীরের মর্যাদা সম্পর্কে আরও অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যা আনাস (রাঃ)-এর হাদীসকে সমর্থন করে।

সেগুলো থেকে প্রথমঃ ‘উমারের হাদীস ইবনু মাজাহ ও সা‘ঈদ বিন মানসূর একে সংকলন করেছেন এর সানাদে দুর্বলতা ও বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। দ্বিতীয়ঃ ‘আব্দুল্লাহ বিন আবূ আওফার হাদীস। আবূ নু‘আয়ম তার হিল্ইয়াহ্ গ্রন্থে একে সংকলন করেছেন। তার সানাদে হাসান বিন ‘আমারাহ্ আছে, সে দুর্বল। তৃতীয়ঃ আবূ কাহিল-এর হাদীস। ত্ববারানী একে তাঁর কাবীর গ্রন্থে, ‘উক্বায়লী যুআফাতে। হাকিম আবূ আহমাদ কুনাতে। ‘উক্বায়লী বলেন, এর সানাদ মাজহূল বা অজ্ঞাত। চতুর্থঃ আবূ হুরায়রার হাদীস। রাযযাক্ব এবং ‘উক্বায়লী একে সংকলন করেছেন। হায়সামী মাজমাউয যাওয়ায়িদে বলেন, ২য় খন্ড ১৩০ পৃষ্ঠা। ইমাম আহমাদ এর সানাদকে দুর্বল বলেছেন। পঞ্চমঃ আবুদ্ দারদার হাদীস। বাযযার এবং ইবনু আবী শায়বাহ্ একে সংকলন করেছেন। এর সানাদে একজন অপরিচিত বর্ণনাকারী আছে। হাফিয এ হাদীসগুলোকে তালখীসে ১২১ পৃষ্ঠাতে সমালোচনার সাথে উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ