হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১১০

পরিচ্ছেদঃ ২৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইমাম ও মুক্তাদীর দাঁড়াবার স্থান

১১১০-[৫] আবূ বকরাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি একবার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলেন। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকূ’তে ছিলেন। রুকূ’ ছুটে যাওয়ার আশংকায় কাতারে পৌঁছার পূর্বেই তিনি তাকবীর তাহরীমা দিয়ে রুকূ’তে চলে গেছেন। এরপর ধীরে ধীরে হেঁটে এসে কাতারে শামিল হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ ঘটনা উল্লেখ করলে তিনি বললেন, ’আনুগত্য ও নেক ’আমলের ক্ষেত্রে আল্লাহ তোমাদের আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন। কিন্তু ভবিষ্যতে এমন করবে না। (বুখারী)[1]

بَابُ الْمَوْقِفِ

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ رَاكِعٌ فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّفِّ. فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلَا تعد» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: নির্দিষ্ট কাতারের বাইরে রুকূ' করা সম্পর্কে মতানৈক্য। ইমাম মালিক ও লায়স বলেন, সালাত আদায়কারী নির্দিষ্ট কাতারে পৌঁছতে সময় দীর্ঘ হওয়াতে ইমাম রুকূ' হতে তার মাথা উঠিয়ে নেয়ার কারণে রাক্‘আত ছুটে যাওয়ার আশংকা করলে এমতাবস্থায় এমন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীর জন্য নির্দিষ্ট কাতারের বাইরে রুকূ' করে কাতার কাছে হলে সেখানে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কাছে বলতে ইমাম সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করার পূর্বে কাতারে পৌঁছা। কেউ বলেন, দুই কাতারের মাঝের ফাঁকা পরিমাণ হাঁটা। কেউ বলেন, তিন কাতার পরিমাণ; শাফি‘ঈ এটাকে অপছন্দ করেন। ইমাম আবূ হানীফাহ্ জামা‘আত ও একাকী সালাতের মাঝে পার্থক্য করেছেন।

তিনি একাকী সালাতের ক্ষেত্রে এমন করা অপছন্দ করেছেন তবে জামা‘আতের ক্ষেত্রে জায়িয মনে করেছেন। ইমাম মালিক যে দিকে গিয়েছেন তা মূলত যায়দ বিন সাবিত, ‘আবদুল্লাহ বিন মাস্‘ঊদ, ‘আবদুল্লাহ বিন যুবায়র, আবূ উমামাহ্ (রাঃ) ও ‘আত্বা থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত। ত্ববারানী তার কিতাবুল আওসাতে ইবনু ওয়াহ্ব কর্তৃক একটি হাদীস নিয়ে এসেছেন ইবনু ওয়াহ্ব যা ইবনু জুরায়য তিনি ‘আতা হতে বর্ণনা করেন। ‘আত্বা ‘আবদুল্লাহ বিন যুবায়রকে মিম্বারের উপর থাকাবস্থায় বলতে শুনেছেন, তোমাদের কেউ যখন মসজিদের প্রবেশ করবে এমতাবস্থায় মানুষ রুকূ‘রত অবস্থায় আছে তাহলে মসজিদে প্রবেশাবস্থায় সে যেন রুকূ‘ করে, অতঃপর রুকূ' করাবস্থায় হেঁটে হেঁটে কাতারে প্রবেশ করবে কেননা এটা সুন্নাত।

‘আত্বা বলেন, আমি তাঁকে এমন করতে দেখেছি। ত্ববারানী বলেন, ইবনু ওয়াহ্ব সানাদে একাকী হয়ে গেছেন। ইবনু ওয়াহ্ব থেকে এক হারমালাহ্ ছাড়া অন্য কেউ তা বর্ণনা করেনি। ইবনু যুবায়র থেকে এ সানাদ ছাড়া অন্য সানাদে তা বর্ণনা করা হয়নি। ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমি বলব, ইমাম বায়হাক্বী এ হাদীসটিকে তার কিতাবে তৃতীয় খন্ডে ১৬ পৃষ্ঠাতে সা‘ঈদ বিন হাকাম বিন আবী মারইয়াম ইবনু ওয়াহ্ব থেকে বর্ণনা করেন। হায়সামী ‘মাজমাউয্ যাওয়ায়িদ’ দ্বিতীয় খন্ডে ৯৬ পৃষ্ঠাতে একে ত্ববারানী এর সাথে সম্পৃক্ত করার পর বলেন, এ সানাদের রাবীগণ ইমাম বুখারীর সহীহ এর রাবী। ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, অগ্রাধিকারে প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য কথা হচ্ছে আবূ বাকরাহ ও এর হাদীস ও ত্বহাবী হাসান সূত্রে মারফূ‘ভাবে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) এর হাদীস থেকে যা উল্লেখ করেছেন তার কারণে উল্লেখিত ফাতাওয়াটি বাধাপ্রাপ্ত।

আবূ হুরায়রার সূত্রে হাদীসটি হল যখন তোমাদের কেউ সালাতে আসবে তখন যেন নির্দিষ্ট কাতার ছাড়া রুকূ‘ না করে বরং নির্দিষ্ট কাতারে পৌঁছার পর রুকূ‘ করে। এ মতের দিকে গিয়েছেন আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)। যেমন ইবনু ‘আবদুল বার ও ইবনু আবী শায়বাহ্ তার থেকে সংকালন করেছেন। হাসান এবং ইবরাহীমও এ ব্যাপারে উক্তি করেছেন।

আবূ বাকরাহ্ এর হাদীস দ্বারা প্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছে, নিশ্চয় যে ব্যক্তি ইমামকে রুকূ' অবস্থায় পেয়ে তার সাথে শামিল হবে তাহলে এ ব্যক্তির জন্য ঐ রাক্‘আতটিকে গণ্য করা হবে যদিও সে রুকূ' ও ক্বিয়াম (কিয়াম) হতে কিছু না পায়। তার কারণ রাক্‘আত ছুটে যাওয়ার আশংকায় আবূ বাকরাহ্ কাতারের পিছনে রুকূ' করেছিল। অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য লালসা বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যাপারে দু’আ করেছিলেন; তাকে ঐ রাক্‘আত দোহরানোর জন্য নির্দেশ দেননি। এটা জমহূরের মাযহাব। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ), আহলে যাহের, ইবনু খুযায়মাহ্, আবূ বাকর আয্ যব্‘ঈ এবং বুখারী বলেন, যখন ব্যক্তির সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ এবং ক্বিয়াম (কিয়াম) ছুটে যাবে তখন ইমামের সাথে রুকূ' পেলেও ঐ রাক্‘আত গণ্য করা হবে না।

হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী তার ফাতহুল বারী গ্রন্থে একদল শাফি‘ঈ মতাবলম্বীদের থেকে এ মাযহাবটির উল্লেখ করেছেন। শাইখ তাকিউদ্দীন সুবকী ও শাফি‘ঈ মতাবলম্বী অন্যান্য মুহাদ্দিস এ মাযহাবটি শক্তিশালী করেছেন। এ মুকবিলী এ মতটিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। মুকবিলী বলেন, আমি এ মাসআলাটি হাদীস ও ফিকহী সর্বপ্রকারের গবেষণা দিয়ে গবেষণা করেছি, অতঃপর আমি যা উল্লেখ করেছি তার অপেক্ষা অতিরিক্ত কিছু আমি অর্জন করতে পারিনি। অর্থাৎ শুধু রুকূ‘ পাওয়ার মাধ্যমে রাক্‘আত গণ্য হবে না।

এটাই আমার কাছে প্রাধান্যতর উক্তি। সুতরাং যে ব্যক্তির সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ ও ক্বিয়াম (কিয়াম) থেকে কিছু ছুটে যাবে ঐ ব্যক্তি রুকূ‘ পেলেও তার ঐ রাক্‘আত গণ্য হবে না। কারণ রুকূ‘ এবং ক্বিয়াম (কিয়াম) উভয়টি সালাতের ফরয ও রুকনের অন্তর্ভুক্ত। অপর কারণ হাদীসে এসেছে তুমি যা পাও তা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হিসেবে আদায় কর আর তোমার থেকে যা ছুটে যাবে তা তুমি পূর্ণ করবে।

হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, উল্লেখিত হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয়েছে, যে ব্যক্তি ইমামকে রুকূ‘ অবস্থায় পাবে তাহলে ঐ রুকূ' পাওয়া রাক্‘আতটি ব্যক্তির জন্য রাক্‘আত হিসেবে গণ্য করা হবে না। কারণ হাদীসে সালাত আদায়কারীর যা ছুটে যাবে তা পূর্ণ করতে বলা হয়েছে আর ক্বিয়াম (কিয়াম) ও সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ রাক্‘আতেরই অন্তর্ভুক্ত।

আবূ বাকরার হাদীসঃ জমহূর যে মত পোষণ করেছেন সে ব্যাপারে আবূ বাকরার হাদীসে কোন দলীল নেই। কেননা আবূ বাকরার ক্বিয়াম (কিয়াম) ও সূরাহ্ ফাতিহাহ্ ছুটে যাওয়া রাক্‘আতটি দোহরানোর ব্যাপারে হাদীসে যেমন কোন নির্দেশ করা হয়নি তেমনিভাবে আবূ বাকরাহ্ শুধু রুকূ' পাওয়া রাক্‘আতটিকে রাক্‘আত হিসেবে গণ্য করছেন এমন কোন দলীলও আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়নি। পক্ষান্তরে হাদীসে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যে দু‘আর উল্লেখ আছে তা রুকূ‘ পাওয়া রাক্‘আতটি গণ্য করাকে আবশ্যক করে না।

কেননা ইমামের সাথে শামিল হতে নির্দেশ করা হয়েছে চাই মুক্তাদী ইমামের সাথে যা পায় তা তার জন্য গণ্য করা হোক বা না হোক, যেমন হাদীসে এসেছে তোমরা যখন সালাতে আসবে এমতাবস্থায় আমরা (ইমামগণ) সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) অবস্থায় থাকলে তোমরাও সিজদা্ করবে তবে সে সিজদাকে কিছু গণ্য করবে না। একে বর্ণনা করেছেন আবূ দাঊদ ও অন্যান্যগণ ঐ কথার পিছনে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বাকরাহ-কে তার কৃতকর্মের ন্যায় কাজের পুনরাবৃত্তি করা থেকে নিষেধ করেছেন। যে হাদীসে কোন একটি বিষয়কে নিষেধ করেছেন সে হাদীস থেকে আবার ঐ বিষয়ের স্বপক্ষে দলীল গ্রহণ করা বিশুদ্ধ হবে না। শাওকানী ‘নায়লুল আওতার’-এ এভাবেই উল্লেখ করেছেন।

‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমি বলব আবূ বাকরার হাদীসের শেষে ত্ববারানী এর ‘‘তুমি যা পাও তা সালাত হিসেবে আদায় কর আর যা তোমার ছুঁটে গিয়েছে তা ক্বাযা কর।’’ এ শব্দ দ্বারা অতিরিক্ত করা ক্বিয়াম (কিয়াম) ও সূরাহ্ ফাতিহা ছুটে যাওয়া রাক্‘আতটি গণ্য না হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে। উল্লেখিত কথার উপর আরও প্রমাণ বহন করছে ইবনু আবী শায়বাহ্ তার মুসান্নাফে মু‘আয বিন জাবাল হতে যা বর্ণনা করেছেন তা। মু‘আয বিন জাবাল বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যে অবস্থার উপরই পেয়েছি তাঁর সাথে সে অবস্থার উপরেই শামিল হয়েছি। সালাত থেকে যা আমার ছুটে গিয়েছে তা পরে আদায় করেছি। অতঃপর মু‘আয (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতের কিছু অংশ বা রাক্‘আতের কিছু অংশের সাথে পেয়েছেন। যতটুকু নাবীর সাথে পেয়েছেন ততটুকুর অনুসরণ করেছেন এবং নাবীর সালামের পর ছুটে যাওয়া রাক্‘আত আদায় করেছেন। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয-এর অবস্থা দেখে সাহাবীদেরকে বললেন, মু‘আয তোমাদের জন্য সুন্নাতের অনুসরণ করলেন। সুতরাং তোমরা তা কর। আহলে যাহির ও যারা তাদের অনুকূল করছেন তাদের উক্তিকে প্রাধান্য দেয়ার পর আমাদের শায়খ তিরমিযীর ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন, আবূ বাকরার হাদীস একটি চাক্ষুস ঘটনা অর্থাৎ তাতে বহু ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। যে হাদীস ইমামের পেছনে ছুটে যাওয়া সালাতাংশ পূর্ণ করার ব্যাপারে নির্দেশ এবং ক্বিয়াম (কিয়াম) ও সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ ফরয হওয়ার ক্ষেত্রে উক্তিগত দলীলের আওতাভুক্ত না।

শাওকানী তার ফাতাওয়া গ্রন্থে যাকে তার সন্তান আহমাদ বিন মুহাম্মাদ ‘আলী আশ্ শাওকানী ফাতহুর রব্বানী বলে নামকরণ করেছেন। সেখানে বলেন, ক্বিয়াম (কিয়াম) ও সূরাহ্ ফাতিহাহ্ ছুটে যাওয়া রাক্‘আত রাক্‘আত হিসেবে গণ্য হবে। মূলত তিনি শারহুল মুনতাক্বা গ্রন্থে যা বিশ্লেষণ করেছেন তা তার বিপরীত। যেমন তিনি ঐ অবস্থাকে যে ঐ অবস্থায় মুক্তাদী ইমামকে পায় ‘আম দলীলাদি অপেক্ষা খাস মনে করেন যে সকল ‘আম দলীলাদি প্রত্যেক রাক্‘আতে প্রত্যেক সালাত আদায়কারীর ওপর সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ করা আবশ্যক প্রমাণ করে।

এ ব্যাপারে তিনি প্রমাণ গ্রহণ করেছেন ইবনু খুযায়মাহ্, দারাকুত্বনী ও ইমাম বায়হাক্বী তার কিতাবে দ্বিতীয় খন্ডে ৮৯ পৃষ্ঠাতে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক মারফূ‘ সূত্রে যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে। তাতে আছে ইমাম তার মেরুদন্ড সোজা করার পূর্বে যে ব্যক্তি কোন রাক্‘আতে পাবে সে ঐ রাক্‘আত পাবে। এ মতকে সমর্থন করছেন বর্তমান সময়ে কিছু আহলে হাদীসগণ। উল্লেখিত হাদীস অনুসারে মতামত পোষণকারীদের সম্পর্কে প্রথম জওয়াব বা উত্তরঃ নিশ্চয়ই হাদীসটির সানাদে ইয়াহ্ইয়া বিন হুমায়দ রয়েছে। তার অবস্থা অজানা; হাদীসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী তাঁর জুয্উল ক্বিরাআতে এ ধরনের মত পোষণ করেছেন, দারাকুত্বনী তাকে দুর্বল বলেছেন। ‘উক্বায়লী তাকে দুর্বলদের মাঝে উল্লেখ করেছেন এ অবস্থায় যে, ইয়াহ্ইয়া তার উক্তি ‘ইমাম তার মেরুদন্ডকে সোজা করার পূর্বে’ দ্বারা সানাদে তার স্তরে একাকী হয়েছেন।

‘উক্বায়লী বলেন, একে মালিক ও যুহরীর সাথীবর্গ থেকে অন্যান্য হাফিযুল হাদীসগণ বর্ণনা করেছেন, তবে শেষের অতিরিক্তাংশ তারা উল্লেখ করেননি, সম্ভবত তা যুহরীর কথা। ইবনু আবী ‘আদী হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেন, এ অতিরিক্তাংশের বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি একাকী হয়েছেন। আমি তাকে ছাড়া এর অন্য কোন সানাদ জানি না। এর সানাদে কুররা বিন ‘আবদুর রহমান রয়েছে তার ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়েছ। দ্বিতীয় উত্তর উল্লেখিত অতিরিক্তাংশ বিশুদ্ধ বলে সমর্থন করার পর তিনি তার এক স্থানে স্বীকার করেছেন নিশ্চয় প্রকৃতপক্ষে শার‘ঈ ও ‘উরফীভাবে (সমাজে প্রচলিত) সকল রুকন ও যিকর এর সামষ্টিক নাম রাক্‘আত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ