হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৯৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার

৯৭৩-[১৫] যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে নির্দেশ করা হয়েছে, প্রতি সালাতের শেষে ’সুবহা-নাল্ল-হ’ তেত্রিশবার, ’আলহামদু লিল্লা-হ’ তেত্রিশবার ও ’আল্ল-হু আকবার’ চৌত্রিশবার পাঠ করতে। একজন আনসারী স্বপ্নে দেখতে পেল যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে প্রতি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে এতো এতো বার তাসবীহ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন? আনসারী স্বপ্নের মধ্যে বলল, হ্যাঁ। মালাক (ফেরেশতা) বললেন, এ তিনটি কালিমাকে পঁচিশবার করে পাঠ করার জন্য নির্ধারিত করবে। এবং এর সাথে ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’ পাঠ করে নিবে। সকালে ঐ আনসারী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তার স্বপ্ন সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যা বলা হয়েছে তাই করো। (আহমাদ, নাসায়ী, দারিমী)[1]

وَعَن زيد بن ثَابت قَالَ: أُمِرْنَا أَنْ نُسَبِّحَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَنَحْمَدَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَنُكَبِّرَ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ فَأُتِيَ رَجُلٌ فِي الْمَنَامِ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقِيلَ لَهُ أَمَرَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن تسبحوا فِي دبر كُلِّ صَلَاةٍ كَذَا وَكَذَا قَالَ الْأَنْصَارِيُّ فِي مَنَامِهِ نَعَمْ قَالَ فَاجْعَلُوهَا خَمْسًا وَعِشْرِينَ خَمْسًا وَعِشْرِينَ وَاجْعَلُوا فِيهَا التَّهْلِيلَ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فافعلوا» . رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ والدارمي

ব্যাখ্যা: (فَافْعَلُوْا) তবে তাই কর। অর্থাৎ স্বপ্নের অনুকূলে ‘আমল কর। ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, তাসবীহ, তাকবীরে তাহমীদ ও তাহলীল প্রতিটি ২৫ বার করে সর্বমোট একশত বার পাঠ করাও সুন্নাত। এর প্রমাণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী (فَافْعَلُوْا) ‘‘তোমরা তাই কর’’ আর এতে আনসারী কর্তৃক দেখা স্বপ্নে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বীকৃতি রয়েছে। কেননা এটি একটি ভাল স্বপ্ন। আর ভাল আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বীকৃতি দ্বারা এটি একটি যিকিরের (জিকিরের) পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। যদি এতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্বীকৃতি না থাকতো তবে তা দলীল হিসেবে গ্রাহ্য হতো না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ