হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৮২৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮২৫-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখন ’আমীন’ বলবে, তোমরাও ’আমীন’ বলবে। কারণ যে ব্যক্তির ’আমীন’ মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) আমীনের সাথে মিলে যায়, আল্লাহ তার অতীতের সব গুনাহগুলো মাফ করে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

আর এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন ইমাম বলে, ’’গয়রিল মাগযূবি ’আলায়হিম ওয়ালায্ যোয়াল্লীন’’, তখন তোমরা ’আমীন’ বলবে। কারণ যার ’আমীন’ শব্দ মালায়িকাহ্’র ’আমীন’ শব্দের সাথে মিলে যায় তার আগের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। এ শব্দগুলো সহীহুল বুখারীর।[2]

সহীহ মুসলিমের হাদীসের শব্দগুলোও এর মতই। আর সহীহুল বুখারীর অন্য একটি বর্ণনার শব্দ হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কুরআন তিলাওয়াতকারী, অর্থাৎ- ইমাম বা অন্য কেউ ’আমীন’ বলবে, তোমরাও সাথে সাথে ’আমীন’ বলো। আর যে ব্যক্তির ’আমীন’ শব্দ মালায়িকাহ্’র আমীন শব্দের সাথে মিলে যাবে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।[3]

بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَمَّنَ الْإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تقدم من ذَنبه) وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: إِذَا قَالَ الْإِمَامُ: (غَيْرِ المغضوب عَلَيْهِم وَلَا الضَّالّين) فَقُولُوا: آمِينَ فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلَائِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ . هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ وَلِمُسْلِمٍ نَحْوُهُ وَفِي أُخْرَى لِلْبُخَارِيِّ قَالَ: «إِذَا أَمَّنَ الْقَارِئُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تُؤَمِّنُ فَمَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلَائِكَةِ غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه»

ব্যাখ্যা: ইমাম যখন ‘আমীন’ বলবে তখন তোমরাও ‘আমীন’ বলবে। ইমাম বুখারী দলীল পেশ করলেন যে, ইমাম ‘আমীন’ সজোরে বলবে। মুক্তাদীও সাথে সাথে ‘আমীন’ বলবে। ইমাম শাফি‘ঈ ও জমহূরদের অভিমত ‘আমীন’ সজোরে বলা সুন্নাত, এটাই বেশী প্রণিধানযোগ্য।

‘আমীন’ বলার মধ্যে মালায়িকাহ্’র সমান সমান হওয়ার বিভিন্ন অর্থ হতে পারে যা নিম্নরূপ।

(১) মালায়িকাহ্ যখন ‘আমীন’ বলে সে ওয়াক্ত বা সময়ে তোমরাও ‘আমীন’ বলো। আর এটাই অধিকাংশের মতে সহীহ অর্থ। (২) কারো মতে তারা যেরূপ নিষ্ঠা ও বিনয়ের সাথে ‘আমীন’ বলে থাকেন তোমরাও অনুরূপভাবে বলো। (৩) আবার কারো অভিমত তারা যেভাবে ‘আমীন’ বলেন তোমরাও তাই করো, তাহলে মালায়িকার সাথে সমান সমান হবে।

অতীতের সব গুনাহ মাফ করা হবেঃ এখানে গুনাহ অর্থ সগীরাহ্, অর্থাৎ- ছোট গুনাহ। আল্লাহ স্বীয় কালামেই ঘোষণা দিয়েছেন; নেক ‘আমলের দ্বারা সগীরাহ্ গুনাহ মার্জনা হয়ে যায়। কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহও মার্জনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেননা সালাতের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো ‘ইবাদাতের মধ্যে সর্বোত্তম। এতদভিন্ন নিঃস্বার্থ আল্লাহর মালায়িকাহ্’ও ‘আমীন’ বলে বান্দার জন্যে দু‘আ করেন। কাজেই কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহও মাফ হতে পারে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ