হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৮২৪

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা

৮২৪-[৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর ও ’উমার (রাঃ) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ দিয়ে শুরু করতেন। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ

وَعَنْ أَنَسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبا بكر وَعمر رَضِي الله عَنْهُمَا كَانُوا يَفْتَتِحُونَ الصَّلَاةَ بِ «الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالمين» ) رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, প্রকাশ্যভাবে সূরাহ্ ফাতিহার ক্বিরাআত (কিরআত) দিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরু করতেন। শুরুর দু‘আর পর সালাতে বিসমিল্লা-হ পড়া সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। ইমাম শাফি‘ঈ থেকে বর্ণিত আছে যে, বিসমিল্লা-হ পড়া ওয়াজিব। আবূ হানীফাহ্ (রহঃ) বলেন, বিসমিল্লা-হ পড়া মুস্তাহাব। আর এ মতামত ইমাম আহমাদ এর পক্ষ থেকেও প্রসিদ্ধ আছে। তারপর তারা সকলেই ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর বিরোধিতা করছেন, ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর মতে বিসমিল্লা-হ স্বজোরে পড়া সুন্নাত। আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে বিসমিল্লা-হ পড়া সুন্নাত না। বরং বিসমিল্লা-হ পড়া মুস্তাহাব। ইসহাক ইবনু রবী‘আহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, বিসমিল্লা-হ স্বজোরে পড়া বা নিঃশব্দে পড়ার স্বাধীনতা থাকবে। ইবনু হাযম এ মত পোষণ করছেন। আর এটাই আমাদের নিকটে প্রণিধানযোগ্য।

বিসমিল্লা-হ সংক্রান্ত বিভিন্ন উক্তিতে বিসমিল্লা-হ চার প্রকার অর্জিত হয়।

(১) বিসমিল্লা-হ সম্পূর্ণভাবে কুরআনের আয়াত নয় তবে সূরাহ্ আন্ নামল-এর বিসমিল্লা-হ টি কুরআনের আয়াত। এ মত প্রকাশ করেছেন ইমাম মালিক, আওযা‘ঈ, ত্বহাবী, আবূ হানীফাহ্, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মাদ এবং আরো কোন কোন সাহাবীগণ। ইবনু কুদামাহ্ এ মতকে পছন্দ করছেন।

(২) বিসমিল্লা-হ সূরাহ্ তাওবাহ্ ছাড়া সকল সূরার একটি আয়াত অথবা আয়াতের অংশ। এ মত প্রকাশ করছেন ইমাম শাফি‘ঈ ও তার সাথীগণ।

(৩) বিসমিল্লা-হ ফাতিহার প্রথমের আয়াত বাকী সূরার প্রথমের আয়াত নয়। এ মত প্রকাশ করছেন, ইমাম আহমাদ, ইসহাক, আবূ ‘উবায়দ, কুফাবাসী, মক্কাবাসী, ‘ইরাক্ববাসী।

(৪) বিসমিল্লা-হ মাসহাফের মধ্যে লেখা হয়েছে তার সব স্থানে কুরআনের স্বতন্ত্র একটি আয়াত। না এটা ফাতিহার আয়াত, না এটা অন্যান্য সূরার আয়াত। এটা সূরার মধ্যখানে পার্থক্য করার জন্যে নাযিল হয়েছে। এ মতটা আবূ বাকর রাযী জাসসাস ও আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর পছন্দনীয় মতামত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ