হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৮০০

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৮০০-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বোত্তম সালাত হলো দীর্ঘ ক্বিয়াম (কিয়াম) (দাঁড়ানো) সম্বলিত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصَّلَاةِ طُولُ الْقُنُوتِ» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: সালাতের উত্তম রুকন হলো ক্বিয়ামকে লম্বা করা। সর্বোত্তম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো ঐ সালাত যে সালাতে অধিক সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়া হয়। এর অর্থ বশ্যতা, বিনয়ী, দু‘আ, মৌনতা ইত্যাদি সামগ্রিকভাবে সালাতে প্রয়োগ হওয়া। কারণ এসবগুলো গুণের সমাবেশ যে সালাতে তাই উত্তম সালাত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাতে দীর্ঘ সময় ক্বিয়াম (কিয়াম) করতেন। অপর এক হাদীসে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ তার রবের সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হয়ে যায় সাজদায় থাকার সময়।

সহীহুল বুখারীতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রাত্রির সালাতের যে বর্ণনা মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) দিয়েছেন তাতে প্রতীয়মান হয় যে, তাঁর ক্বিয়াম (কিয়াম), রুকূ‘ এবং সাজদার দীর্ঘতা অভিন্ন ছিল, কমবেশি ছিল না, ফলে তা’ ছিল পূর্ণতা ও সৌন্দর্যের দিক থেকে অনুপম ও তুলনাহীন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ