হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৯১

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের নিয়ম-কানুন

৭৯১-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর ও ক্বিরাআত (কিরআত) ’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্বিল ’আ-লামীন’’ দ্বারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শুরু করতেন। তিনি যখন রুকূ’ করতেন মাথা খুব উপরেও করতেন না, আবার বেশী নীচুও করতেন না, মাঝামাঝি রাখতেন। রুকূ’ হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে সাজদায় যেতেন না। আবার সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) হতে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে না বসে দ্বিতীয় সাজদায় যেতেন না। প্রত্যেক দু’ রাক্’আতের পরই বসে আত্তাহিয়্যাতু পড়তেন। বসার সময় তিনি তাঁর বাম পা বিছিয়ে দিতেন। ডান পা খাড়া রাখতেন। শায়ত্বনের (শয়তানের) মতো কুকুর বসা বসতে নিষেধ করতেন। সাজদায় পশুর মতো মাটিতে দু’ হাত বিছিয়ে দিতেও নিষেধ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করতেন সালামের মাধ্যমে। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِفَةِ الصَّلَوةِ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَفْتِحُ الصَّلَاةَ بِالتَّكْبِيرِ وَالْقِرَاءَةِ بِ (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) وَكَانَ إِذَا رَكَعَ لَمْ يُشْخِصْ رَأْسَهُ وَلَمْ يُصَوِّبْهُ وَلَكِنْ بَيْنَ ذَلِكَ وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَائِمًا وَكَانَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السَّجْدَةِ لَمْ يَسْجُدْ حَتَّى يَسْتَوِيَ جَالِسًا وَكَانَ يَقُولُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ التَّحِيَّةَ وَكَانَ يَفْرِشُ رِجْلَهُ الْيُسْرَى وَيَنْصِبُ رِجْلَهُ الْيُمْنَى وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقْبَةِ الشَّيْطَانِ وَيَنْهَى أَنْ يَفْتَرِشَ الرَّجُلُ ذِرَاعَيْهِ افْتِرَاشَ السَّبُعِ وَكَانَ يخْتم الصَّلَاة بِالتَّسْلِيمِ. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: ক্বিরাআত (কিরআত) শুরু করবে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ দ্বারা। তারপর অন্য সূরাহ্ পড়বে। প্রত্যেক কাজ শুরু করার দু‘আ হলো বিসমিল্লা-হ পড়া সেটা পড়া যাবে। বিসমিল্লা-হ ক্বিরাআতের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটা প্রমাণিত হয় যে, বিসমিল্লা-হ সূরাহ্ আল ফাতিহার অংশ নয়। তাই সালাতে স্বজোরে বিসমিল্লা-হ পরিত্যাগ করা শার‘ঈ বিধান।

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘তে মাথা বেশী উঁচু করতেন না এবং বেশী নিচুও করতেন না। বরং উঁচু ও নিচু এর মাঝামাঝি সোজা রাখতেন যাতে পিঠ ও গর্দান সোজা সমান্তরাল রাখতে

তোমরা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করো যেমনটি তোমরা আমাকে সালাত আদায় করতে দেখছো। এ আদেশসূচক ক্রিয়া দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হবে। দলীল পেশ করা হবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি দিয়ে।

শায়ত্বনের (শয়তানের) ন্যায় বসাঃ শায়ত্বনের (শয়তানের) বসা দু’ ধরনের হতে পারেঃ (১) উভয় পা খাড়া করে কটিদেশকে পায়ের গোড়ালির উপর রেখে বসা, (২) নিতম্ব জমিনের উপর রেখে দু’ হাঁটু খাড়া করে দু’ হাত জমিনের উপর রেখে কুকুরের মতো বসা।

সালাতে বসার নিয়মঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সালাতে বসার সাধারণ নিয়ম ছিল। উভয় বৈঠকের মধ্যে বাম পা বিছিয়ে তার পাতার উপর বসতেন এবং ডান পায়ের আঙ্গুলগুলো ক্বিবলামুখী রেখে পায়ের মুড়ি উপরের দিকে খাড়া করে রাখতেন। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) বলেন, প্রথম বৈঠকে এরূপ বসবে। কিন্তু যখন সালাত দু’ তিন বা চার রাক্‘আত বিশিষ্ট হয় তখন শেষ বৈঠকে এরূপ বসা সুন্নাত নয়।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম দিয়ে সালাত শেষ করতেন। তাই বুঝা গেল, সালাত থেকে বের হওয়ার একমাত্র পদ্ধতি হলো সালাম দিয়ে বের হওয়া।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ