হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৫০

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭৫০-[৬২] ’আত্বা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’আ করলেনঃ ’’হে আল্লাহ! তুমি আমার কবরকে ভূত বানিও না যা লোকেরা পূজা করবে। আল্লাহর কঠিন রোষাণলে পতিত হবে সেই জাতি যারা তাদের নবীর কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে।’’ ইমাম মালিক মুরসাল হিসেবে।[1]

وَعَن عَطاء بْنِ يَسَارٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «اللَّهُمَّ لَا تجْعَل قَبْرِي وثنا يعبد اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائهمْ مَسَاجِد» . رَوَاهُ مَالك مُرْسلا

ব্যাখ্যা: এ দু‘আয় (وَثَنًا) ‘‘ওয়াসানান’’ শব্দের ব্যবহার ঘটেছে। ‘ওয়াসানান’ বলা হয় ঐ প্রত্যেক দেহ বা শরীরকে যা মণি-মানিক্য, কাঠ বা পাথর দ্বারা গঠন করা হয়। যাকে মানুষ সম্মান করে, বারবার যিয়ারত করে। যেমনটা আমরা বর্তমানে বিভিন্ন মাযার ও দর্শনীয় স্থানের ক্ষেত্রে দেখি এবং শুনি।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যেন জিজ্ঞেস করা হলো যে, তিনি কেন এ দু‘আ করেছেন? এর উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ইয়াহূদী-খ্রিষ্টানদের ওপর গযব পতিত হয়েছে এজন্য যে, তারা তাদের নাবীদের কবরকে মাসজিদ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। তিনি এ কথাগুলো এজন্য বলছেন যে, তিনি তার উম্মাতের প্রতি দয়াশীল ও দরদী। এর মাধ্যমে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মধ্যে যে শির্ক আপতিত হয়েছিল তার থেকে উম্মাতকে সতর্ক করছেন। এই উম্মাতের মধ্যে থেকেও যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার ওপর আল্লাহর গযব পতিত হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ