হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান

৭৪৭-[৫৯] সায়িব ইবনু খল্লাদ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের মধ্যে একজন বলেন, এক লোক কিছু লোকের ইমামাত করছিল। সে ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)র দিকে থুথু ফেলল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখলেন এবং ঐ লোকগুলোকে বললেন, এ ব্যক্তি যেন আর তোমাদের সালাত আদায় না করায়। পরে এই লোক তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করাতে চাইলে লোকেরা তাকে সালাত আদায় করতে নিষেধ করলো এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ তাকে জানিয়ে দিল। সে বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ (ঘটনা ঠিক)। রাবী (বর্ণনাকারী) বলেন, আমার মনে হয় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ কথাও বলেছেন, তুমি আল্লাহ ও তাঁর রসূল কে কষ্ট দিয়েছ। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن السَّائِب بن خَلاد - وَهُوَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ رَجُلًا أَمَّ قَوْمًا فَبَصَقَ فِي الْقِبْلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَرَغَ: «لَا يُصَلِّي لَكُمْ» . فَأَرَادَ بَعْدَ ذَلِك أَن يُصَلِّي لَهُم فمنعوه وَأَخْبرُوهُ بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: نَعَمْ وَحَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّكَ آذيت الله وَرَسُوله» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে সালাতে ইমামাতকারীর একটি বিশেষ প্রয়োজনীয় গুণ বা বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানা যায়। আপাতঃদৃষ্টে ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলা তেমন গুরুতর মনে না-ও হতে পারে। কিন্তু যেহেতু ইমাম কেবল সালাতেরই ইমাম নন, বরং তার কার্যকলাপও মুসল্লীদের জন্য শিক্ষণীয়। তাই এমন লোক হতে হবে যিনি মসজিদের আদাবের ব্যাপারে মনোযোগী ও আন্তরিক হবেন। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে তা’ নিফাক্বের দৃষ্টান্তও হতে পারে। ক্বিবলার দিকে থুথু ফেলা আল্লাহকে কষ্ট দেয়ার শামিল।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘নিশ্চয় যারা আল্লাহ এবং তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের ওপর আল্লাহ অভিশাপ দেন এবং তাদের জন্য তিনি অপমানকর শাস্তি তৈরি করে রেখেছেন’’- (সূরাহ্ আল আহযা্ব ৩৩ : ৫৭)। কিন্তু ব্যক্তিটি অজ্ঞতা বা ভুলবশত করে থাকলে বিধায় তা কুফরী হিসেবে গণ্য হবে না। কারো মতে, হতে পারে ঐ ব্যক্তিটি মুনাফিক্ব ছিল। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিফাক্বী কপটতা সম্পর্কে জানতেন বিধায় তাকে ইমামতি থেকে নিষেধ করেছিলেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ