হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬৬০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৬০-[৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সেনাবাহিনী নিয়ে কোথাও যখন যেতেন ভোরে শত্রুদের ওপর) আক্রমণ চালাতেন। ভোরে তিনি কান পেতে আযান শোনার অপেক্ষায় থাকতেন। (যে স্থানে আক্রমণ করার পরিকল্পনা হতো) ওখান থেকে আযানের ধ্বনি কানে ভেসে এলে আক্রমণ করতেন না। আর আযানের ধ্বনি কানে ভেসে না এলে আক্রমণ করতেন। একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শত্রুর ওপর আক্রমণ করার জন্য রওনা হতে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তিনি এক ব্যক্তিকে ’আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার’ বলতে শুনলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ইসলামের উপর আছে (কারণ আযান মুসলিমরাই দেয়)। এরপর ওই ব্যক্তি বলল, ’’আশ্হাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’’ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি (শির্ক থেকে বিরত থাকার কারণে) জাহান্নাম থেকে বেঁচে গেলে। সাহাবীগণ চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন, আযানদানকারী তা বকরীর পালের রাখাল। (মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الْاَذَانِ وَاِجَابَةِ الْـمُؤَذِّنِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُغِيرُ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَكَانَ يَسْتَمِعُ الْأَذَانَ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلَّا أَغَارَ فَسَمِعَ رَجُلًا يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَى الْفِطْرَةِ» ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَرَجْتَ من النَّار» فنظروا فَإِذا هُوَ راعي معزى. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: কোন এলাকায় আযান শোনা গেলে, সে এলাকায় আক্রমণ করা যাবে না। কোন অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে আযানের বাক্য শোনা গেলে বুঝতে হবে সে দীন তথা ইসলামের মধ্যে অবস্থান করছে। কেননা, আযান শুধু মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট। আর আযানের তাকবীরও মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট। ‘আল্লামা খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, আযান হলো ইসলাম ধর্মের নিদর্শন। অর্থাৎ- আযানের মাধ্যমে বুঝা যাবে যে, কোন ব্যক্তি বা কোন জাতি মুসলিম কিনা? যদি কোন দেশের অধিবাসীরা আযান ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করে, তাহলে ইসলামী রাষ্ট্রের সুলতানের দায়িত্ব হলো তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করা। আযান শোনার সুবিধার্থে কিছুক্ষণ যুদ্ধ বন্ধ রাখা যাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ