হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান

৬৫৫-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাতের জন্য আযান দিতে থাকলে শায়ত্বন (শয়তান) পিঠ ফিরিয়ে পালায় ও বায়ু ছাড়তে থাকে, যাতে আযানের শব্দ তার কানে না পৌঁছে। আযান শেষ হয়ে গেলে সে ফিরে আসে। আবার যখন ইক্বামাত(ইকামত/একামত) শুরু হয় পিঠ ফিরিয়ে পালাতে থাকে। ইক্বামাত(ইকামত/একামত) শেষ হলে আবার ফিরে আসে। সালাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করতে থাকে। সে বলে, অমুক বিষয় স্মরণ কর। অমুক বিষয় স্মরণ কর। যেসব বিষয় তার মনে ছিল না সব তখন তার মনে পড়ে যায়। পরিশেষে মানুষ অবচেতন হয় আর বলতে পারে না কত রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ فَضْلِ الْاَذَانِ وَاِجَابَةِ الْـمُؤَذِّنِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «إِذا نُودي للصَّلَاة أدبر الشَّيْطَان وَله ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ التَّأْذِينَ فَإِذَا قَضَى النِّدَاءَ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قَضَى التَّثْوِيبَ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطِرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ يَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَظَلَّ الرجل لَا يدْرِي كم صلى»

ব্যাখ্যা: (أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَه ضُرَاطٌ) ‘‘শায়ত্বন (শয়তান) পিঠ ফিরিয়ে পালায় ও বায়ু ছাড়তে থাকে।’’ শায়ত্বন (শয়তান) দ্বারা উদ্দেশ্য ইবলীস ও তার সমজাতীয় জিন্। মলদ্বার দিয়ে বায়ু নির্গত হওয়াকে ضُرَاطٌ বলা হয়। প্রকৃতপক্ষেই শায়ত্বনের (শয়তানের) মলদ্বার দিয়ে বায়ু নির্গত হতে পারে। কেননা মানুষের যেমন শরীর আছে শায়ত্বনেরও তদ্রূপ শরীর আছে, তারা পানাহারও করে থাকে। অতএব তাদের বায়ু নির্গত হওয়া সম্ভব। আর এ বায়ু নির্গত হওয়ার কারণ এই যে, আযানের শব্দ শ্রবণ করার ফলে তাদের অন্তরে ভীষণ ভয়ের সৃষ্টি হয়। আর এ ভয়ের কারণেই তাদের অনিচ্ছায়ই এ বায়ু নির্গত হয়।

‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী আলক্বারী বলেনঃ গাধার বোঝা বেশী ভার হওয়ার কারণে বোঝা বহনের সময় যেমন তার মলদ্বার দিয়ে বায়ু নির্গত হয় তেমনি আযানের শব্দ শায়ত্বনের জন্য সহ্য শক্তির চাইতে ভার হওয়ার কারণে তার বায়ু নির্গত হয়। এটাও বলা হয়ে থাকে যে, শায়ত্বন ইচ্ছাকৃতভাবেই এ সময় বায়ু ছাড়ে যাতে এ বায়ুর আওয়াজের কারণে আযানের শব্দ তার কানে না পৌঁছে।

(حَتّى لَا يَسْمَعَ التَّأْذِينَ) ‘‘যাতে আযানের শব্দ তার কানে না পৌঁছে’’ এ বাক্য দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আযানের শব্দ উচ্চৈঃস্বরে হওয়া মুস্তাহাব।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ