হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৭১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা

১৭১-[৩২] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতের ওপর এমন একটি সময় আসবে যেমন বনী ইসরাঈলের ওপর এসেছিল। যেমন এক পায়ের জুতা অপর পায়ের জুতার ঠিক সমান হয়। এমনকি বনী ইসরাঈলের মধ্যে যদি কেউ তার মায়ের সাথে প্রকাশ্যে কুকর্ম করে থাকে, তাহলে আমার উম্মাতের মধ্যেও এমন লোক হবে যারা অনুরূপ কাজ করবে। আর বনী ইসরাঈল ৭২ ফিরক্বায় (দলে) বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। আমার উম্মাত বিভক্ত হবে ৭৩ ফিরক্বায়। এদের মধ্যে একটি ব্যতীত সব দলই জাহান্নামে যাবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! জান্নাতী দল কারা? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যার ওপর আমি ও আমার সাহাবীগণ প্রতিষ্ঠিত আছি, যারা তার উপর থাকবে। (তিরমিযী)[1]

باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنَّ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلَانِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلَّا مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمن هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وأصحابي» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: হাদীসে যে বিভক্তির কথা বলা হয়েছে তা সাধারণ বিভক্তি নয় বরং এখানে বলা হয়েছে ঐ বিভক্তির কথা যা দ্বারা বিভিন্ন দলে, গ্রুপে, ফিরকায় এবং জামা‘আতে বিভক্ত হয়ে এক অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পারস্পরিক সম্পর্ক ভালোবাসা এবং সহযোগিতার উপর নেই, বরং এর বিপরীতে একজন থেকে অন্যজন বিচ্ছিন্ন সম্পর্কহীন ও হিংসা বিদ্বেষের উপর রয়েছে এবং একে অপরকে পথভ্রষ্ট, কাফির ও ফাসিক্ব বলে আখ্যা দিচ্ছে। আর এ অবস্থায় উপনীত হওয়ার কারণ হচ্ছে শারী‘আতের বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ও পারস্পরিক বিদ্বেষ পোষণ করা এবং নাবীর সুন্নাত থেকে বের হয়ে যাওয়া।

ই‘তিসাম নামক গ্রন্থে ‘আল্লামা শাত্বিবী বলেছেনঃ হাদীসে বর্ণিত ফিরকাহ্ দ্বারা কেবলমাত্র ‘আক্বীদার মূলনীতিগত ব্যাপারে যারা ফিরকার সৃষ্টি করেছে, যেমনঃ জাবারিয়াহ্, ক্বদারিয়্যাহ্, মুরজিয়াহ্ ও অন্য আরো যাদের কথা বলা হয়েছে শুধু তারাই নয়। বরং কুরআন ও হাদীস প্রমাণ করছে সার্বিক বিষয়ে এবং সাধারণভাবে বিভক্তির উপর যেমন- আল্লাহর বাণীঃ

إِنَّ الَّذِيْنَ فَرَّقُوْا دِيْنَهُمْ وَكَانُوْا شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ

‘‘যারা নিজেদের (পূর্ণ পরিণত) দীনকে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করে নিয়েছে আর (আপন আপন অংশ নিয়ে) দলে দলে ভাগ হয়ে গেছে তাদের কোন কাজের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই।’’ (সূরাহ্ আল আন্‘আম ৬ঃ ১৫৯)

এ আয়াতে দীনে বিভক্তির কথা বলা হয়েছে। আর দীন শব্দটি ‘আক্বীদাহ্ ও ‘আক্বীদাগত বিষয় ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের কথা ও কর্মের অন্তর্ভুক্ত।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ