হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৩২৩. রমযান মাসের রাত্রিকালীন নামায।

১৩৭৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রমযান মাসে রোযাব্রত পালন করেছি। তিনি রমযান মাসের প্রথম দিকে (তারাবীহ নামায) আমাদের সাথে আদায় করেন নাই। অতঃপর উক্ত মাসের মাত্র সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকতে তিনি আমাদের নিয়ে নামায (তারাবীহ) আদায় করেন; এভাবে রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়। অতঃপর তিনি ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ পরের রাত) আমাদের সাথে (তারাবীহ) নামায আদায় করেন নাই। পরে পঞ্চম রাতে তিনি আমাদের সাথে নামায আদায় করাকালে রাতের অর্ধাংশ অতিবাহিত করেন।

রাবী বলেনঃ ঐ সময় আমি তাঁকে বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য রজনীতে আপনি যদি আমাদের সাথে সারা রাত নামায আদায় করতেন, তবে কত উত্তম হত। তখন তিনি বলেনঃ কেউ জামাআতের সাথে (ইশার নামায) আদায় করে ঘরে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে সারা রাতের জন্য নামাযী হিসাবে গণ্য করা হয়। রাবী বলেনঃ তিনি চতুর্থ রাতে (২৭শে রমযান) মসজিদে আসেন নাই (তারাবীর নামায আদায়ের জন্য)।

অতঃপর তৃতীয় রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনদেরকে এবং অন্যান্য লোকদেরকে একত্রিত করে জামাআতের সাথে (তারাবীর) নামায আদায় করেন (এবং তার সময় এত দীর্ঘ হয় যে,) আমাদের আশংকা হচ্ছিল যে, হয়ত আমারা “ফালাহ্”-র সুযোগ হারিয়ে ফেলব। রাবী বলেন, আমি তখন জিজ্ঞাসা করিঃ ’ফালাহ’ কি? তিনি বলেনঃ সেহরী খাওয়া। অতঃপর তিনি উক্ত মাসের বাকী দিনগুলিতে (২৯ ও ৩০) আমাদের সাথে জামাআতে আর তারাবীহ আদায় করেন নাই। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজা)।

باب فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هَذِهِ اللَّيْلَةِ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتَّى خَشِينَا أَنْ يَفُوتَنَا الْفَلاَحُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ ‏.‏


Narrated AbuDharr:

We fasted with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan, but he did not make us get up at night for prayer at any time during the month till seven nights remained; then he made us get up for prayer till a third of the night had passed. When the sixth remaining night came, he did not make us get up for prayer. When the fifth remaining night came, he made us stand in prayer till a half of the night had gone.

So I said: Messenger of Allah, I wish you had led us in supererogatory prayers during the whole of tonight.

He said: When a man prays with an imam till he goes he is reckoned as having spent a whole night in prayer. On the fourth remaining night he did not make us get up. When the third remaining night came, he gathered his family, his wives, and the people and prayed with us till we were afraid we should miss the falah (success).

I said: What is falah? He said: The meal before daybreak. Then he did not make us get up for prayer during the remainder of the month.