হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৪৪

পরিচ্ছেদঃ তায়াম্মুম।

১৪৪. আবূ হাফস আমর ইবনু আলী আল ফাললাস (রহঃ) .... আম্মার ইবনু ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চেহারা ও দুই হাত পর্যন্ত মাসেহ করে তায়াম্মুম করতে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন। - আবু দাউদ ৩৫০,৩৫৩, বুখারি ও মুসলিম (আরো পূর্ণ রূপে বর্ণনা করেছেন) তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আয়িশা, ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ। আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। একাধিক ফকীহ সাহাবীর অভিমত এ-ই। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আলী, আম্মার, ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু।

একাধিক তাবিঈ ও এইরূপ মত পোষণ করেন। তাঁদের মাঝে রয়েছেন, শাবী, আতা ও মাকহুল। তারা বলেন তায়াম্মুম হল চেহারা ও করদ্বয়ে হাত মারা। ইমাম আহমদ ও ইসহাকও অনুরূপ ব্যক্ত করেছেন। ইবনু উমর, জাবির, ইবরাহীম, হাসান (রহঃ) সহ আলিমদের কেউ কেউ বলেন যে, তায়াম্মুম হল, চেহারার জন্য একবার এবং কনুই পর্যন্ত হাতদ্বয়ের জন্য আরেকবার মাসেহর উদ্দেশ্য হাত মারা।

সুফইয়াত ছাওরী, মালিক, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ (রহঃ)ও এই ধরনের অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। চেহারা ও করদ্বয়ের উল্লেখ সম্বলিত তায়াম্মুম বিষয়ক এই হাদিসটি আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এ-ও বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে থেকে আমরা কাঁধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করেছি। কাঁধ ও বগল পর্যন্ত তায়াম্মুম করা সম্পর্কে আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিসটির কারণে তাঁর বর্ণিত চেহারা ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত পর্যন্ত সম্পর্কিত হাদিসটিকে আলিমদের কেউ কেউ যঈফ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ইবনু মাখলাদ আল হানযালী (রহঃ) বলেন আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত চেহারা ও করদ্বয় তায়াম্মুম করার হাদিসটি হাসান ও সহীহ। এই হাদিসটির সাথে কাঁদ ও বগল সম্পর্কিত আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদিসটির মূলত কোন বিরোধ নেই। কেননা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতে তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে এতে তিনি উল্লেখ করেননি বরং তিনি বলেছেন, আমরা এরূপ করেছি। এতে বোঝা যায়, প্রথমে নিজে থেকে এই ধরনের তায়াম্মুম করেছিলেন পরে তিনি যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে চেহারা ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে শেষ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা শিক্ষা দিলেন তা অর্থাৎ চেহারা ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার কথা স্থির হয়।

এর প্রমাণ হল, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর আম্মার রাদিয়াল্লাহু আনহু তায়াম্মুম সম্বন্ধে চেহারা ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করার ফতওয়া দিয়েছেন। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, শেষে তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিক্ষা অনুসারে চেহারা ও দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তায়াম্মুম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি নিজে অন্যদের এ কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন। আবূ যুর’আ উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদিল করীম (রহঃ) কে বলতে শুনেছি আলী ইবনু আল মাদীনী, ইবনুুশ শাযাকূনী এবং আমর ইবনু আলী আল ফাল্লাস (রহঃ) এই তিনজন অপেক্ষা অধিক স্বরণশক্তি সম্পন্ন বসরায় আমি আর কাউকে দেখিনি। আবূ যুরআ (রহঃ) আরো বলেনঃ আমর ইবনু আলী থেকে আফফান ইবনু মুসলিমও হাদিস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّيَمُّمِ

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلاَّسُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالتَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمَّارٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيٌّ وَعَمَّارٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ مِنْهُمُ الشَّعْبِيُّ وَعَطَاءٌ وَمَكْحُولٌ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَجَابِرٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَالْحَسَنُ قَالُوا التَّيَمُّمُ ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ وَضَرْبَةٌ لِلْيَدَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمَّارٍ أَنَّهُ قَالَ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ فَضَعَّفَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ حَدِيثَ عَمَّارٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لَمَّا رُوِيَ عَنْهُ حَدِيثُ الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَخْلَدٍ الْحَنْظَلِيُّ حَدِيثُ عَمَّارٍ فِي التَّيَمُّمِ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ هُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَحَدِيثُ عَمَّارٍ تَيَمَّمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالآبَاطِ لَيْسَ هُوَ بِمُخَالِفٍ لِحَدِيثِ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ لأَنَّ عَمَّارًا لَمْ يَذْكُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُمْ بِذَلِكَ وَإِنَّمَا قَالَ فَعَلْنَا كَذَا وَكَذَا فَلَمَّا سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَهُ بِالْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَانْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا أَفْتَى بِهِ عَمَّارٌ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي التَّيَمُّمِ أَنَّهُ قَالَ الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ فَفِي هَذَا دَلاَلَةٌ أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى مَا عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَّمَهُ إِلَى الْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الْكَرِيمِ يَقُولُ لَمْ أَرَ بِالْبَصْرَةِ أَحْفَظَ مِنْ هَؤُلاَءِ الثَّلاَثَةِ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَابْنِ الشَّاذَكُونِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلاَّسِ ‏.‏ قَالَ أَبُو زُرْعَةَ وَرَوَى عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ حَدِيثًا ‏.‏


Ammar bin Yasir narrated that :
the Prophet ordered him to perform Tayammum by rubbing his face and two palms.