পরিচ্ছেদঃ ২১/ বৃষ্টি বন্ধের দোয়ার সময় ইমামের হস্তদ্বয় উঠানো

১৫৩১। মাহমুদ ইবনু খালিদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। এমত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু’আর দিন মিম্বরের উপর খুতবা দিচ্ছিলেন। এক গ্রাম্য ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (ঘাস বিচালির সংকট হেতু) গবাদি পশুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে, আর পরিবারবর্গ ক্ষুধায় কষ্ট পাচ্ছে। অতএব আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর সমীপে দোয়া করুন।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হস্তদ্বয় উঠালেন। ঐ সময় আমরা আকাশে মেঘের কোন টূকরাও দেখতে পাচ্ছিলাম না। ঐ সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, তিনি হস্তদ্বয় নামাতেও পারলেন না, ইত্যবসরে মেঘমালা পাহাড়ের ন্যায় বিস্তৃত হয়ে গেল। তার তিনি মিম্বর থেকে নামতেও পারছিলেন না, আমি দেখলাম, ইতিমধ্যে বৃষ্টি তাঁর দাড়ি বেয়ে ফৌটায় ফোটায় গড়িয়ে পড়ছে।

সে দিন, পরবর্তী দিন এবং তার পরের দিন থেকে পরবর্তী জুমআ পর্যন্ত আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হল। রাবী বলেন, তখন উক্ত গ্রাম্য ব্যক্তি অথবা অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (বৃষ্টির আধিক্য হেতু) ঘর-বাড়ী তো ধীরে ধীরে বিধবস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদী পশুগুলো ডুবে যাচ্ছে। অতএব, আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর সমীপে দোয়া করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হস্তদ্বয় উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ! তুমি আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর, আমাদের উপরে নয়।

তিনি তার হাত দ্বারা মেঘমালার কোন খন্ডের দিকে ইশারা করতেই তা এমনভাবে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল যাতে মদীনার (আকাশ) একটি বড় গর্তের মত দেখাচ্ছিল। (অর্থাৎ মদীনার আকাশের চতুষ্পার্শে মেঘমালা এমনভাবে বিস্তৃত হলো যে, মদীনা বরাবর আকাশ একটি গোলাকার গর্তের ন্যায় মেঘমুক্ত হলো এবং মাঠে ময়দানে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হচ্ছিল আর মদীনার আশ-পাশ থেকে যারাই আসছিল তারাই বৃষ্টির আধিক্যের সংবাদ দিচ্ছিল।

باب رَفْعِ الإِمَامِ يَدَيْهِ عِنْدَ مَسْأَلَةِ إِمْسَاكِ الْمَطَرِ

أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو عَمْرٍو الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أَصَابَ النَّاسُ سَنَةٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا ‏.‏ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا وَضَعَهَا حَتَّى ثَارَ سَحَابٌ أَمْثَالُ الْجِبَالِ ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْتُ الْمَطَرَ يَتَحَادَرُ عَلَى لِحْيَتِهِ فَمُطِرْنَا يَوْمَنَا ذَلِكَ وَمِنَ الْغَدِ وَالَّذِي يَلِيهِ حَتَّى الْجُمُعَةِ الأُخْرَى فَقَامَ ذَلِكَ الأَعْرَابِيُّ أَوْ قَالَ غَيْرَهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ وَغَرِقَ الْمَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا ‏.‏ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ فَقَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا ‏"‏ ‏.‏ فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّحَابِ إِلاَّ انْفَرَجَتْ حَتَّى صَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْجَوْبَةِ وَسَالَ الْوَادِي وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلاَّ أَخْبَرَ بِالْجَوْدِ ‏.‏

اخبرنا محمود بن خالد، قال حدثنا الوليد بن مسلم، قال انبانا ابو عمرو الاوزاعي، عن اسحاق بن عبد الله، عن انس بن مالك، قال اصاب الناس سنة على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فبينا رسول الله صلى الله عليه وسلم يخطب على المنبر يوم الجمعة فقام اعرابي فقال يا رسول الله هلك المال وجاع العيال فادع الله لنا ‏.‏ فرفع رسول الله صلى الله عليه وسلم يديه وما نرى في السماء قزعة والذي نفسي بيده ما وضعها حتى ثار سحاب امثال الجبال ثم لم ينزل عن منبره حتى رايت المطر يتحادر على لحيته فمطرنا يومنا ذلك ومن الغد والذي يليه حتى الجمعة الاخرى فقام ذلك الاعرابي او قال غيره فقال يا رسول الله تهدم البناء وغرق المال فادع الله لنا ‏.‏ فرفع رسول الله صلى الله عليه وسلم يديه فقال ‏ "‏ اللهم حوالينا ولا علينا ‏"‏ ‏.‏ فما يشير بيده الى ناحية من السحاب الا انفرجت حتى صارت المدينة مثل الجوبة وسال الوادي ولم يجى احد من ناحية الا اخبر بالجود ‏.‏


It was narrated that Anas bin Malik said:
"There was a drought during the time of the Messenger of Allah (ﷺ). While the Messenger of Allah (ﷺ) was giving the Khutbah on the minbar one Friday, a Bedouin stood up and said: 'O Messenger of Allah wealth has been destroyed and our children are hungry; pray to Allah for us.' The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands, and we could not see even a wisp of a cloud in the sky, but by the One in Whose hand is my soul, he did not lower (his hands) before clouds like mountains appeared, and he did not come down from his minbar before we saw the rain dripping from his beard. It rained that day and the next day, and the day after, until the following Friday. Then that Bedouin"- or he said, "Someone else"- "stood up and said: 'O Messenger of Allah, buildings have been destroyed and wealth has drowned; pray to Allah (SWT) for us. The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands and said: 'O Allah, around us and not on us.' He did not point in any direction but the clouds dispersed, until Al-Madinah became like a hole. And the valleys ran with water and no one came from any direction but he told us of the heavy rains."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৭/ ইস্তিস্কা [বৃষ্টির জন্য দুয়া করা] (كتاب الاستسقاء) 17/ The Book of Praying for Rain (Al-Istisqa')