পরিচ্ছেদঃ ১২/ অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৭৯। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আমরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমার কাছে একজন ইয়াহুদী মহিলা এসে কিছু চাচ্ছিল। সে বলল, আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে মুক্তি দান করুন। তারপর যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন, আমি তাকে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! মানূষদের কি কবর আযাব দেওয়া হবে? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে (তা থেকে) পানাহ চাচ্ছি তারপর তিনি বাহনে আরোহণ করলেন, ইতিমধ্যে সূর্যগ্রহণ লেগে গেল।

তখন আমি অন্যান্য মহিলাদের সাথে হুজরা সমুহের মধ্যবর্তী স্থানে ছিলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সওয়ারীর স্থান থেকে ফিরে এসে তাঁর সালাতের স্থানে আসলেন এবং মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। তিনি সালাতে দাঁড়ালেন এবং দাঁড়ানোকে দীর্ঘায়িত করলেন, তারপর রুকু করলেন আর রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন।

তারপর তার মাথা উঠালেন ও (পরবর্তী) দাঁড়ানোকেও দীর্ঘ করলেন। পুনরায় রুকু করলেন এবং রুকু দীর্ঘায়িত করলেন। তারপর মাথা উত্তোলন করলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। পরে সিজদা করলেন এবং সিজদাকেও দীর্ঘ করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং এ দাঁড়ানো ছিল প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। তারপর রুকু করলেন পূর্ববর্তী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। পরে তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন যা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল। পরে রুকু করলেন যা পুর্ববতী রুকু থেকে সংক্ষিপ্ত। এরপর তার মাথা উঠালেন ও দাঁড়ালেন এবং তা পূর্ববর্তী দাঁড়ানো থেকে সংক্ষিপ্ত ছিল।

অতএব মোট চার রুকু এবং চার সিজদা। আর (ইত্যবসরে) সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের কবরে দাজ্জালের পরীক্ষার ন্যায় পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এর পরে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে শুনেছি।

باب نَوْعٌ آخَرُ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - هُوَ الأَنْصَارِيُّ - قَالَ سَمِعْتُ عَمْرَةَ، قَالَتْ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ جَاءَتْنِي يَهُودِيَّةٌ تَسْأَلُنِي فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏‏.‏‏ فَلَمَّا جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي الْقُبُورِ فَقَالَ عَائِذًا بِاللَّهِ فَرَكِبَ مَرْكَبًا - يَعْنِي - وَانْخَسَفَتِ الشَّمْسُ فَكُنْتُ بَيْنَ الْحُجَرِ مَعَ نِسْوَةٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَرْكَبِهِ فَأَتَى مُصَلاَّهُ فَصَلَّى بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ أَيْسَرَ مِنْ رُكُوعِهِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ أَيْسَرَ مِنْ قِيَامِهِ الأَوَّلِ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ ‏‏ "‏‏ إِنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ كَفِتْنَةِ الدَّجَّالِ ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَمِعْتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ‏‏.‏‏

اخبرنا عمرو بن علي، قال حدثنا يحيى بن سعيد، قال حدثنا يحيى بن سعيد، - هو الانصاري - قال سمعت عمرة، قالت سمعت عاىشة، تقول جاءتني يهودية تسالني فقالت اعاذك الله من عذاب القبر ‏‏.‏‏ فلما جاء رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت يا رسول الله ايعذب الناس في القبور فقال عاىذا بالله فركب مركبا - يعني - وانخسفت الشمس فكنت بين الحجر مع نسوة فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم من مركبه فاتى مصلاه فصلى بالناس فقام فاطال القيام ثم ركع فاطال الركوع ثم رفع راسه فاطال القيام ثم ركع فاطال الركوع ثم رفع راسه فاطال القيام ثم سجد فاطال السجود ثم قام قياما ايسر من قيامه الاول ثم ركع ايسر من ركوعه الاول ثم رفع راسه فقام ايسر من قيامه الاول ثم ركع ايسر من ركوعه الاول ثم رفع راسه فقام ايسر من قيامه الاول فكانت اربع ركعات واربع سجدات وانجلت الشمس فقال ‏‏ "‏‏ انكم تفتنون في القبور كفتنة الدجال ‏‏"‏‏ ‏‏.‏‏ قالت عاىشة فسمعته بعد ذلك يتعوذ من عذاب القبر ‏‏.‏‏


Amrah said:
"I heard Aishah say: 'A Jewish woman came to me begging, and said: May Allah grant you protection from the torment of the grave.' When the Messenger of Allah (ﷺ) came, I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ), will people be tormented in their graves?' He sought refuge with Allah (SWT) and climbed onto his mount. The sun became eclipsed while I was between the apartments with some women. The Messenger of Allah (ﷺ) came from his mount and came to his prayer place, and led the people in prayer.He stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raised his head and stood for a long time, then he bowed for a long time, then he raised his head and stood for a long time, then he prostrated for a long time. Then he stood for a shorter time than in the first (rak'ah), then he bowed for a shorter time than the first, then he raised his head and stood for a shorter time than the first, then he bowed for a shorter time than the first, then he raised his head and stood for a shorter time than the first, so he bowed four times and prostrated four times, and the eclipse ended. He said: "You will be tried in your graves like the trial of the Dajjal.' Aishah said: 'I heard him after that seeking refuge with Allah from the torment of the grave.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses

পরিচ্ছেদঃ ১২/ অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৮০। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য গ্রহণের সময় যমযমের নিকটস্থ ময়দানে চার রুকু এবং চার সিজদাসহ সালাত আদায় করেছিলেন।

باب نَوْعٌ آخَرُ

أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي كُسُوفٍ فِي صُفَّةِ زَمْزَمَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ ‏‏.‏‏

اخبرنا عبدة بن عبد الرحيم، قال انبانا ابن عيينة، عن يحيى بن سعيد، عن عمرة، عن عاىشة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى في كسوف في صفة زمزم اربع ركعات في اربع سجدات ‏‏.‏‏


It was narrated from Aishah that:
The Messenger of Allah (ﷺ) prayed during an eclipse in a shaded area near Zamzam, bowing four times and prostrating four times.


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses

পরিচ্ছেদঃ ১২/ অন্য আর এক প্রকার বর্ণনা

১৪৮১। আবূ দাঊদ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ভীষণ গরমের দিনে সুর্যের গ্রহণ লেগে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং দাঁড়ানোকে এত দীর্ঘয়িত করলেন যে, সাহাবীরা পড়ে যেতে লাগলেন। তারপর রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘয়িত করলেন এরপর মাথা উঠালেন এবং তাও দীর্ঘ করলেন। পরে রুকু করলেন এবং তাও দীর্ঘায়িত করলেন, পরে মাথা উঠালেন, আর তাও দীর্ঘায়িত করলেন।

তারপর দুটো সিজদা করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং অনুরূপ করলেন। আর কখনো সম্মুখে এগিয়ে যেতে লাগলেন এবং কখনো পেছনে সরে যেতে লাগলেন এভাবে মোট চার রুকু এবং চার সিজদা হল। তারা বলতেন যে, তাদের কোন বড় ব্যক্তির মৃত্যু ছাড়া চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয় না। অথচ সূর্য এবং চন্দ্র হল আল্লাহর নিদর্শন সমূহের দুটি নিদর্শন যা আল্লাহ তোমাদের দেখান। অতএব যখন সূর্যগ্রহণ লাগে তখন তোমরা সূর্য আলোকিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে।

باب نَوْعٌ آخَرُ

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، صَاحِبُ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ وَجَعَلَ يَتَقَدَّمُ ثُمَّ جَعَلَ يَتَأَخَّرُ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَائِهِمْ وَإِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُرِيكُمُوهُمَا فَإِذَا انْخَسَفَتْ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ ‏‏.‏‏

اخبرنا ابو داود، قال حدثنا ابو علي الحنفي، قال حدثنا هشام، صاحب الدستواىي عن ابي الزبير، عن جابر بن عبد الله، قال كسفت الشمس على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم في يوم شديد الحر فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم باصحابه فاطال القيام حتى جعلوا يخرون ثم ركع فاطال ثم رفع فاطال ثم ركع فاطال ثم رفع فاطال ثم سجد سجدتين ثم قام فصنع نحوا من ذلك وجعل يتقدم ثم جعل يتاخر فكانت اربع ركعات واربع سجدات كانوا يقولون ان الشمس والقمر لا يخسفان الا لموت عظيم من عظماىهم وانهما ايتان من ايات الله يريكموهما فاذا انخسفت فصلوا حتى تنجلي ‏‏.‏‏


It was narrated that Jabir bin 'Abdullah said:
"The sun eclipsed during the time of the Messenger of Allah (ﷺ) on a very hot day. The Messenger of Allah (ﷺ) led his companions in prayer, and he stood for so long that they started to fall over. Then he bowed for a long time, then he stood up (and remained standing) for a long time. Then he bowed again for a long time, then he stood up (again) and (remained standing) for a long time. Then he prostrated twice, then he stood up and did the same again. He started to move forward, then he started to step back. He bowed four times and prostrated four times. They used to say that eclipses of the sun and moon only happened when one of their great men died, but they are two of the signs of Allah (SWT) that He shows to you, so when an eclipse happens, pray until it is over."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৬/ গ্রহন [চন্দ্র সূর্য] (كتاب الكسوف) 16/ The Book of Eclipses
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে