পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার

৫৫২৭-[৭] আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমি কিভাবে আরাম-আয়েশে থাকতে পারি? অথচ শিঙ্গাওয়ালা (ইসরাফীল আলাইহিস সালাম) শিঙ্গা মুখে দাবিয়ে রেখেছেন, কান ঝুঁকিয়ে রেখেছেন, মাথা নুয়ে রেখেছেন। তিনি কেবল এ প্রতীক্ষায় রয়েছেন যে, তাতে ফুঁক দেয়ার জন্য কখন নির্দেশ দেয়া হয়। এ কথা শুনে লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! যখন অবস্থা এমনই, তাহলে আমাদেরকে কি করতে আদেশ দেন? তিনি (সা.) বললেন, তোমরা (حَسْبُنَا اللَّهُ ونِعمَ الْوَكِيل) (আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কার্য নির্বাহক) পড়তে থাক। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب النفخ فِي الصُّور)

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ أَنْعَمُ وَصَاحِبُ الصُّورِ قَدِ الْتَقَمَهُ وَأَصْغَى سَمْعَهُ وَحَنَى جَبْهَتَهُ يَنْتَظِرُ مَتَى يُؤْمَرُ بِالنَّفْخِ» . فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: قُولُوا: حَسْبُنَا اللَّهُ ونِعمَ الْوَكِيل . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2431 وقال : حسن ، 3243) * عطیۃ العوفی ضعیف

عن أبي سعيد الخدري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «كيف أنعم وصاحب الصور قد التقمه وأصغى سمعه وحنى جبهته ينتظر متى يؤمر بالنفخ» . فقالوا: يا رسول الله وما تأمرنا؟ قال: قولوا: حسبنا الله ونعم الوكيل . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: (أَنْعَمُ) অর্থাৎ আমি খুশিতে থাকব কিভাবে? বা সুখী জীবন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবনযাপন করব কিভাবে? নিহায়াতে রয়েছে, এটা (نَعْمَة) (নূনে যবর যোগে) থেকে গৃহীত, এর অর্থ সুখ, আনন্দ, বিলাসিতা। (التقام) (মুখে বাঁশির মাথা রাখা) এবং (إِصْغَاءِ) (মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা)।
ক্বাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এর অর্থ কিভাবে আমার জীবনযাপন সুখের হবে অথচ শিঙ্গায় ফুঁক দেয়ার সময় অতি আসন্ন। এর দ্বারা এ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাঁশিওয়ালা তার মুখে বাঁশির মাথাকে রেখে প্রতিক্ষা করছে যাতে সে নির্দেশ দেয়া মাত্র ফুঁ দিতে পারে।
(حَسْبُنَا اللَّهُ) এটা মুবতাদা ও খবর অর্থাৎ (كَفِينَا اللَّهُ) “আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট”। এখানে (مَخْصُوصُ بِالْمَدْح) উহ্য রয়েছে। যা মূলত ছিল (نِعْمَ الْمَوْكُولُ إِلَيْهِ اللَّهُ) মহাশক্তিশালী হিসেবে আল্লাহ উত্তম। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৪৩১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার

৫৫২৮-[৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: ’সূর’ হলো একটি শিং যাতে ফুঁ দেয়া হবে। (তিরমিযী, আবূ দাউদ ও দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب النفخ فِي الصُّور)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الصُّورُ قَرْنٌ يُنْفَخُ فِيهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2430 وقال : حسن صحیح) و ابوداؤد (4742) و الدارمی (2 / 325 ح 2801)

وعن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «الصور قرن ينفخ فيه» . رواه الترمذي وأبو داود والدارمي

 ব্যাখ্যা: (قَرْنٌ يُنْفَخُ) অর্থাৎ শিঙ্গায় ইসরাফীল আলায়হিস সালাম দু’বার ফুৎকার দিবেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা. ২৪৩০)
কেউ কেউ বলেন, শিঙ্গার মাথা আসমান ও জমিনের প্রস্থতার সমান। কেউ কেউ বলেন, শিঙ্গার মাথা আসমান ও জমিনের প্রস্থতার সমপরিমাণ গোলাকার। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৩৭৯)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৮: সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামতের বিভিন্ন অবস্থা (كتاب أَحْوَال الْقِيَامَة وبدء الْخلق)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে