পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়া এবং যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল তখন হতেই তার কিয়ামত সংঘটিত হয়ে গেল।

৫৫১৩-[৫] মুসতাওরিদ ইবনু শাদ্দাদ (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: আমি কিয়ামতের (সময়ের) শুরুতেই প্রেরিত হয়েছি। অবশ্য আমি তা হতে এতটুকু পরিমাণ আগে আগমন করছি, যে পরিমাণ এ অঙ্গুলি ঐ অঙ্গুলি হতে বেড়ে রয়েছে। এ কথা বলে তিনি স্বীয় তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলির প্রতি ইঙ্গিত করলেন। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابُ قُرْبِ السَّاعَةِ وَأَنَّ مَنْ مَاتَ فَقَدْ قَامَت قِيَامَته)

عَن الْمُسْتَوْرد بن شَدَّاد عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بُعِثْتُ فِي نَفَسِ السَّاعَةِ فَسَبَقْتُهَا كَمَا سَبَقَتْ هذِه هذِه» وأشارَ بأصبعيهِ السبَّابةِ وَالْوُسْطَى. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2213 وقال : غریب) * مجالد ضعیف و عبیدۃ بن الاسود مدلس و عنعن و روی احمد (5 / 348) بلفظ :’’ بعث انا و الساعۃ جمیعًا ، ان کادت لتسبقنی ‘‘ و سندہ حسن ۔
(ضَعِيف)

عن المستورد بن شداد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «بعثت في نفس الساعة فسبقتها كما سبقت هذه هذه» وأشار بأصبعيه السبابة والوسطى. رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: (بُعِثْتُ فِي نَفَسِ السَّاعَةِ) অর্থাৎ কিয়ামতের আত্মপ্রকাশের অতি নিকটতম সময়ে আমি আবির্ভূত হয়েছি। তথা কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রথম লক্ষণ হলো নবী (সা.) -এর নুবুওয়্যাত লাভের মাধ্যমে দুনিয়ার আগমন করা। এটা আল্লামাহ্ তুরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ)-এর বক্তব্য। আর মিরাতের ভাষ্যও তাই।
(فَسَبَقْتُهَا) আমি কিয়ামতের অগ্রগামী হয়েছি যেমনভাবে তর্জনী মধ্যমা আঙ্গুলের অগ্রগামী হয়েছে। অর্থাৎ তর্জনী যেমন মধ্যমা আঙ্গুলের পাশে মিলে রয়েছে এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল থেকে একটু দূরত্বে রয়েছে তেমনি আমি ও কিয়ামত পাশাপাশি এসেছি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২১৩)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়া এবং যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করল তখন হতেই তার কিয়ামত সংঘটিত হয়ে গেল।

৫৫১৪-[৬] সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: আমি আশাবাদী যে, আমার উম্মাত তাদের প্রভুর কাছে এত অসহায় নয় যে, তিনি তাদেরকে অর্ধ দিনেরও অবকাশ দেবেন না। সা’দ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হলো, সেই অর্থ দিনের পরিমাণ কত? উত্তরে তিনি বললেন, পাঁচশত বছর। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَابُ قُرْبِ السَّاعَةِ وَأَنَّ مَنْ مَاتَ فَقَدْ قَامَت قِيَامَته)

وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا تَعْجِزَ أُمَّتِي عِنْدَ رَبِّهَا أَنْ يُؤَخِّرَهُمْ نِصْفَ يَوْمٍ» . قِيلَ لِسَعْدٍ: وَكَمْ نِصْفُ يَوْمٍ؟ قَالَ: خَمْسُمِائَةِ سَنَةٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

سندہ ضعیف ، رواہ ابوداؤد (4360) * السند منقطع ، شریح بن عبید لم یدرک سعدًا رضی اللہ عنہ ۔ (انظر التھذیب الکمال 3 / 380 تحقیق بشار عواد) ولہ شاھد ضعیف منقطع عند احمد (1 / 170 ح 1464) و حدیث ابی داود (4349 و سندہ صحیح) یغنی عن

وعن سعد بن أبي وقاص عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «إني لأرجو أن لا تعجز أمتي عند ربها أن يؤخرهم نصف يوم» . قيل لسعد: وكم نصف يوم؟ قال: خمسمائة سنة. رواه أبو داود

ব্যাখ্যা: (إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا تَعْجِزَ أُمَّتِي عِنْدَ رَبِّهَا أَنْ يُؤَخِّرَهُمْ نِصْفَ يَوْمٍ) আমি আশা করি আমার সম্পদশালী উম্মতেরা হিসাবের জন্য ধৈর্যধারণ করতে অক্ষম হবে না, তাদের প্রভুর নিকট। আমার সম্পদশালী উম্মতগণ দরিদ্র উম্মাতের সাথে জান্নাতে মিলিত হতে অর্ধ দিবস তথা কিয়ামতের অর্ধ দিবস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবে। হাদীসের বর্ণনাকারী সা'দ ইবনু আবূ ওয়াককাস-কে জিজ্ঞেস করা হলো, অর্ধ দিবস সময় কতটুকু? তিনি উত্তর দিলেন ৫০০ বছর। বর্ণনাকারী অর্ধ দিবসের পরিমাণ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআনের এই আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করেছেন, (وَ اِنَّ یَوۡمًا عِنۡدَ رَبِّکَ کَاَلۡفِ سَنَۃٍ مِّمَّا تَعُدُّوۡنَ) “নিশ্চয় তোমার প্রভুর নিকট একদিনের পরিমাণ হলো তোমাদের পার্থিব গণনায় এক হাজার বছর সমপরিমাণ”- (সূরাহ আল হাজ্জ ২২: ৪৭)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা'বুদ ৭ম খণ্ড, হা, ৪৩৪২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৭: ফিতনাহ (كتاب الْفِتَن)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে