পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৫৫-[১৭] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (হে লোক সকল!) তোমরা এমন সকল কাজ করে থাক যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চাইতেও চিকন। অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর যামানায় আমরা সেগুলোকে ধ্বংসাত্মক মনে করতাম। (বুখারী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

عَن أنسٍ قَالَ: إِنَّكُمْ لَتَعْمَلُونَ أَعْمَالًا هِيَ أَدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ مِنَ الشَّعْرِ كُنَّا نَعُدُّهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ من الموبقات. يَعْنِي المهلكات. رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (6492) ۔
(صَحِيح)

عن أنس قال: إنكم لتعملون أعمالا هي أدق في أعينكم من الشعر كنا نعدها على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم من الموبقات. يعني المهلكات. رواه البخاري

ব্যাখ্যা : (هِيَ أَدَقُّ فِي أَعْيُنِكُمْ) তোমরা কোন বড় ধরনের কাজ করার পরও তা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চাইতেও অতি নগণ্য বা তুচ্ছ কাজ বলে মনে হয়। অর্থাৎ তোমরা কোন ‘আমল করার পর তা তোমাদের নিকট বিরাট সাওয়াবের কাজ বলে মনে কর অথচ তা প্রকৃতপক্ষে তা নয়।
(من الموبقات) বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) তাঁর ব্যাখ্যায় বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর যুগে তাকে (الْمُهْلِكَاتِ) ধ্বংসকারী কাজ হিসেবে গণ্য করতাম। (ফাতহুল বারী ১১/৬৪৯২, মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৫৬-[১৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: হে ’আয়িশাহ! তুমি ঐ সকল গুনাহ থেকে বেঁচে থাক যেগুলোকে ছোট বলে ধারণা করা হবে। কেননা এ সমস্ত ছোট ছোট গুনাহগুলোর খোঁজ রাখার জন্য আল্লাহ তরফ থেকে (ফেরেশতা) নিয়োজিত রয়েছে। (ইবনু মাজাহ, দারিমী, বায়হাক্বীর শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا عَائِشَةَ إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللَّهِ طَالِبًا» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ والْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

صحیح ، رواہ ابن ماجہ (4242) و الدارمی (2 / 303 ح 2729) و البیھقی فی شعب الایمان (7261) ۔
(صَحِيح)

وعن عائشة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «يا عائشة إياك ومحقرات الذنوب فإن لها من الله طالبا» . رواه ابن ماجه والدارمي والبيهقي في «شعب الإيمان»

ব্যাখ্যা : (إِيَّاكِ وَمُحَقَّرَاتِ الذُّنُوبِ) সগীরা গুনাহকে তুচ্ছ মনে করা থেকে সাবধান হও। সগীরা গুনাহকে নির্দিষ্ট করে বলার কারণ হলো এ প্রকার পাপ সম্পাদনকারী এটা তুচ্ছ ভেবে তাওবাহ্ করা থেকে বিরত থাকে এবং এক্ষেত্রে আল্লাহর ভয়কে উপেক্ষা করে চলে। যদিও এর উপর অটল থাকলে এটা কবীরাহ্ গুনাহে রূপান্তরিত হয় আর সগীরা থাকে না। প্রতিটি সগীরা গুনাহ আল্লাহর বড়ত্ব এবং মহিমার তুলনায় বড়, গুনাহ অল্প হলেও তা অনেক বেশি অন্যায়। এজন্য আল্লাহ তা'আলা কখনো কবীরা গুনাহকে মোচন করেন কিন্তু সগীরা গুনাহের কারণে শাস্তি প্রদান করেন। আর এটা সূরাহ্ আন্ নিসার ৪৮ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যেখানে তিনি বলেছেন, (وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ) অর্থাৎ শিরক থেকে নিচের কবীরা গুনাহকে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন।
(فَإِنَّ لَهَا مِنَ اللَّهِ طَالِبًا) কেননা সগীরা গুনাহ তুচ্ছকারীকে সর্বদা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবধারিত শাস্তি অন্বেষণ করে। অতএব এ থেকে উদাসীন থাকা উচিত নয়। বরং তা থেকে বেঁচে থাকা উচিত। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৪/৪২৪৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৫৭-[১৯] আবূ বুরদাহ্ ইবনু আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি জানো আমার পিতা তোমার পিতাকে কি বলেছিলেন? তিনি বললেন, না। নিশ্চয় আমার পিতা তোমার পিতাকে বললেন, হে আবূ মূসা! তুমি কি এতে খুশি থাকতে পার যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে আমাদের ইসলাম এবং তাঁর সাথে আমাদের হিজরত এবং তাঁর সাথে আমাদের জিহাদ এবং তার সাথে আমাদের অন্যান্য সকল ’আমল আমাদের জন্য সম্বল হিসেবে গচ্ছিত থাকুক, আর তাঁর ইন্তিকালের পর আমরা যে সমস্ত ’আমল করেছি, এতে যদি আমরা (ভালো-মন্দ) সমানে সমানে বেঁচে যাই, তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এতদশ্রবণে তোমার পিতা আমার পিতাকে বললেন, না, (এতে আমি খুশি নই) আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মৃত্যুর পরে জিহাদ করেছি, সালাত আদায় করেছি, সিয়াম রেখেছি, আরো বহু ভালো ’আমল করেছি এবং আমাদের হাতে বহু মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছে। অতএব তার ব্যাপারেও আমরা (বিনিময়ে) আশা রাখি। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, (তোমার পিতার কথা শুনে) তখন আমার পিতা বললেন, কিন্তু আমি সেই মহান সত্তার শপথ করে বলছি, যাঁর হাতে ’উমার-এর প্রাণ! অবশ্য আমি এটাই কামনা করছি যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে থেকে আমরা যে সকল ভালো ’আমলগুলো করেছিলাম শুধু সেগুলো গচ্ছিত থাকলেই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর তার মৃত্যুর পর আমরা যে সমস্ত ’আমল করেছি তাতে (উভয় দিক) সামনে সমান থাকলেই যথেষ্ট। তিনি (আবূ বুরদাহ) বলেন, তখন আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আমার পিতা (আবূ মূসা) হতে আপনার পিতা উত্তম ছিলেন। (বুখারী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: هَلْ تَدْرِي مَا قَالَ أَبِي لِأَبِيكَ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا. قَالَ: فَإِنَّ أَبِي قَالَ لِأَبِيكَ يَا أَبَا مُوسَى هَلْ يَسُرُّكَ أَنَّ إِسْلَامَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِجْرَتَنَا مَعَهُ وَجِهَادَنَا مَعَهُ وَعَمَلَنَا كُلَّهُ مَعَهُ بَرَدَ لَنَا؟ وَأَنَّ كُلَّ عَمَلٍ عَمِلْنَاهُ بَعْدَهُ نَجَوْنَا مِنْهُ كَفَافًا رَأْسًا بِرَأْسٍ؟ فَقَالَ أَبُوكَ لِأَبِي: لَا وَاللَّهِ قَدْ جَاهَدْنَا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَلَّيْنَا وَصُمْنَا وَعَمِلْنَا خَيْرًا كَثِيرًا. وَأَسْلَمَ عَلَى أَيْدِينَا بَشَرٌ كَثِيرٌ وَإِنَّا لَنَرْجُو ذَلِكَ. قَالَ أَبِي: وَلَكِنِّي أَنَا وَالَّذِي نَفْسُ عُمَرَ بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنَّ ذَلِكَ بَرَدَ لَنَا وَأَنَّ كُلَّ شَيْءٍ عَمِلْنَاهُ بَعْدَهُ نَجَوْنَا مِنْهُ كَفَافًا رَأْسًا بِرَأْسٍ. فَقُلْتُ: إِنَّ أَبَاكَ وَاللَّهِ كَانَ خيرا من أبي. رَوَاهُ البُخَارِيّ

رواہ البخاری (3915) ۔
(صَحِيح)

وعن أبي بردة بن أبي موسى قال: قال لي عبد الله بن عمر: هل تدري ما قال أبي لأبيك؟ قال: قلت: لا. قال: فإن أبي قال لأبيك يا أبا موسى هل يسرك أن إسلامنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وهجرتنا معه وجهادنا معه وعملنا كله معه برد لنا؟ وأن كل عمل عملناه بعده نجونا منه كفافا رأسا برأس؟ فقال أبوك لأبي: لا والله قد جاهدنا بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم وصلينا وصمنا وعملنا خيرا كثيرا. وأسلم على أيدينا بشر كثير وإنا لنرجو ذلك. قال أبي: ولكني أنا والذي نفس عمر بيده لوددت أن ذلك برد لنا وأن كل شيء عملناه بعده نجونا منه كفافا رأسا برأس. فقلت: إن أباك والله كان خيرا من أبي. رواه البخاري

ব্যাখ্যা : (بَرَدَلَنَا) আমাদের জন্য স্থায়ী সাওয়াব যা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর বারাকাতে এবং তাঁর উপস্থিতিতে নষ্ট হয়নি, ঘাটতি হয়নি।
নিহায়াহ্ গ্রন্থে এ ব্যাপারে একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে, (الصَّوْمُ فِي الشٌتَاءِالْغَنِيمَةُ الْبَا رِدِةُ) শীতকালে সওম রাখা ঠাণ্ডা গনীমত তথা তাতে কোন প্রকার কষ্ট এবং ক্লান্তি নেই। আর প্রতিটি প্রিয় জিনিসই হচ্ছে তাদের নিকট শীতল। অথবা এর অর্থ হলো স্থায়ী ও স্থিতিশীল গনীমত।
(نَجَوْنَا مِنْهُ) অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মৃত্যুর পর আমরা যত ‘আমল করেছি উক্ত ‘আমল দ্বারা আমরা নাযাত পেয়ে যাই, তাই আমার জন্য যথেষ্ট।
(كَفَافًا) সমানভাবে। (رَأْسًا بِرَأْسٍ) সমান সমান, আমাদের পক্ষেও বিপক্ষেও না। তথা এর কারণে আমরা অধিক সাওয়াবও পাব না আবার শাস্তির সম্মুখীনও হব না। (ফাতহুল বারী ৭/৩৯১৫, মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৫৮-[২০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আমার প্রতিপালক আমাকে নয়টি কাজের আদেশ দিয়েছেন-
১. প্রকাশ্যে ও গোপনে যেন আল্লাহকে ভয় করি।
২. রাগ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে যেন ন্যায় কথা বলি।
৩. অভাব ও ধনাঢ্যতা, উভয় অবস্থায় যেন মধ্যমপন্থা অবলম্বন করি।
৪. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সাথে যেন আত্মীয়তা ধরে রাখি।
৫. যে আমাকে বঞ্চিত করে আমি যেন তাকে দান করি।
৬. যে আমার প্রতি অবিচার করে, আমি যেন তাকে ক্ষমা করি।
৭. আমি যেন নিরবতায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকি।
৮. আমার বচন যেন আল্লাহর যিক্‌রে পরিণত হয়।
৯. আমার দৃষ্টি যেন উপদেশমূলক হয় এবং আমি যেন ভালো কাজের আদেশ করি। (রযীন)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَمَرَنِي رَبِّي بِتِسْعٍ: خَشْيَةِ اللَّهِ فِي السِّرِّ وَالْعَلَانِيَةِ وَكَلِمَةِ الْعَدْلِ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَى وَالْقَصْدِ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى وَأَنْ أَصِلَ مَنْ قَطَعَنِي وَأُعْطِي مَنْ حَرَمَنِي وَأَعْفُو عَمَّنْ ظَلَمَنِي وَأَنْ يَكُونَ صَمْتِي فِكْرًا وَنُطْقِي ذِكْرًا وَنَظَرِي عِبْرَةً وَآمُرُ بِالْعُرْفِ «وَقِيلَ» بِالْمَعْرُوفِ رَوَاهُ رزين

لم اجدہ ، رواہ رزین (لم اجدہ) ولہ شاھد عند ابن ابی الدنیا فی اصلاح المال (328) عن داودؑ من قولہ و سندہ ضعیف جدًا ۔
(ضَعِيف)

عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أمرني ربي بتسع: خشية الله في السر والعلانية وكلمة العدل في الغضب والرضى والقصد في الفقر والغنى وأن أصل من قطعني وأعطي من حرمني وأعفو عمن ظلمني وأن يكون صمتي فكرا ونطقي ذكرا ونظري عبرة وآمر بالعرف «وقيل» بالمعروف رواه رزين

ব্যাখ্যা: (أَمَرَنِي رَبِّي بِتِسْعٍ) আমার প্রতিপালক আমাকে নয়টি বিষয়ে তথা ৯টি অভ্যাস সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন।
১) (خَشْيَةِ اللَّهِ فِي السِّرِّ وَالْعَلَانِيَةِ وَكَلِمَةِ) প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা।
২) (كَلِمَةِ الْعَدْلِ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَى) রাগ ও আনন্দ উভয় অবস্থায় ইনসাফ বজায় রাখা।
৩) (وَالْقَصْدِ فِي الْفَقْرِ وَالْغِنَى) দরিদ্র এবং সচ্ছল উভয় অবস্থায় মধ্যপন্থায় খরচ করা অথবা ধৈর্য এবং কৃতজ্ঞতার মাঝামাঝি অবস্থান করা, বিপদে ভয় না পাওয়া ও সীমালঙ্ঘন না করা।
৪) (وَأَنْ أَصِلَ مَنْ قَطَعَنِي) যারা আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমি তাদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখব। আর এটাই হচ্ছে অধিক সহনশীলতা ও নম্রতার বহিঃপ্রকাশ।
৫) (وَأُعْطِي مَنْ حَرَمَنِي) যারা আমাকে বঞ্চিত করেছে, আমি তাদেরকে দান করব। এটা পরিপূর্ণ মহানুভবতা ও দয়ার প্রমাণ বহনকারী।
৬) (وَأَعْفُو عَمَّنْ ظَلَمَنِي) যে আমাকে যুলম করেছে তার প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমি যেন তাকে ক্ষমা করে দেই। আর এটাই ধৈর্যের ফল ও মানুষের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রকাশের মাধ্যম।
৭) (وَأَنْ يَكُونَ صَمْتِي فِكْرًا) আমার চুপ থাকাটা যেন আল্লাহর নাম ও তাঁর গুণাবলি এবং সৃষ্টির নিদর্শন নিয়ে চিন্তা করার বহিঃপ্রকাশ হয়।
৮) (وَنُطْقِي ذِكْرً) ‘আমার কথা’ বলতে আল্লাহর তাসবীহ, প্রশংসা, পবিত্রতা, বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা, কুরআন তিলাওয়াত এবং মানুষকে উপদেশ প্রদান করা হয়। আর আমার দৃষ্টি যেন উপদেশমূলক হয়।
৯) (وَآمُرُ بِالْعُرْفِ «وَقِيلَ» بِالْمَعْرُوفِ) এবং সৎকাজ বা প্রচলিত ভালো কাজের আদেশ দেয়া। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয় ও কান্না

৫৩৫৯-[২১] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহর (আযাবের) ভয়ে যে মুমিন বান্দার দুই চক্ষু হতে অশ্রু বের হয়, যদিও তা মাছির মাথার পরিমাণ হয়, অতঃপর তার কিছু চেহারার উপর গড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম অবৈধ করে দেন। (ইবনু মাজাহ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الْبكاء وَالْخَوْف)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ مُؤْمِنٍ يَخْرُجُ مِنْ عَيْنَيْهِ دُمُوعٌ وَإِنْ كَانَ مِثْلَ رَأْسِ الذُّبَابِ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ثُمَّ يُصِيبُ شَيْئًا مِنْ حَرِّ وَجْهِهِ إِلَّا حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه

اسنادہ ضعیف ، رواہ ابن ماجہ (4197) * حماد بن ابی حمید : ضعیف ، اسمہ محمد (تقدم : 5303) و ھذا الحدیث من اجلہ ضعفہ البوصیری ۔
(ضَعِيف)

وعن عبد الله بن مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما من عبد مؤمن يخرج من عينيه دموع وإن كان مثل رأس الذباب من خشية الله ثم يصيب شيئا من حر وجهه إلا حرمه الله على النار» . رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা : (دُمُوعٌ) অশ্রুসিক্ত যার সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো তিন ফোটা।
(وَإِنْ كَانَ مِثْلَ رَأْسِ الذُّبَابِ) যদিও ঐ চোখের পানির পরিমাণ মাছির মাথা সমপরিমাণ হয়।
(ثُمَّ يُصِيبُ شَيْئًا مِنْ حَرِّ وَجْهِهِ) অতঃপর ঐ পানি শুধু আল্লাহর ভয়ে মুখের উপর গড়িয়ে পড়ে, তাহলেই আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জাহান্নামকে হারাম করে দেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৩/৪১৯৭)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে