পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৯২-[১৬] ইয়া’লা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) দৌড়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন। আর তিনি দু’জনকেই নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে বললেনঃ ’’সন্তানই কৃপণতা ও ভীরুতার কারণ’’। (আহমাদ)[1]

عَن يعلى
قَالَ: إِنَّ حسنا وحُسيناً رَضِي الله عَنْهُم اسْتَبَقَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَمَّهُمَا إِلَيْهِ وَقَالَ: «إِنَّ الْوَلَدَ مَبْخَلَةٌ مجبنَةٌ» . رَوَاهُ أَحْمد

عن يعلىقال ان حسنا وحسينا رضي الله عنهم استبقا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فضمهما اليه وقال ان الولد مبخلة مجبنة رواه احمد

ব্যাখ্যাঃ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ বাক্যের বাচনভঙ্গি মোতাবেক এখানে مَبْخَلَةٌ ও مَبْخَلَةٌ উল্লেখ করার অর্থ হলো ভালোবাসা যা প্রশংসনীয়। কিন্তু এর পূর্বের হাদীসের বাচনভঙ্গি ছিল এর বিপরীত। ‘ইবাদাত বন্দেগীর ক্ষেত্রে যাদের নিকটে আল্লাহর ভালোবাসার ঊর্ধ্বে পূর্ণতা নেই তাদের জন্য এ দু’টো এখানে উল্লেখ করাতে পূর্ণ স্বভাবজাত ভালোবাসা ও স্বাভাবিক আন্তরিকতা স্পষ্ট বুঝা যায়।

কেননা আল্লাহ হলেন আসল প্রিয়জন। তিনি ব্যতীত অন্যগুলো বাড়তি। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৯৩-[১৭] ’আত্বা আল খুরাসানী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর করমর্দন করো, এতে অন্তরের হিংসা ও বিদ্বেষ অন্তর্হিত হয় এবং পরস্পরের মধ্যে উপঢৌকন বিনিময় করো, এতে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পায় এবং শত্রুতা দূরীভূত হয়। [ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) এ হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন][1]

وَعَنْ عَطَاءٍ
الْخُرَاسَانِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تَصَافَحُوا يَذْهَبِ الْغِلُّ وَتَهَادَوْا تَحَابُّوا وَتَذْهَبِ الشَّحْنَاءُ» رَوَاهُ مَالِكٌ مُرْسَلًا

وعن عطاءالخراساني ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال تصافحوا يذهب الغل وتهادوا تحابوا وتذهب الشحناء رواه مالك مرسلا

ব্যাখ্যাঃ (الشَّحْنَاءُ) شين বর্ণে ‘যবর’ যোগে। এর অর্থ অন্তরভর্তি শত্রুতা। তিরমিযীতে রয়েছে, তোমরা পরস্পরে হাদিয়া (উপঢৌকন) আদান-প্রদান কর। তাহলে অন্তরের বিদ্বেষ দূরীভূত হবে। কোন প্রতিবেশী যেন তার প্রতিবেশীর বকরীর খুর প্রদান করাকে তুচ্ছজ্ঞান না করে।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তোমরা পরস্পরের খাদ্য হাদিয়া লেন-দেন করো। কারণ এতে তোমাদের রিজিক প্রশস্ত হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন

৪৬৯৪-[১৮] বারা’ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দ্বিপ্রহরের পূর্বে চার রাক্’আত সালাত আদায় করল, সে যেন এ চার রাক্’আত কদরের রাতে আদায় করল। আর দু’জন মুসলিম যখন করমর্দন করে, তখন তাদের মধ্যে কোন গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না, মাফ করে দেয়া হয়। (বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ইমানে’’ বর্ণনা করেছেন)[1]

وَعَنِ الْبَرَاءِ
بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الْهَاجِرَةِ فَكَأَنَّمَا صَلَّاهُنَّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْمُسْلِمَانِ إِذَا تَصَافَحَا لَمْ يَبْقَ بَيْنَهُمَا ذَنْبٌ إِلَّا سَقَطَ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

وعن البراءبن عازب رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى اربعا قبل الهاجرة فكانما صلاهن في ليلة القدر والمسلمان اذا تصافحا لم يبق بينهما ذنب الا سقط رواه البيهقي في شعب الايمان

ব্যাখ্যাঃ এখানে গুনাহ বলতে সাধারণ গুনাহ উদ্দেশ্য। কিন্তু ত্বীবী বলেনঃ এখানে গুনাহ থেকে উদ্দেশ্য হলো বিদ্বেষ ও শত্রুতা যার আলোচনা পূর্বে করা হয়েছে। (মিশকাতুল মাসাবীহ- বোম্বায় ছাপা, ৪র্থ খন্ড ৩১ পৃষ্ঠা)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৫: শিষ্টাচার (كتاب الآداب)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে