পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৯৬০-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান (রমজান) মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও অবাধ্য জীনদেরকে বন্দী করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর একটিও খোলা রাখা হয় না। এদিকে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। একটিও বন্ধ রাখা হয় না। আহবানকারী (মালাক বা ফেরেশতা) ঘোষণা দেন, হে কল্যাণ অনুসন্ধানকারী! আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। হে অকল্যাণ ও মন্দ অনুসন্ধানী! (অকল্যাণ কাজ হতে) থেমে যাও। এ মাসে আল্লাহ তা’আলাই মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেন এবং এটা (রমাযান (রমজান) মাসের) প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلم يفتح مِنْهَا بَاب الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَيُنَادِي مُنَادٍ: يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أقصر ن وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كان اول ليلة من شهر رمضان صفدت الشياطين ومردة الجن وغلقت ابواب النار فلم يفتح منها باب الجنة فلم يغلق منها باب وينادي مناد يا باغي الخير اقبل ويا باغي الشر اقصر ن ولله عتقاء من النار وذلك كل ليلة رواه الترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: (مَرَدَةُ الْجِنِّ) ‘‘সীমালঙ্ঘনকারী জিন্।’’ مردة শব্দটি مارد এর বহুবচন। মুল্লা ‘আলী কারী (রহঃ) বলেন, مارد তাকে বলা হয় যার মধ্যে শুধুমাত্র খারাপী আছে কোন কল্যাণ নেই। দাড়ি গজায়নি এমন ব্যক্তিকে أمرد এজন্য বলা হয় যে, সে লোম তথা দাড়িমুক্ত। আর مارد হল কল্যাণমুক্ত।

(يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ) ‘‘কল্যাণকামী অগ্রসর হও’’ অর্থাৎ- কাজে আগ্রহী সাওয়াবের প্রত্যাশী অধিক ‘ইবাদাতে ব্রতী হয়ে আল্লাহমুখী হও।(أقصر) বিরত হও,(أقصر) শব্দটি (الاقصار) হতে উদগত। যার অর্থ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোন কাজ থেকে বিরত থাকা। অর্থাৎ- হে গুনাহের প্রত্যাশী! তুমি গুনাহের কাজ থেকে ক্ষান্ত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির কাজের দিকে ফিরে আসো।

(ذٰلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ) ‘‘এটা প্রতি রাতেই।’’ অর্থাৎ- এ আহবান অথবা জাহান্নাম থেকে মুক্তি রমাযানের প্রতি রাতেই অব্যাহত থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم) 7. Fasting

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৯৬১-[৬] ইমাম আহমাদ (রহঃ)-ও এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেছেন, হাদীসটি গরীব।[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَرَوَاهُ أَحْمد عَن رجل وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَذَا حَدِيث غَرِيب

ورواه احمد عن رجل وقال الترمذي هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: (عَنْ رَجُلٍ) ‘‘এক ব্যক্তি থেকে।’’ অর্থাৎ- ইমাম আহমাদ উপরে বর্ণিত হাদীসটি এক সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি তার নাম উল্লেখ করেননি। হাদীসটি ইমাম নাসায়ীও বর্ণনা করেছেন। উভয়েই ‘আত্বা সূত্রে ‘আরফাজাহ্ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি এক বাড়ীতে ছিলাম, তাতে ‘উতবাহ্ ইবনু ফারকদ উপস্থিত ছিলেন। হাদীস বর্ণনা করতে ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু সেখানে একজন সাহাবী ছিলেন যিনি হাদীস বর্ণনা করার জন্য অধিক উপযোগী ছিলেন।

অতঃপর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান (রমজান) মাসে আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, সকল শয়তানদের বন্দী করা হয়। প্রতি রাতে এক আহবানকারী আহবান করতে থাকে, ‘‘হে কল্যাণকামী! এগিয়ে এসো, হে অকল্যাণকামী! বিরত হও।’’ সানাদের দিক থেকে হাদীসটি গরীব।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم) 7. Fasting
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে