পরিচ্ছেদঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত

১৫০৮-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকজন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা নিবেদন করল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে মিম্বার আনার জন্য নির্দেশ দিলেন। বস্তুতঃ মিম্বার আনা হলো। তিনি লোকজনদেরকে একদিন ঈদগাহে আসার জন্য সময় ঠিক করে দিলেন। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, নির্দিষ্ট দিনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যকিরণ দেখা দেবার সাথে সাথে ঈদগাহে চলে গেলেন। মিম্বারে আরোহণ করে তাকবীর দিলেন। আল্লাহর গুণকীর্তন বর্ণনা করে বললেন, তোমরা তোমাদের শহরের আকাল, সময় মতো বৃষ্টি না হবার অভিযোগ করেছ। আল্লাহ তা’আলা এখন তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন। তোমরা তাঁর কাছে দু’আ করো। তিনি তোমাদের দু’আ কবূল করবেন বলে ওয়া’দা করেছেন। তারপর তিনি বললেন,

’’আলহামদু লিল্লা-হি রব্ববিল ’আ-লামীন, আর্ রহমা-নির রহীম, মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন, লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ইয়াফ্’আলু মা- ইউরীদুল্ল-হুম্মা আন্‌তাল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্‌তাল গনিয়্যু ওয়া নাহনুল ফুক্বারা-উ, আনযিল ’আলায়নাল গয়সা ওয়াজ্’আল মা- আনযালতা লানা- ক্যুওয়াতান ওয়াবালা-গান ইলা- হীন’’

(অর্থাৎ সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা, মেহেরবান ও ক্ষমাকারী। প্রতিদান দিবসের মালিক। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি যা চান তা-ই করেন। হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই। তুমি অমুখাপেক্ষী। আর আমরা কাঙ্গাল, তোমার মুখাপেক্ষী। আমাদের ওপর তুমি বৃষ্টি বর্ষণ করো। আর যে জিনিস (বৃষ্টি) তুমি অবতীর্ণ করবে তা আমাদের শক্তির উপায় ও দীর্ঘকালের পাথেয় করো।)।

এরপর তিনি তাঁর দু’হাত উঠালেন। এত উঠালেন যে, তাঁর বগলের উজ্জ্বলতা দেখা গেল। তারপর তিনি জনগণের দিকে পিঠ ফিরিয়ে নিজের চাদর ঘুরিয়ে নিলেন। তখনো তার দু’ হাত ছিল উঠানো। আবার লোকজনের দিকে মুখ ফিরালেন এবং মিম্বার হতে নেমে গেলেন। দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। আল্লাহ তা’আলা তখন মেঘের ব্যবস্থা করলেন। মেঘের গর্জন শুরু হলো। বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে বর্ষণ শুরু হলো। তিনি তাঁর মাসজিদ পর্যন্ত পৌঁছার পূর্বেই বৃষ্টির ঢল নেমে গেল। এ সময় তিনি মানুষদেরকে বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য দৌড়াতে দেখে হেসে ফেললেন। এতে তাঁর সামনের দাঁতগুলো দৃষ্টিগোচর হতে থাকল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আর আমি এ সাক্ষীও দিচ্ছি যে, আমি তাঁর বান্দা ও রসূল। (আবূ দাঊদ)[1]

عَن عَائِشَة قَالَتْ: شَكَا النَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُحُوطَ الْمَطَرِ فَأَمَرَ بِمِنْبَرٍ فَوُضِعَ لَهُ فِي الْمُصَلَّى وَوَعَدَ النَّاسَ يَوْمًا يَخْرُجُونَ فِيهِ. قَالَتْ عَائِشَةُ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَكَبَّرَ وَحَمِدَ اللَّهَ عزوجل ثُمَّ قَالَ: «إِنَّكُمْ شَكَوْتُمْ جَدْبَ دِيَارِكُمْ وَاسْتِئْخَارَ الْمَطَرِ عَنْ إِبَّانِ زَمَانِهِ عَنْكُمْ وَقَدْ أَمَرَكُمُ الله عزوجل أَنْ تَدْعُوهُ وَوَعَدَكُمْ أَنْ يَسْتَجِيبَ لَكُمْ» . ثُمَّ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ملك يَوْمِ الدِّينِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ اللَّهُمَّ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ. أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلَى حِينٍ» ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَلَمْ يَتْرُكِ الرَّفْعَ حَتَّى بَدَا بَيَاضُ إِبِطَيْهِ ثُمَّ حَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَهُ وَقَلَبَ أَوْ حَوَّلَ رِدَاءَهُ وَهُوَ رَافِعُ يَدَيْهِ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ وَنَزَلَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ فَأَنْشَأَ اللَّهُ سَحَابَةً فَرَعَدَتْ وَبَرَقَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ بِإِذْنِ اللَّهِ فَلَمْ يَأْتِ مَسْجِدَهُ حَتَّى سَالَتِ السُّيُولُ فَلَمَّا رَأَى سُرْعَتَهُمْ إِلَى الْكن ضحك صلى الله عَلَيْهِ وَسلم حَتَّى بَدَت نَوَاجِذه فَقَالَ: «أَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنِّي عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

عن عاىشة قالت شكا الناس الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قحوط المطر فامر بمنبر فوضع له في المصلى ووعد الناس يوما يخرجون فيه قالت عاىشة فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم حين بدا حاجب الشمس فقعد على المنبر فكبر وحمد الله عزوجل ثم قال انكم شكوتم جدب دياركم واستىخار المطر عن ابان زمانه عنكم وقد امركم الله عزوجل ان تدعوه ووعدكم ان يستجيب لكم ثم قال الحمد لله رب العالمين الرحمن الرحيم ملك يوم الدين لا اله الا الله يفعل ما يريد اللهم انت الله لا اله الا انت الغني ونحن الفقراء انزل علينا الغيث واجعل ما انزلت لنا قوة وبلاغا الى حين ثم رفع يديه فلم يترك الرفع حتى بدا بياض ابطيه ثم حول الى الناس ظهره وقلب او حول رداءه وهو رافع يديه ثم اقبل على الناس ونزل فصلى ركعتين فانشا الله سحابة فرعدت وبرقت ثم امطرت باذن الله فلم يات مسجده حتى سالت السيول فلما راى سرعتهم الى الكن ضحك صلى الله عليه وسلم حتى بدت نواجذه فقال اشهد ان الله على كل شيء قدير واني عبد الله ورسوله رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ) ইস্তিসক্বার খুতবাহ্ প্রদানের জন্য মিম্বারের উপর আরোহণ করা মুস্তাহাব। এ মতে আছে আহমদ। ইবনু কুদামাহ্ বলেন, আবূ বাকর বলেন, আবূ ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত সবাই একমত যে, ইস্তিসক্বাতে খুতবাহ্ রয়েছে ও মিম্বারের উপর আরোহণ।

আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসে সুস্পষ্ট দলীল মিম্বার সালাতে ইস্তিসক্বার স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং তার উপর উঠা।

(بَيَاضُ إِبِطَيْهِ) দু’বগলের শুভ্রতা প্রকাশ পেত। এটা প্রমাণ করে ইস্তিসক্বার দু‘আয় দু’হাত অতিরঞ্জিত করে উঠানো মুস্তাহাব।

(ثُمَّ حَوَّلَ إِلَى النَّاسِ ظَهْرَه) অতঃপর তিনি তাঁর পিঠকে জনগণের দিকে ঘুরাতেন এটা ইঙ্গিত করে যে, সকল কিছু ছিন্ন করে শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত

১৫০৯-[১৩] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ), লোকেরা অনাবৃষ্টির কবলে পতিত হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচা ’আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বালিব-এর ওয়াসীলায় আল্লাহর নিকট বৃষ্টির জন্য দু’আ করতেন। তিনি বলতেন, হে আল্লাহ! তোমার নিকট এতদিন আমরা আমাদের নবীর মধ্যমতা পেশ করতাম। তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দিয়ে পরিতৃপ্ত করতে। এখন আমরা তোমার নিকট আমাদের নবীর চাচার ওয়াসীলা পেশ করছি। তুমি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো। (বুখারী)[1]

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَانَ إِذْ قحطوا استسقى بالبعاس بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا فَتَسْقِينَا وَإِنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا فَاسْقِنَا. قَالَ: فَيُسْقَوْنَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

وعن انس ان عمر بن الخطاب كان اذ قحطوا استسقى بالبعاس بن عبد المطلب فقال اللهم انا كنا نتوسل اليك بنبينا فتسقينا وانا نتوسل اليك بعم نبينا فاسقنا قال فيسقون رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (استسقى بالعباس) ‘উমার (রাঃ) ইস্তিসক্বায় ‘আব্বাস (রাঃ)-এর দু‘আ ও সুপারিশের মাধ্যমে ওয়াসীলা করেছিলেন। মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, ইস্তিসক্বার দু‘আ ক্ষমা প্রার্থনার পরে তাঁর মাধ্যমে সুপারিশ করেছিলেন। আর ‘আব্বাস (রাঃ) ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাঝে ব্লাড কানেকশন বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং ‘উমার (রাঃ) তাঁর মর্যাদা বিবেচনা করে অনুরোধ করলেন তিনি যেন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করান, বিশেষ করে তার আত্মীয় সম্পর্ক রসূলের সাথে এটি যেন ওয়াসীলা হয় আল্লাহর রহমাত পাওয়ার। অন্য সানাদে হাদীসে এসেছে, ‘উমার (রাঃ) যখন ‘আব্বাস (রাঃ) এর নিকট ইস্তিসক্বার জন্য দু‘আ কামনা করলেন তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তিনি শুধু পাপের কারণে বালা-মুসীবাত প্রেরণ করেন আর তা তাওবার মাধ্যমে দূরীভূত করেন আর জাতি আমার (দু‘আর) মাধ্যমে আপনার প্রতি অভিমুখী হয়েছে আমার অবস্থান আপনার নাবীর কারণে। আমাদের এ হাতগুলো পাপ নিয়ে আপনার নিকট প্রসারিত করেছে আর আমাদের ভাগ্য আপনার কাছেই। সুতরাং আমাদেরকে সিক্ত করুন বৃষ্টির মাধ্যমে, অতঃপর আসমান পাহাড়ের মতো ঝুলিয়ে পড়ল তথা প্রচুর বৃষ্টি হল এমনকি জমিন প্রচুর উর্বর হল আর মানুষ তৃপ্তি সহকারে জীবন যাপন করল। ইবনু সা‘ঈদ আরও অনেকে বলেছেন অনাবৃষ্টির বৎসর ছিল ১৮ হিজরীতে। হাজ্জের (হজ্জের/হজের) শুরুতে আরম্ভ হয়েছিল এবং নয় মাস ধরে  এ অনাবৃষ্টি ছিল।

(اَللّهُمَّ إِنَّا كُنَّا نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا) হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে চাচ্ছি আপনার নাবীর দু‘আর মাধ্যমে।

(نَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ بِعَمِّ نَبِيِّنَا) এখন আমরা আমাদের নাবীর চাচার দু‘আ ও সুপারিশের মাধ্যমে আপনার কাছে চাচ্ছি।

এ ঘটনাটি ভাল পরিবার ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের নিকট সুপারিশ কামনা করা বৈধ তা প্রমাণ করে আর প্রমাণ করে ‘আব্বাস (রাঃ) ও ‘উমার (রাঃ)-এর মযার্দা বিশেষ করে ‘উমার (রাঃ) বিনয়ী ভাব ‘উমার (রাঃ)-এর স্বীকৃতি ‘আব্বাস (রাঃ)-এর সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপারে। হাফিয ইবনু হাজার বলেন, কবর পূজারীরা এ হাদীস দ্বারা তাদের বিদ্‘আতী ওয়াসীলাকে দলীল হিসেবে গ্রহণ তা প্রত্যাখ্যানযুক্ত। হাদীসে উল্লেখিত ওয়াসীলা অন্বেষণ করা দ্বারা জীবিত ব্যক্তি সত্ত্বার কাছে বা মৃত ব্যক্তির কাছে বা নাম উল্লেখ করে ওয়াসীলা করা উদ্দেশ্য না বরং ওয়াসীলাটা জীবিত ব্যক্তির দু‘আ ও শাফা‘আতের মাধ্যমে যা ‘উমার (রাঃ) করেছেন। অনুরূপ মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) এবং তাঁর সাথে সাহাবীরা ও তাবি‘ঈরা ছিলেন তারা ইয়াযীদ বিন আস্ওয়াদ এর দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট চেয়েছিলেন। অনুরূপ ফুকাহারা, শাফি‘ঈ, আহমাদ আরও অনেকে বলেন ইস্তিসক্বায় ভাল ব্যক্তির দু‘আর মাধ্যমে ওয়াসীলা করা বৈধ বিশেষ করে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আত্মীয় হলে আরও ভাল। আর কোন বিদ্বানরা বলেননি যে, কোন ব্যক্তি বা নাবী বা নাবী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির ওয়াসীলার দ্বারা আল্লাহর কাছে বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত

১৫১০-[১৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, নবীদের মধ্যে একজন নবী ইসতিসক্বার (সালাত) আদায়ের জন্য লোকজন নিয়ে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ তিনি একটি পিপীলিকা দেখতে পেলেন। পিঁপড়াটি তাঁর দু’টি পা আকাশের দিকে উঠিয়ে রেখেছে। (অর্থাৎ পিপীলিকাটি বৃষ্টির জন্য দু’আ করছে)। এ দৃশ্য দেখে উক্ত নবী লোকদেরকে বললেন, তোমরা ফিরে চলো। এ পিঁপড়াটির দু’আর কারণে তোমাদের দু’আ কবূল হয়ে গেছে। (দারাকুত্বনী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: خَرَجَ نَبِيٌّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ بِالنَّاسِ يَسْتَسْقِي فَإِذا هُوَ بنملة رَافِعَة بعض قوائهما إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ: ارْجِعُوا فَقَدِ اسْتُجِيبَ لَكُمْ من أجل هَذِه النملة . رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول خرج نبي من الانبياء بالناس يستسقي فاذا هو بنملة رافعة بعض قواىهما الى السماء فقال ارجعوا فقد استجيب لكم من اجل هذه النملة رواه الدارقطني

ব্যাখ্যা: হাদীস থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর বড়ত্ব ও তাঁর ক্ষমতা এই তার অমুখাপেক্ষিতা। আরও জানা যায় যে, তাঁর মহানুভবতা, দয়া সকল সৃষ্টিজীবের ওপর এবং তাঁর জ্ঞান বিস্তৃত সকল অস্তিত্বের উপর। আর প্রাণী জগতরা তারাও আল্লাহর নিকট তাদের প্রয়োজন কামনা করে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে