পরিচ্ছেদঃ ৪৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - রজব মাসে কুরবানী

আতীরাহ্ বলা হয় ঐ যাবাহকৃত পশু যা রজব মাসের প্রথম দশ দিনে যাবাহ করা হয়। আর তাকে রাজবীয়্যাহ বলে নামকরণ করা হয়। যেমন সামনে হাদীসে আসছে, নাবাবী বলেনঃ ’আতীরাহ্-এর এ ব্যাখ্যায় সকল ’উলামারা ঐকমত্য হয়েছেন তবে এখানে আপত্তি আছে।

আবূ ’উবায়দ বলেনঃ ’আতীরাহ্ বলতে ঐ যাবাহকৃত পশু যা জাহিলিয়্যাতের যুগে রজব মাসে যাবাহ করা হয় এর মাধ্যমে তারা মূর্তির নৈকট্য লাভের আশা করে।

আবার কারো মতে, ’আতীরাহ্ হল তারা মানৎ করে যে এত পরিমাণ মাল হলে প্রত্যেক রজব মাসে প্রত্যেক দশে একটি করে পশু কুরবানী দিবে।

আর তিরমিযী বলেনঃ ’আতীরাহ্ এমন যাবাহকৃত পশু তারা (জাহিলী যুগের লোকেরা) রজব মাসের সম্মানার্থে যাবাহ করত। কেননা সম্মানিত মাসের প্রথম হল রজব মাস। ফারা’ হল, প্রাণীর সে প্রথম বাচ্চাকে বলা হয় যা এ নিয়্যাতে যাবাহ করা হয় যেন এর মায়ের মধ্যে বারাকাত হয় এবং অধিক বাচ্চা হয় এ ব্যাখ্যা অধিকাংশ ভাষাবিদরা ও ’উলামারা করেছেন। কারো মতে, প্রথম বাচ্চা তাদের মূর্তিদের উদ্দেশে যাবাহ করে তাকে ফারা’ বলা হয় সামনে আবূ হুরায়রার হাদীসে ব্যাখ্যা আসছে। কেউ কেউ বলেন, উট একশ’ বাচ্চা দেয়ার পর সর্বশেষ যে বাচ্চটি প্রসব করত জাহিলী যুগের লোকেরা সে বাচ্চটি যাবাহ করত একে তারা ফারা’ হিসেবে আখ্যায়িত করত।


১৪৭৭-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেনঃ এখন আর ফারা’ও নেই এবং ’আতীরাহ্-ও নেই। বর্ণনাকারী বলেন ফারা’ হলো উট বা ছাগল বা ভেড়ার প্রথম বাচ্চা। এ বাচ্চা তারা তাদের দেব-দেবীর জন্য যাবাহ তথা উৎসর্গ করত। আর ’আতীরাহ্ হলো রজব মাসে যা করা হত। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ فِي الْعَتِيْرَةِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا فَرَعَ وَلَا عَتِيرَةَ» . قَالَ: وَالْفرع: أول نتاج كَانَ ينْتج لَهُمْ كَانُوا يَذْبَحُونَهُ لِطَوَاغِيتِهِمْ. وَالْعَتِيرَةُ: فِي رَجَبٍ

عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا فرع ولا عتيرة قال والفرع اول نتاج كان ينتج لهم كانوا يذبحونه لطواغيتهم والعتيرة في رجب

ব্যাখ্যা: আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) এর হাদীস প্রমাণ করে ফারা' ও ‘আতীরাহ্ নিষেধ আর মিখনাস ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাহ্ আল হুযালীর হাদীস প্রমাণ করে ফারা' ও ‘আতীরাহ্ বৈধ। দ্বন্দ্ব সমাধানে ‘উলামারা বলেছেন বৈধতার হাদীসগুলো মানদূব তথা ভালোর উপর প্রমাণ করে আর নিষেধাজ্ঞার হাদীসগুলো আবশ্যকাতে নাফি' করে ইমাম শাফি‘ঈ ফারা'-এর এ ব্যাখ্যার পর বলেন, সাহাবীরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন এ বিষয়ে সময় সম্পর্কে জাহিলী যুগে তারা যা করেছিল ইসলামে তারা তা অপছন্দ করছে তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জানালেন এ ব্যাপারে তাদের জন্য কোন অপছন্দ নেই আর তাদেরকে ইচ্ছাধীনের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। করতে পারে অবার ছেড়ে দিতে পারে করলে তবে আল্লাহর রাস্তায় করতে হবে।

দ্বিতীয় সমাধানঃ ‘উলামাদের একটি দল বলেছেন, বৈধতার হাদীসগুলো রহিত হয়েছে আর নিষেধের হাদীসগুলো রহিতকারী। আমি (ভাষ্যকার) বলি, ইনসাফপূর্ণ সমাধান যা শাফি‘ঈ উল্লেখ করেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer