পরিচ্ছেদঃ ৩৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সালাত

সকল প্রকার নফল সালাত, যেগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, যথাক্রমে সালাতুল তাহ্ইয়্যাতুল উযূ, সালাতুন ইস্তিখারাহ্, তওবা্, সালাতুল হাজাত এবং সালাতুত্ তাসবীহ।

التَّطَوُّعِ শব্দটি الطوع، والطاعة শব্দ হতে গৃহীত অর্থ মান্য করা, বাস্তবায়ন করা, মেনে নেয়া ইত্যাদি এবং التَّطَوُّعِ শব্দটি ফরয ও ওয়াজিব ব্যতীত সকল নফলের উপর মুত্বলাক (তালাক)্ব (সকল নফলের ক্ষেত্রে এ শব্দটি প্রযোজ্য) আর যে বা যারা ফরয কিংবা ওয়াজিবের উপর অতিরিক্ত ’আমলুস্ সালিহ বা সৎকর্ম সম্পাদন করে তাকে (مُتَطَوِّعِ) বলা হয়।


১৩২২-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতের সময়ে ইরশাদ করলেনঃ হে বিলাল! ইসলাম কবূল করার পর তুমি এমনকি ’আমল করেছ যার থেকে অনেক সাওয়াব হাসিলের আশা করতে পার। কেননা, আমি আমার সম্মুখে জান্নাতে তোমার জুতার শব্দ শুনতে পেয়েছি। (এ কথা শুনে) বিলাল বললেন, আমি তো অনেক আশা করার মতো কোন ’আমল করিনি। তবে রাত্রে বা দিনে যখনই আমি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করেছি, আমার সাধ্যমতো সে উযূ দিয়ে আমি (তাহ্ইয়্যাতুল উযূর) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছি। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِبِلَالٍ عِنْدَ صَلَاةِ الْفَجْرِ: «يَا بِلَالُ حَدِّثْنِي بِأَرْجَى عمل عملته فِي الْإِسْلَام فَإِنِّي سَمِعت دق نعليك بَين يَدي الْجَنَّةِ» . قَالَ: مَا عَمِلْتُ عَمَلًا أَرْجَى عِنْدِي أَنِّي لم أتطهر طهُورا مِنْ سَاعَةٍ مِنْ لَيْلٍ وَلَا نَهَارٍ إِلَّا صَلَّيْتُ بِذَلِكَ الطُّهُورِ مَا كُتِبَ لِي أَنْ أُصَلِّيَ

وعن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لبلال عند صلاة الفجر يا بلال حدثني بارجى عمل عملته في الاسلام فاني سمعت دق نعليك بين يدي الجنة قال ما عملت عملا ارجى عندي اني لم اتطهر طهورا من ساعة من ليل ولا نهار الا صليت بذلك الطهور ما كتب لي ان اصلي

ব্যাখ্যা: হাদীসে বিলাল বলতে বিলাল ইবনু রাবাহ, যিনি মুয়াযযিন ছিলেন। ফাজ্‌র (ফজর) সালাতের সময় তথা যে সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিজ দেখা স্বপ্নের বর্ণনা দিতেন এবং সাহাবায়ে কিরামগণের দেখা স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতেন। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই কথা তথা ‘ফাজ্‌র (ফজর) সালাতের সময়’ ইঙ্গিত করে যে, নিশ্চয় আলোচ্য ঘটনাটি স্বপ্নে ঘটেছে, কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভ্যস্ত ছিলেন যে, তাঁর দেখা স্বপ্ন বর্ণনা করতেন ও সাহাবায়ে কিরামগণের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতেন ফাজ্‌র (ফজর) সালাতের পর।

(فَإِنِّي سَمِعْتُ دَقَّ نَعَلَيْكَ بَيْنَ يَدَيِ الْجَنَّةِ) অর্থাৎ রাত্রিতে এখানে ও ঐ ইঙ্গিত রয়েছে যে, ঘটনাটি স্বপ্নে সংঘটিত হয়েছে এবং এর উপর এটাও প্রমাণ করে যে, জান্নাতে নাবীগণ ছাড়া মৃত্যুর পূর্বে কেউ প্রবেশ করেনি, যদিও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মি‘রাজের রাত্রিতে জাগ্রত অবস্থায় প্রবেশ করেছিলেন, কিন্তু বিলাল (রাঃ) তো নিশ্চয়ই প্রবেশ করেননি এবং এ মর্মে জাবির (রাঃ)-এর হাদীস বুখারীতে মানাকিব বা মর্যাদার পর্বে ‘উমার (রাঃ)-এর অধ্যায়ের প্রথম হাদীস- ‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম। অতঃপর আমি আওয়াজ শুনতে পেলাম, বলা হলো ইনি বিলাল (রাঃ) এবং একটি প্রাসাদ দেখলাম যার আঙ্গিনায় ঝর্ণাধারা। অতঃপর বলা হলো এটা ‘উমার (রাঃ)-এর জন্য।’ এছাড়াও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে মারফূ‘ভাবে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্নে আমি নিজকে জান্নাতে দেখলাম, তাতে দেখি এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করছে, অতঃপর বলা হলো যে, এটি ‘উমার (রাঃ)-এর জন্য।

সুতরাং জানা গেল যে, আলোচ্য ঘটনা স্বপ্নে সংঘটিত হয়েছে, আর নাবীগণের স্বপ্ন সর্বদাই ওয়াহী আর এজন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে দৃঢ়তা ব্যক্ত করেছেন, (دَقَّ نَعَلَيْكَ) এ ব্যাপারে হুমায়দী (রহঃ) বলেনঃ دَقَّ হলো হালকা নড়াচড়া। খলীল (রহঃ) বলেন, পাখি পায়ের উপর দাঁড়ানো অবস্থায় বাহুদ্বয় নড়াচড়া করতে যে আওয়াজ হয় তাকে (دَقٌّ) বলা হয়। আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, এ সালাত (তাহ্ইয়্যাতুল উযূ) মাকরূহ সময়েও আদায় করা জায়িয। আত্ তিরমিযীতে বুরায়দাহ্ এবং ইবনু খুযায়মাহ্ (রাঃ)-এর অনুরূপ ঘটনা সংক্রান্ত হাদীস রয়েছে যে,

বিলাল (রাঃ) বলেন, যখন উযূ ভঙ্গ হত তখনই আমি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতাম। আহমাদে রয়েছে, উযূ করে দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করতাম। প্রমাণিত হয় যে, তিনি যে কোন সময়ে উযূ ভঙ্গ হলেই উযূ করে দু’ রাক্‘আত সালাত আদায় করতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৩৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সালাত

১৩২৩-[২] জাবির (রাঃ) ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে (আল্লাহর নিকট) ’ইস্তিখারাহ্’ করার নিয়ম ও দু’আ এ রকম শিখাতেন, যেভাবে আমাদেরকে তিনি কুরআনের সূরাহ্ শিখাতেন। তিনি বলতেন, তোমাদের কোন লোক কোন কাজ করার সংকল্প করলে সে যেন ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত দু’ রাক্’আত নফল সালাত আদায় করে। তারপর এ দু’আ পড়ে-

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্‌তাখীরুকা বি’ইলমিকা ওয়া আস্‌তাক্বদিরুকা বিকুদরাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাযলিকাল ’আযীমি ফাইন্‌নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা- আক্বদিরু ওয়া তা’লামু ওয়ালা- আ’লামু ওয়া আন্‌তা ’আল্লা-মুল গুয়ূব, আল্ল-হুম্মা ইন্ কুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা খয়রুল লী ফী দীনী ওয়ামা ’আ-শী ওয়া ’আ-ক্বিবাতি আমরী আও ক্বা-লা ফী ’আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহী ফাক্বদুরহু লী ওয়া ইয়াসসিরহু লী সুম্মা বা-রিক লী ফীহি ওয়া ইন কুনতা তা’লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুল লী ফী দীনী ওয়ামা ’আ-শী ওয়া ’আ-ক্বিবাতি আমরী আও ক্বা-লা ফী ’আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহী ফাসরিফহু ’আন্নী ওয়াসরিফনী ’আনহু ওয়াক্ব দুরলিয়াল খয়রা হায়সু কা-না সুম্মা আরযিনী বিহী’’

(অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জানার ভিত্তিতে তোমার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। তোমার কুদরতের দ্বারা তোমার নিকট নেক ’আমল করার শক্তি প্রার্থনা করছি। তোমার নিকট তোমার মহা ফজল চাই। এজন্য তুমিই সকল কাজের শক্তি দাও। আমি তোমার ইচ্ছা ব্যতীত কোন কাজ করতে পারব না। তুমি সব কিছুই জানো। আমি কিছুই জানি না। সব গোপন কথা তোমার জানা। হে আল্লাহ! তুমি যদি ইচ্ছা করো এ কাজটি (উদ্দেশ্য) আমার জন্যে আমার দীনে, দুনিয়ায়, আমার জীবনে, আমার পরকালে অথবা বলেছেন, এ দুনিয়ায় ঐ দুনিয়ার ভাল হবে, তাহলে তা আমার জন্যে ব্যবস্থা করে দাও। আমার জন্য তা সহজ করে দাও। তারপর আমার জন্য বারাকাত দান করো। আর তুমি যদি এ কাজকে আমার জন্য আমার দীন, আমার জীবন, আমার পরকাল অথবা বলেছেন, আমার ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিকর মনে করো, তাহলে আমাকে তার থেকে, আর তাকে আমার থেকে ফিরিয়ে রাখো। আর আমার জন্যে যা কল্যাণকর তা করে দাও। অতঃপর এর সঙ্গে আমাকে রাজী করো।)।

হাদীস বর্ণনাকারী বলেন, ’এ কাজটি’ বলার সময় দরকারের ব্যাপারটি স্মরণ করতে হবে। (বুখারী)[1]

بَابُ التَّطَوُّعِ

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الْأُمُورِ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ: إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالْأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّك تَقْدِرُ وَلَا أقدر وَتعلم وَلَا أعلم وَأَنت علام الغيوب اللَّهُمَّ إِنَّ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أوقال فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي - أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ - فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقَدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ . قَالَ: «ويسمي حَاجته» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

عن جابر بن عبد الله قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمنا الاستخارة في الامور كما يعلمنا السورة من القران يقول اذا هم احدكم بالامر فليركع ركعتين من غير الفريضة ثم ليقل اللهم اني استخيرك بعلمك واستقدرك بقدرتك واسالك من فضلك العظيم فانك تقدر ولا اقدر وتعلم ولا اعلم وانت علام الغيوب اللهم ان كنت تعلم ان هذا الامر خير لي في ديني ومعاشي وعاقبة امري اوقال في عاجل امري واجله فاقدره لي ويسره لي ثم بارك لي فيه وان كنت تعلم ان هذا الامر شر لي في ديني ومعاشي وعاقبة امري او قال في عاجل امري واجله فاصرفه عني واصرفني عنه واقدر لي الخير حيث كان ثم ارضني به قال ويسمي حاجته رواه البخاري

ব্যাখ্যা: ইস্তিখারাহ্ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কার্য সম্পাদন ও বর্জনের দিক দিয়ে দু’টি বিষয়ের কল্যাণকরটি অনুসন্ধান করা, যে দু’টির একটির দিকে বান্দা মুখাপেক্ষী। (فِي الْأُمُورِ) এর দ্বারা সামনে আগন্তুক কতকগুলো বিষয় যথা, বাড়ী স্থানান্তর, বিবাহ, ভিত্তি স্থাপন ইত্যাদি। তবে এর দ্বারা খাওয়া বা পান করার বিষয়গুলো উদ্দেশ্য নয়।

ইবনু আবী জামারাহ্ (রহঃ) বলেনঃ সেটা ‘আম, কিন্তু এর দ্বারা খাস উদ্দেশ্য। সুতরাং ওয়াজিব, মুস্তাহাব কাজ করার ব্যাপারে কোন ইস্তিখারাহ্ নেই, অনুরূপ হারাম মাকরূহ বর্জনের ক্ষেত্রে কোন ইস্তিখারাহ্ নেই। কাজেই ইস্তিখারার বিষয়টি বৈধ বস্ত্তর মধ্যই সীমাবদ্ধ।

তবে মুস্তাহাব বিষয়ের ক্ষেত্রে যখন দু’টি বিষয় সাংঘর্ষিক হবে তখন যে কোন একটি প্রথমে শুরু করবে এবং তার উপরই দৃঢ় তা পোষণ করবে। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেন যে, যে সকল ওয়াজিব ও মুস্তাহাব বিষয়ের সময়ের প্রশস্ততা রয়েছে, (হাজ্জ, ‘উমরাহ্) সে সব ওয়াজিব ও মুস্তাহাবে কল্যাণ অনুসন্ধান তথা ইস্তিখারার অন্তর্ভুক্ত হবে।

(مِنْ غَيْرِ الْفَرِيْضَةِ) এখান থেকে দলীল হলো ফরয সালাতের পর ইস্তিখারার দু‘আ পড়ার মাধ্যমে ইস্তিখারাহ্ সালাতের সুন্নাত আদায় হবে না। কেননা আলোচ্য বক্তব্যে (بِغَيْرِ الْفَرِيْضَةِ) দ্বারা তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

তবে আল্লামা ইরাক্বী (রহঃ) বলেছেন যে, যদি কেউ সুন্নাত কিংবা নফল সালাত ইস্তিখারার নিয়্যাত ছাড়াই শুরু করে এবং সালাতের শেষে ইস্তিখারার দু‘আ পড়ার মাধ্যমে তার নিয়্যাত পরিবর্তন করে তবে ইস্তিখারাহ্ আদায় হবে।

নাবাবী (রহঃ) বলেন যে, ইস্তিখারার পর অন্তরে যা বিকশিত হবে বা প্রাধান্য পাবে তাই করবে- (আল আযকার- ৯৩ পৃঃ)। আল্লামা শাওকানী (রহঃ) নাবাবী (রহঃ)-এর বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, ইস্তিখারার পূর্বে যার উপর আন্তরিক প্রাধান্য ছিল ইস্তিখারার পর তার উপর নির্ভর করা সমুচীন নয়, বরং ইস্তিখারাকারীকে ইস্তিখারার সময় অবশ্যই প্রাধান্য বিষয় পরিত্যাগ করতে হবে, তা না হলে ইস্তিখারাহ্ আল্লাহর জন্য হবে না, তা হবে প্রবৃত্তির ইস্তিখারাহ্। (যা সম্পূর্ণ শির্কের অন্তর্ভুক্ত)

মির্‘আত প্রণেতা বলেনঃ আমার নিকট গ্রহণীয় ও প্রাধান্য মত হলো ইস্তিখারাহ্ সালাত আদায়কারী ইস্তিখারার পর যে সিদ্ধান্তে উপনীত হবে এবং যে ব্যাপারে দৃঢ় হবে তাই করবে। কারণ আমার নিকট বিষয়টি আন্তরিক বিকাশ বা স্বপ্নের উপর নির্ভরশীল নয়। কেননা হাদীসে আন্তরিক প্রাধান্য, সালাতের পর ঘুম ও স্বপ্নের মাধ্যমে কল্যাণকর বিষয় সম্পর্কে অবহিত হওয়া মর্মে কোন শর্ত নেই। (আল্লাহই ভাল জানেন)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে