পরিচ্ছেদঃ ৩৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৫০-[১০] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক পাক-পবিত্র হয়ে নিজের বিছানায় শুয়ে ঘুম না আসা পর্যন্ত আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকে, রাতে যতবার সে পাশ বদলাবে এবং আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে কোন কল্যাণ কামনা করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে সে কল্যাণ অবশ্যই দান করবেন। (ইবনুস্ সুন্নীর বরাতে ইমাম নাবাবীর কিতাবুল আযকার)[1]

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ طَاهِرًا وَذَكَرَ اللَّهِ حَتَّى يُدْرِكَهُ النُّعَاسُ لَمْ يَتَقَلَّبْ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا خَيْرًا مِنْ خَيْرِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ» . ذَكَرَهُ النَّوَوِيُّ فِي كِتَابِ الْأَذْكَارِ بِرِوَايَةِ ابْنِ السّني

عن ابي امامة قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول من اوى الى فراشه طاهرا وذكر الله حتى يدركه النعاس لم يتقلب ساعة من الليل يسال الله فيها خيرا من خير الدنيا والاخرة الا اعطاه اياه ذكره النووي في كتاب الاذكار برواية ابن السني

ব্যাখ্যা: বিছানা বলতে নিদ্রাস্থল উদ্দেশ্য। পবিত্র অবস্থায় বলতে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) অবস্থায়, আর আল্লাহর যিকর বলতে যে কোন প্রকার যিকর হতে পারে, তবে শয়নকালে পঠিতব্য সুন্নাতি যিকরই মূল উদ্দেশ্য, কুরআন তিলাওয়াতও এর অন্তর্ভুক্ত। এ ব্যক্তি মাঝ রাতে উঠে আল্লাহর কাছে নিজের কল্যাণে যা চাইবে তাই পাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৫১-[১১] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ দু’ লোকের ওপর আল্লাহ তা’আলা খুব সন্তুষ্ট হন। এক লোক, যে নিজের নরম তুলতুলে বিছানা ও প্রিয় স্ত্রী হতে আলাদা হয়ে তাহাজ্জুদ সালাতের জন্যে উঠে যায়। আল্লাহ এ সময় তার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাদের)-কে বলেন, আমার বান্দার দিকে তাকাও। সে আমার নিকট থাকা জিনিস পাওয়ার আগ্রহে (সাওয়াব, জান্নাত) এবং আমার নিকট থাকা জিনিসকে ভয় করে (জাহান্নাম ও ’আযাব) নিজের নরম তুলতুলে বিছানা ও স্ত্রীর মধুর নৈকট্য ত্যাগ করে সালাত (তাহাজ্জুদ) আদায়ের জন্যে উঠে পড়েছে। আর দ্বিতীয় হলো ঐ লোক, যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেছে। (কোন ওযর ছাড়া) যুদ্ধের ময়দান হতে সঙ্গী-সাথী নিয়ে ভেগে এসেছে। কিন্তু এভাবে ভেগে আসায় আল্লাহর শাস্তি ও ফেরত আসায় গুনাহর কথা মনে পড়ায় আবার যুদ্ধের মাঠে ফিরে আসছে। আল্লাহর শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শাহাদাত বরণ করেছে। আল্লাহ তার মালায়িকাহ্-কে বলেন, আমার বান্দার দিকে লক্ষ্য করে দেখো, যারা আমার কাছে থাকা জিনিস (জান্নাত) পাওয়ার জন্যে ও আমার কাছে থাকা জিনিস (জাহান্নাম) থেকে বাঁচার জন্যে যুদ্ধের মাঠে ফিরে এসেছে, জীবনও দিয়ে দিয়েছে। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَجِبَ رَبُّنَا مِنْ رَجُلَيْنِ رَجُلٌ ثَارَ عَنْ وِطَائِهِ وَلِحَافِهِ مِنْ بَيْنِ حِبِّهِ وَأَهْلِهِ إِلَى صَلَاتِهِ فَيَقُولُ اللَّهُ لِمَلَائِكَتِهِ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي ثَارَ عَنْ فِرَاشِهِ وَوِطَائِهِ مِنْ بَيْنِ حِبِّهِ وَأَهْلِهِ إِلَى صَلَاتِهِ رَغْبَةً فِيمَا عِنْدِي وَشَفَقًا مِمَّا عِنْدِي وَرَجُلٌ غَزَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَانْهَزَمَ مَعَ أَصْحَابِهِ فَعَلِمَ مَا عَلَيْهِ فِي الِانْهِزَامِ وَمَا لَهُ فِي الرُّجُوعِ فَرَجَعَ حَتَّى هُرِيقَ دَمُهُ فَيَقُولُ اللَّهُ لِمَلَائِكَتِهِ: انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي رَجَعَ رَغْبَةً فِيمَا عِنْدِي وَشَفَقًا مِمَّا عِنْدِي حَتَّى هُرِيقَ دَمُهُ . رَوَاهُ فِي شَرْحِ السُّنَّةِ

وعن عبد الله بن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم عجب ربنا من رجلين رجل ثار عن وطاىه ولحافه من بين حبه واهله الى صلاته فيقول الله لملاىكته انظروا الى عبدي ثار عن فراشه ووطاىه من بين حبه واهله الى صلاته رغبة فيما عندي وشفقا مما عندي ورجل غزا في سبيل الله فانهزم مع اصحابه فعلم ما عليه في الانهزام وما له في الرجوع فرجع حتى هريق دمه فيقول الله لملاىكته انظروا الى عبدي رجع رغبة فيما عندي وشفقا مما عندي حتى هريق دمه رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যা: আশ্চর্য হওয়াটা মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার চলে, আল্লাহর ক্ষেত্রে তা কেমন করে হয়? আল্লামা ত্বীবী বলেন, এখানে এর অর্থ হলো আল্লাহ এটাকে বড় করে দেখেন। কেউ বলেছেন এর অর্থ হলো তিনি এতে সন্তষ্ট হন এবং সাওয়াব দেন। এ ব্যক্তির জন্য আল্লাহ গর্ব করেন এবং মালায়িকার (ফেরেশতাদের) গর্বভরে বলেন, তোমরা আমার বান্দার দিকে লক্ষ্য কর। ‘লক্ষ্য কর’ এর অর্থ হলোঃ রহমাত এর দৃষ্টিদান, তার জন্য ইসতিগফার ও শাফা‘আত করা। ‘আল্লাহর কাছে যা আছে তা পাওয়ার আশায়’ সেটি হলো তার জান্নাত ও সাওয়াব অথবা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার সাক্ষাৎ বা দীদার। ‘আর তার আরেকটি বস্ত্ত থেকে ভয় করে’; সেটি হলোঃ জাহান্নাম এবং তার বিভিন্ন শাস্তি অথবা তার অসন্তুষ্টি।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে