পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

وَسْوَسَةٌ (ওয়াস্ওয়াসাহ্) বলা হয় অস্পষ্ট বা গুপ্ত আওয়াজকে। কারো কারো মতে অন্তরে যেসব চিন্তার উদয় ঘটে তা-ই ওয়াস্ওয়াসাহ্, যদি সেগুলো পাপ এবং নিকৃষ্ট কাজের দিকে আহবান করে। আর যদি আল্লাহর আনুগত্যমূলক বা সন্তোষজনক চরিত্রের দিকে আহবান করে তাহলে তাকে ইলহাম বলা হয়। তবে وَسْوَسَةٌ হলো দ্বিধাযুক্ত একটি বিষয় যা কারো কাছে স্থির হয় না।


৬৩-[১] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের অন্তরে যে ওয়াস্ওয়াসাহ্ বা খটকার উদয় হয়, আল্লাহ তা’আলা তা মাফ করে দিবেন, যতক্ষণ না তারা তা কার্যে রূপায়ণ করে অথবা তা মুখে প্রকাশ করে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لم تعْمل بِهِ أَو تَتَكَلَّم»

عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تعالى تجاوز عن امتي ما وسوست به صدورها ما لم تعمل به او تتكلم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “God forgives my people the evil promptings which arise within them so long as they do not act upon them or speak about them.”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: (تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِىْ) ‘‘আমার কারণে আমার উম্মাতকে ক্ষমা করেছেন’’ এক বর্ণনাতে এমনটি উল্লেখ রয়েছে। এতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, উম্মাতে মুহাম্মাদীর মর্যাদার কারণ নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং। অতএব আল্লাহর অপার দয়া আমাদের ওপর রয়েছে যার কোন শেষ নেই। এতে এ ইঙ্গিতও রয়েছে এ বৈশিষ্ট্য শুধু এ উম্মাতেরই।

ইমাম ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ ওয়াস্ওয়াসাহ্ দু’ ধরনের- (১) জরুরী, (২) ইখতিয়ারী। জরুরী বলা হয় এমন ওয়াস্ওয়াসাকে যা মানুষের হৃদয়ে তার সূচনা হয় আর মানুষ তা রোধ করতে সক্ষম নয়। এ ধরনের ওয়াস্ওয়াসাহ্ সকল উম্মাতের জন্যই ক্ষমার্হ।

ইখতিয়ারী হলো এমন ওয়াস্ওয়াসাহ্ যা হৃদয়ে অব্যাহতভাবে চলতে থাকে এবং লোকে তা কার্যে পরিণত করতে চায় এবং মনে মনে এ বিষয়ে সাধ ও অনুভব করে। যেমন মনের মধ্যে কোন মহিলার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা এবং ঐ ভালোবাসা বাস্তবে রূপ দিতে চায়। এ ধরনের ওয়াস্ওয়াসাহ্ শুধু এ উম্মাতের জন্যই আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর উম্মাতের মর্যাদার কারণে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৪-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতক সাহাবা (সাহাবা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে কেউ তার মনে কোন কোন সময় এমন কিছু কথা (সংশয়) অনুভব করে যা মুখে ব্যক্ত করাও আমাদের মধ্যে কেউ তা গুরুতর অপরাধ মনে করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি তা এমন গুরুতর বলে মনে কর? সাহাবীগণ বললেন, হাঁ! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এটাই হলো স্বচ্ছ ঈমান। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: جَاءَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلُوهُ: إِنَّا نَجِدُ فِي أَنْفُسِنَا مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَلَّمَ بِهِ. قَالَ: «أَو قد وجدتموه» قَالُوا: نعم. قَالَ: «ذَاك صَرِيح الْإِيمَان» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال جاء ناس من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم الى النبي صلى الله عليه وسلم فسالوه انا نجد في انفسنا ما يتعاظم احدنا ان يتكلم به قال او قد وجدتموه قالوا نعم قال ذاك صريح الايمان رواه مسلم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira said that some of the companions of God’s messenger came to the Prophet to consult him saying, “We have thoughts which none of us dare to talk about.” He said, “Have you experienced that?” and when they replied that they had, he said, “That is clear faith.”

Muslim transmitted it.

ব্যাখ্যা: (مَا يَتَعَاظَمُ أَحَدُنَا أَنْ يَتَكَـلَّمَ بِه) আমাদের কেউ সে বিষয়ে কথা বলাটাও বড় অপরাধ মনে করে। যেমন আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? তিনি কেমন? তিনি কোন্ বস্তু? আমরা জানি যে, এমন কোন বিষয় তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়। আমরা এও জানি যে, তিনি সকল বস্তুর স্রষ্টা, তিনি সৃষ্ট নন। এমন বিষয়ের উদয় হলে এর বিধান কি? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের হৃদয়ে কি এমনটি অনুভব কর? অর্থাৎ- তোমরা জান ও বুঝ যে, এরূপ কথা উদয় হওয়া গুরুতর অপরাধমূলক? আর এরূপ অনুভব করাটাই প্রকৃত ঈমান। কেননা এটাকে বড় অপরাধ মনে করা ও তাকে ভয় করা কেবলমাত্র তার থেকেই পাওয়া সম্ভব যার ঈমান পরিপূর্ণ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৫-[৩] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শায়ত্বন (শয়তান) তোমাদের মধ্যে কারো কারো নিকটে আসে এবং (বিভিন্ন ব্যাপারে) প্রশ্ন করে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? ঐটা কে সৃষ্টি করেছে? এমনকি অবশেষে এটাও বলে বসে যে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? শায়ত্বন (শয়তান) যখন এ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন তার উচিত আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা যাতে সে এ ধারণা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَأْتِي الشَّيْطَانُ أَحَدَكُمْ فَيَقُولُ: مَنْ خلق كَذَا؟ مَنْ خَلَقَ كَذَا؟ حَتَّى يَقُولَ: مَنْ خَلَقَ رَبَّكَ؟ فَإِذَا بَلَغَهُ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللَّهِ وَلْيَنْتَهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ياتي الشيطان احدكم فيقول من خلق كذا من خلق كذا حتى يقول من خلق ربك فاذا بلغه فليستعذ بالله ولينته

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira also reported God’s messenger as saying, “The devil comes to one of you saying, ‘Who created this? Who created that?’ even saying, ‘Who created your Lord?’ "When he gets that length the man should seek refuge in God and stop thinking about it.”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: (إِذَا بَلَغَهٗ) অর্থাৎ- যখন তোমাদের কারো হৃদয়ে এমন কথা জাগবে যে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? (فَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ) তখন সে যেন আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, অর্থাৎ- মুখে সে (أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْم) উচ্চারণ করবে। তার হৃদয়ে এমন খারাপ কথার উদ্ভব ঘটিয়েছে যার চাইতে আর কোন খারাপ কথা নেই। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘‘আর যদি উদ্বুদ্ধ করে তোমাকে শায়ত্বনের (শয়তানের) ধোঁকা তাহলে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। অবশ্যই তিনি সব কিছু শুনেন সব কিছু জানেন’’- (সূরাহ্ আল আ‘রাফ ৭: ১৯৯)।

(وَلْيَنْتَهِ) আর সে যেন তা থেকে বিরত থাকে। অর্থাৎ- সে যেন অন্য চিন্তা ও কাজে ব্যাস্ত হয় এবং ঐ অবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর এরূপ কার্য দ্বারাই তার ওয়াস্ওয়াসাহ্ বিদূরিত হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৬-[৪] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সব সময় মানুষ (বিভিন্ন ব্যাপারে) পরস্পর কথোপকথন করতে থাকে। পরিশেষে এ পর্যায়ে এসে পৌঁছে যে, এসব মাখলূক্ব তো আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? তাই যে ব্যক্তির মনে এ জাতীয় খটকা, সংশয়, সন্দেহের উদয় হয় সে যেন বলে উঠে, আমি আল্লাহর প্রতি ও আল্লাহর রসূলের প্রতি ঈমান এনেছি। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَزَالُ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يُقَالَ هَذَا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ فَمَنْ خَلَقَ اللَّهَ؟ فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ: آمَنت بِاللَّه وَرُسُله

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يزال الناس يتساءلون حتى يقال هذا خلق الله الخلق فمن خلق الله فمن وجد من ذلك شيىا فليقل امنت بالله ورسله

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “People will continue to ask one another questions till someone says this, ‘God created all things, but who created God?’ Whoever comes across anything of that nature should say, ‘I believe in God and in His messengers.’ ”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যাঃ (فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذلِكَ شَيْئًا) যে ব্যক্তি তার হৃদয়ে এমন কিছু পাবে। অর্থাৎ- যে ব্যক্তির মনে এ ধরনের প্রশ্ন জাগবে যে, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? তখন যেন সে বলে (اۤمَنْتُ بِاللهِ وَرَسُوْلِه) আমি বিশ্বাস স্থাপন করেছি আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলগণের প্রতি। অর্থাৎ- আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় গুণাবলী ও তার একত্ববাদ সম্পর্কে যা বলেছেন আমি তাই বিশ্বাস করি। আর তাঁর রসূলগণ যা বলেন তাই সত্য ও সঠিক। এর পরে ভ্রান্তি ব্যতীত আর কিছু নেই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৭-[৫] ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা’আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِهِ قَرِينُهُ مِنَ الْجِنِّ وَقَرِينُهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ. قَالُوا: وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: وَإِيَّايَ وَلَكِنَّ اللَّهَ أَعَانَنِي عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي إِلَّا بِخَيْرٍ . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما منكم من احد الا وقد وكل به قرينه من الجن وقرينه من الملاىكة قالوا واياك يا رسول الله قال واياي ولكن الله اعانني عليه فاسلم فلا يامرني الا بخير رواه مسلم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Ibn Mas'ud reported God's messenger as saying, “There is none of you who does not have his partner from among the jinn and his partner from among the angels put in charge of him.” The hearers asked, “Does this also apply to you, messenger of God?” He replied, “It applies to me too, but God has helped me against him and he has accepted Islam, so he commands me to do only what is good.”

Muslim transmitted it.

ব্যাখ্যা: আপনার সাথেও কি জিন্ সঙ্গী আছে? এর জবাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও আছে। তবে তার কুমন্ত্রণা থেকে আমি নিরাপদ। সমগ্র উম্মাত এ বিষয়ে একমত যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শরীর, মন ও জিহ্বা শায়ত্বনের (শয়তানের) প্রভাব থেকে মুক্ত। এ হাদীসে শায়ত্বনের (শয়তানের) ফিতনাহ্ (ফিতনা) থেকে সতর্ক করা হয়েছে। তাই বিষয়টি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে অবহিত করেছেন যাতে আমরা তার কুমন্ত্রণা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৮-[৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে শায়ত্বন (শয়তান) (তার) শিরা-উপশিরায় রক্তের মধ্যে বিচরণ করে থাকে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الانسان مجْرى الدَّم»

وعن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الشيطان يجري من الانسان مجرى الدم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Anas reported God’s messenger as saying, “The devil flows in a man like his blood.”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: শায়ত্বন (শয়তান) মানুষের ধমনীতে চলাফেরা করে। অর্থাৎ- মানুষকে পরিপূর্ণ পথভ্রষ্ট করতে সম্ভাব্য সব ক্ষমতা শায়ত্বন (শয়তান)কে দেয়া হয়েছে। সে মানুষের ব্যাপারে এমন আচরণ করতে পারে যে, এর চেয়ে অধিক করার মতো আর কিছু বাকী নেই। শায়ত্বন (শয়তান) মানুষ থেকে পৃথক হয় না। সর্বদাই তার পিছে লেগে আছে। যেমন রক্ত মানুষের শরীর থেকে পৃথক হয় না। তাই মানুষকে শায়ত্বনের (শয়তানের) প্রবঞ্চনা থেকে রক্ষা পাওয়ার পূর্ণ প্রস্ত্ততি গ্রহণ করতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৬৯-[৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জন্মলগ্নে শায়ত্বন (শয়তান) তাকে স্পর্শ করেনি। আর এ কারণেই সন্তান জন্মকালে চিৎকার দিয়ে উঠে। শুধুমাত্র মারইয়াম (আঃ) ও তাঁর পুত্র [’ঈসা (আঃ) ] এর ব্যতিক্রম (তাদের শায়ত্বন (শয়তান) স্পর্শ করতে পারেনি)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ بَنِي آدَمَ مَوْلُودٌ إِلَّا يَمَسُّهُ الشَّيْطَانُ حِينَ يُولَدُ فَيَسْتَهِلُّ صَارِخًا مِنْ مَسِّ الشَّيْطَانِ غَيْرَ مَرْيَمَ وَابْنِهَا»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من بني ادم مولود الا يمسه الشيطان حين يولد فيستهل صارخا من مس الشيطان غير مريم وابنها

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Abu Huraira reported God’s messenger as saying, “Except Mary and her son, no human being is born without the devil touching him, so that he raises his voice crying out because of the devil's touch”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: হাদীসে বর্ণিত المس শব্দের অর্থ আঘাত বা খোঁচা। বুখারীতে বর্ণিত আছে (كُلُّ بَنِيْ ادَمُ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِيْ جَنَبِه بِإِصْبَعَيْهِ حِيْنَ يُوْلَدُ غَيْرَ عِيْسَى بْنُ مَرْيَمَ) সকল আদম সন্তানের জন্মের সময় শায়ত্বন (শয়তান) আঙ্গুল দ্বারা ভূমিষ্ঠ শিশুর পার্শ্বদেশে আঘাত করে। ‘ঈসা (আঃ) ইবনু মারইয়াম (আঃ) -এর ব্যতিক্রম। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এ আঘাত আদম সন্তানের ওপর তার প্রথম আক্রমণ। আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (আঃ)  ও তাঁর মাকে ‘ঈসা (আঃ)-এর নানীর দু‘আর বারাকাতে তাদের উভয়কে এ আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছেন।

তবে ‘ঈসা (আঃ) ও তাঁর মা এ থেকে রক্ষা পাওয়া দ্বারা এটা বুঝায় না যে, তাঁরা আমাদের নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান ছিলেন। কেননা নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এমন কিছু ফাযীলাত ও মু‘জিযা রয়েছে যা অন্য কোন নাবীর নেই।

ইমাম নবাবী বলেন, হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, বর্ণিত মর্যাদা শুধুমাত্র ‘ঈসা (আঃ)  ও তার মায়ের বৈশিষ্ট্য। তবে ক্বাযী ‘ইয়ায ইঙ্গিত করেছেন যে, সকল নাবীগণই এই মর্যাদার অধিকারী। কেননা নাবীগণ সকলেই শায়ত্বনের (শয়তানের) প্রভাব থেকে মুক্ত। তবে মারইয়াম (আঃ)-এর মা হান্নাহ্-এর দু‘আর কারণে শুধুমাত্র এ দু’জনের নাম হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য নাবীগণও এতে শামিল আছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৭০-[৮] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জন্মের সময় শিশু এজন্য চিৎকার করে যে, শায়ত্বন (শয়তান) তাকে খোঁচা মারে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صِيَاحُ الْمَوْلُودِ حِينَ يَقَعُ نَزْغَةٌ من الشَّيْطَان»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صياح المولود حين يقع نزغة من الشيطان

Chapter: Evil Promptings - Section 1


He (Abu Huraira) also reported God's messenger as saying, "The cry of an infant at the moment of birth is due to a prick from the devil.”

(Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা: সন্তান ভূমিষ্ঠের সময় শায়ত্বন (শয়তান) তাকে আঘাত করে এ উদ্দেশে যে, সে ভূমিষ্ঠ সন্তানকে কষ্ট দেবে এবং যে ইসলামী ফিতরাতের উপর সে জন্মগ্রহণ করেছে তা বিনষ্ট করে দিবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৭১-[৯] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইবলীস (শায়ত্বন (শয়তান)) সমুদ্রের পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে। অতঃপর মানুষের মধ্যে ফিতনাহ্ (ফিতনা)-ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য সেখান থেকে তার বাহিনী চারদিকে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে সে শায়ত্বন (শয়তান)ই তার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত যে শায়ত্বন (শয়তান) মানুষকে সবচেয়ে বেশী ফিতনায় নিপতিত করতে পারে। তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বলে, আমি এরূপ এরূপ ফিতনাহ্ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছি। তখন সে (ইবলীস) প্রত্যুত্তরে বলে, তুমি কিছুই করনি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতঃপর এদের অপর একজন এসে বলে, আমি মানব সন্তানকে ছেড়ে দেইনি, এমনকি দম্পতির মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, শায়ত্বন (শয়তান) এ কথা শুনে তাকে নিকটে বসায় আর বলে, তুমিই উত্তম কাজ করেছো। বর্ণনাকারী আ’মাশ বলেন, আমার মনে হয় জাবির (রাঃ) এটাও বলেছেন যে, ’’অতঃপর ইবলীস তার সাথে আলিঙ্গন করে’’। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ إِبْلِيسَ يَضَعُ عَرْشَهُ عَلَى المَاء ثمَّ يبْعَث سراياه فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ فَعَلَتُ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ مَا صَنَعْتَ شَيْئًا قَالَ ثُمَّ يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ مَا تَرَكَتُهُ حَتَّى فَرَّقَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ امْرَأَتِهِ قَالَ فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُولُ نَعَمْ أَنْتَ قَالَ الْأَعْمَشُ أرَاهُ قَالَ «فيلتزمه» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان ابليس يضع عرشه على الماء ثم يبعث سراياه فادناهم منه منزلة اعظمهم فتنة يجيء احدهم فيقول فعلت كذا وكذا فيقول ما صنعت شيىا قال ثم يجيء احدهم فيقول ما تركته حتى فرقت بينه وبين امراته قال فيدنيه منه ويقول نعم انت قال الاعمش اراه قال فيلتزمه رواه مسلم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


Jabir reported God’s messenger as saying, "Iblis sets his throne on the water, then sends forth his detachments to tempt mankind, the one who is nearest him in station being the one who can cause the severest temptation. One of them comes and says, ‘I have done such and such,’ but he replies, ‘You have done nothing.’ Then one of them comes and says; ‘I did not leave him till I separated him from his wife.’ He then brings him near to himself saying, ‘What a fine fellow you are!' ” A'mash said he thought he said, "Then he embraces him.”

Muslim transmitted it.

ব্যাখ্যা: (فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُولُ نِعْمَ أَنْتَ) শায়ত্বন (শয়তান) তাকে নিকটবর্তী করে নেয় এবং বলে, তুমি খুব ভালো। অর্থাৎ- শায়ত্বন (শয়তান) তার কৃতকার্যে সন্তুষ্ট হয়ে তার প্রশংসা করে এবং স্বীয় ইচ্ছা পূরণ করার কারণে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।

فَيَلْتَزِمُهٗ অর্থাৎ- শায়ত্বন (শয়তান) তার সাথে কুলাকুলি করে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার কারণে যা তার নিকট অধিক পছন্দনীয় কাজ- তাকে আপন করে নেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারলে পারিবারিক বন্ধন বিলুপ্ত হবে। একসময় উভয়ে অনৈতিক সম্পর্কেও জড়িত হতে পারে এবং এর দ্বারা সমাজে ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা দেখা দেবে। শায়ত্বন (শয়তান) এটাই চায়।

হাদীসের শিক্ষাঃ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে এমন আচার-আচরণ থেকে বিরত থাকা। কেননা এতে ব্যভিচার সংঘটিত হওয়া ও বংশীয় সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সন্দেহ-সংশয়, কুমন্ত্রণা

৭২-[১০] উক্ত রাবী [জাবির (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শায়ত্বন (শয়তান) এ বিষয়ে নিরাশ হয়ে গেছে যে, জাযীরাতুল ’আরাব-এর মুসল্লীরা তার ’ইবাদাত করবে, তবে সে তাদের পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছেদ-বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির ব্যাপারে নিরাশ হয়নি। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَسْوَسَةِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِن الشَّيْطَان قد أيس أَنْ يَعْبُدَهُ الْمُصَلُّونَ فِي جَزِيرَةِ الْعَرَبِ وَلَكِنَّ فِي التحريش بَينهم» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ان الشيطان قد ايس ان يعبده المصلون في جزيرة العرب ولكن في التحريش بينهم رواه مسلم

Chapter: Evil Promptings - Section 1


He [Jabir] also reported God’s messenger as saying, "The devil has despaired of being worshipped by those who engage in prayer in Arabia, but he has hopes of setting them against one another.”

Muslim transmitted it.

ব্যাখ্যা: মুসল্লীগণ শায়ত্বনের (শয়তানের) ‘ইবাদাত করবে- এ থেকে সে নিরাশ হয়ে গেছে। অর্থাৎ- শায়ত্বন (শয়তান) এ থেকে নিরাশ হয়ে গেছে যে, ইসলাম পরিবর্তন হয়ে দীনের ভিত্তি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিংবা শির্কের প্রকাশ ঘটে তা অব্যাহত থাকবে এবং সর্বশেষ নাবী আগমনের পূর্বে মানুষ যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরে যাবে।

(وَلَكِنْ فِي التَّحْرِيشِ بَيْنَهُمْ) অর্থাৎ- এ থেকে নিরাশ হয়নি যে, ‘আরব উপদ্বীপের বাসিন্দাগণ একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যাবে এবং তাদের মাঝে ফিৎনার উদ্ভব ঘটবে। বরং এ কাজ সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে সে আশাবাদী। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিষয়ে অবহিত করেছেন তা সংঘটিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان) 1. Faith
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে