মুয়াত্তা মালিক ৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء)
১৪৯৮

পরিচ্ছেদঃ ১. যে ব্যক্তি গোলাম বা বাঁদীর মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করে তাহার মাসআলা

রেওয়ায়ত ১. আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি গোলামের মধ্যে তাহার নির্ধারিত অংশকে আযাদ করিয়া দেয় এবং তাহার রহিয়াছে মাল (সঙ্গতি) যাহা গোলামের মূল্য পরিমাণ হইবে, তবে তাহার উদ্দেশ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মূল্য নিরূপণ করা হইবে, অতঃপর শরীকদিগকে তাহাদের স্ব-স্ব অংশ দেওয়া হইবে এবং তাহার পক্ষ হইতে গোলাম আযাদ হইয়া যাইবে। নতুবা [অর্থাৎ গোলামের মূল্য পরিমাণ অর্থ আযাদী প্রদানকারীর নিকট থাকিলে] যতটুকুর সে স্বত্বাধিকারী উহার সেই অংশ আযাদ হইয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ গোলামের ব্যাপারে আমাদের নিকট যাহা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত মত তাহা হইতেছে এই যে গোলামের কর্তা তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ অথবা অর্ধেক অথবা অংশ হইতে যে কোন অংশ আযাদ করিয়াছে তাহার মৃত্যুর পর [অর্থাৎ জীবিতাবস্থায় বলিয়াছে যে তাহার মৃত্যুর পর গোলামের সেই অংশ আযাদ হইবে]। তবে কর্তা যতটুকু আযাদ করিয়াছে এবং যেই পরিমাণ অংশ নির্দিষ্ট করিয়াছে গোলাম-এর সেই পরিমাণ অংশই আযাদ হইবে। কারণ এই নির্ধারিত পরিমাণ বা অংশের আযাদী ওয়াজিব হইয়াছে কর্তার মৃত্যুর পর। পক্ষান্তরে তাহার কর্তা জীবিত থাকিতে এই ব্যাপারে তাহার ইখতিয়ার ছিল। অর্থ দ্বারা ক্রয় করিয়া অবশিষ্ট অংশ আযাদ করার ইখতিয়ারও তাহার ছিল। যখন ওসীয়াতকারী কর্তার ওসীয়্যত অনুসারে গোলাম মুক্তিপ্রাপ্ত হইয়াছে, তবে ওসীয়াতকারীর অধিকার শুধু সেই অংশে, যেই অংশ তিনি আযাদ করার জন্য নির্দিষ্ট করিয়াছেন, কারণ ঐ নির্ধারিত অংশ তাহার নিজস্ব সম্পদ। কাজেই গোলামের অবশিষ্ট অংশ আযাদ হয় নাই। কারণ তাহার মালে এখন অন্যের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। তবে অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য লোকের পক্ষ হইতে কিরূপে আযাদ করা হইবে? যাহারা প্রথম আযাদ করে নাই, যাহারা উহাকে স্বীকৃতি প্রদান করে নাই, আর যাহারা স্বত্বেরও অধিকারী নহে ও স্বত্ব তাহদের জন্য প্রমাণিতও হয় নাই। ইহা করিয়াছেন মৃত ব্যক্তি — সেই আযাদ করিয়াছে স্বত্বাধিকার ও তাহার জন্য নির্ধারিত হইয়াছে। কাজেই অন্য কাহারো মালের উপর এই (গোলামের বাকী অংশ আযাদ করার) বোঝা চাপাইয়া দেওয়া হইবে না। অবশ্য সে যদি গোলামের অবশিষ্ট অংশ তাহার মাল হইতে আযাদ করার জন্য ওসীয়্যত করিয়া থাকে, তবে তাহার শরীক ও ওয়ারীসানদের উপর উহা জরুরী হইবে। শরীকগণ ইহা অস্বীকার করিতে পারবে না। ইহা প্রযোজ্য হইবে মৃত ব্যক্তির এক-তৃতীয়াংশ মাল হইতে। কারণ ইহাতে ওয়ারিসানদের কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি পীড়িত অবস্থায় তাহার গোলামের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করে এবং সে আযাদ করিয়াছে পরিষ্কারভাবে। তবে সে ক্রীতদাসের সম্পূর্ণ আযাদ হইবে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে। কারণ এই ব্যক্তি সেই ব্যক্তির মতো নহে, যে তাহার মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিয়াছে, কারণ সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর ক্রীতদাসের এক-তৃতীয়াংশ আযাদ করিতেছে, সে জীবিত থাকিলে উহা হইতে ফিরিয়া যাইতে পারে, আযাদী কার্যকর নাও করিতে পারে। [ইহা হইতেছে ওসীয়্যত, ওসীয়্যাতে রুজু করার ইখতিয়ার থাকে অর্থাৎ ওসীয়্যত হইতে প্রত্যাবর্তনের স্বাধীনতা থাকে।]

আর যে ক্রীতদাসের কর্তা পীড়িতাবস্থায় উহার এক-তৃতীয়াংশ আষাদ করিয়াছে পরিষ্কাররূপে, সে জীবিত থাকিলে গোলাম পূর্ণ আযাদী লাভ করবে, আর মৃত্যু হইলে তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে তাহাকে আযাদ করা হইবে। ইহার কারণ এই যে, মৃত ব্যক্তির হুকুম বৈধ হয় তাহার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে, যেমন সুস্থ ব্যক্তির হুকুম বৈধ হইবে তাহার সম্পূর্ণ সম্পদের মধ্যে।

بَاب مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ
قَالَ مَالِك وَالْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْعَبْدِ يُعْتِقُ سَيِّدُهُ مِنْهُ شِقْصًا ثُلُثَهُ أَوْ رُبُعَهُ أَوْ نِصْفَهُ أَوْ سَهْمًا مِنْ الْأَسْهُمِ بَعْدَ مَوْتِهِ أَنَّهُ لَا يَعْتِقُ مِنْهُ إِلَّا مَا أَعْتَقَ سَيِّدُهُ وَسَمَّى مِنْ ذَلِكَ الشِّقْصِ وَذَلِكَ أَنَّ عَتَاقَةَ ذَلِكَ الشِّقْصِ إِنَّمَا وَجَبَتْ وَكَانَتْ بَعْدَ وَفَاةِ الْمَيِّتِ وَأَنَّ سَيِّدَهُ كَانَ مُخَيَّرًا فِي ذَلِكَ مَا عَاشَ فَلَمَّا وَقَعَ الْعِتْقُ لِلْعَبْدِ عَلَى سَيِّدِهِ الْمُوصِي لَمْ يَكُنْ لِلْمُوصِي إِلَّا مَا أَخَذَ مِنْ مَالِهِ وَلَمْ يَعْتِقْ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ لِأَنَّ مَالَهُ قَدْ صَارَ لِغَيْرِهِ فَكَيْفَ يَعْتِقُ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَبْدِ عَلَى قَوْمٍ آخَرِينَ لَيْسُوا هُمْ ابْتَدَءُوا الْعَتَاقَةَ وَلَا أَثْبَتُوهَا وَلَا لَهُمْ الْوَلَاءُ وَلَا يَثْبُتُ لَهُمْ وَإِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ الْمَيِّتُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَ وَأُثْبِتَ لَهُ الْوَلَاءُ فَلَا يُحْمَلُ ذَلِكَ فِي مَالِ غَيْرِهِ إِلَّا أَنْ يُوصِيَ بِأَنْ يَعْتِقَ مَا بَقِيَ مِنْهُ فِي مَالِهِ فَإِنَّ ذَلِكَ لَازِمٌ لِشُرَكَائِهِ وَوَرَثَتِهِ وَلَيْسَ لِشُرَكَائِهِ أَنْ يَأْبَوْا ذَلِكَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي ثُلُثِ مَالِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَرَثَتِهِ فِي ذَلِكَ ضَرَرٌ قَالَ مَالِك وَلَوْ أَعْتَقَ رَجُلٌ ثُلُثَ عَبْدِهِ وَهُوَ مَرِيضٌ فَبَتَّ عِتْقَهُ عَتَقَ عَلَيْهِ كُلُّهُ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَنْزِلَةِ الرَّجُلِ يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لِأَنَّ الَّذِي يُعْتِقُ ثُلُثَ عَبْدِهِ بَعْدَ مَوْتِهِ لَوْ عَاشَ رَجَعَ فِيهِ وَلَمْ يَنْفُذْ عِتْقُهُ وَأَنَّ الْعَبْدَ الَّذِي يَبِتُّ سَيِّدُهُ عِتْقَ ثُلُثِهِ فِي مَرَضِهِ يَعْتِقُ عَلَيْهِ كُلُّهُ إِنْ عَاشَ وَإِنْ مَاتَ عَتَقَ عَلَيْهِ فِي ثُلُثِهِ وَذَلِكَ أَنَّ أَمْرَ الْمَيِّتِ جَائِزٌ فِي ثُلُثِهِ كَمَا أَنَّ أَمْرَ الصَّحِيحِ جَائِزٌ فِي مَالِهِ كُلِّهِ

حدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من اعتق شركا له في عبد فكان له مال يبلغ ثمن العبد قوم عليه قيمة العدل فاعطى شركاءه حصصهم وعتق عليه العبد والا فقد عتق منه ما عتق قال مالك والامر المجتمع عليه عندنا في العبد يعتق سيده منه شقصا ثلثه او ربعه او نصفه او سهما من الاسهم بعد موته انه لا يعتق منه الا ما اعتق سيده وسمى من ذلك الشقص وذلك ان عتاقة ذلك الشقص انما وجبت وكانت بعد وفاة الميت وان سيده كان مخيرا في ذلك ما عاش فلما وقع العتق للعبد على سيده الموصي لم يكن للموصي الا ما اخذ من ماله ولم يعتق ما بقي من العبد لان ماله قد صار لغيره فكيف يعتق ما بقي من العبد على قوم اخرين ليسوا هم ابتدءوا العتاقة ولا اثبتوها ولا لهم الولاء ولا يثبت لهم وانما صنع ذلك الميت هو الذي اعتق واثبت له الولاء فلا يحمل ذلك في مال غيره الا ان يوصي بان يعتق ما بقي منه في ماله فان ذلك لازم لشركاىه وورثته وليس لشركاىه ان يابوا ذلك عليه وهو في ثلث مال الميت لانه ليس على ورثته في ذلك ضرر قال مالك ولو اعتق رجل ثلث عبده وهو مريض فبت عتقه عتق عليه كله في ثلثه وذلك انه ليس بمنزلة الرجل يعتق ثلث عبده بعد موته لان الذي يعتق ثلث عبده بعد موته لو عاش رجع فيه ولم ينفذ عتقه وان العبد الذي يبت سيده عتق ثلثه في مرضه يعتق عليه كله ان عاش وان مات عتق عليه في ثلثه وذلك ان امر الميت جاىز في ثلثه كما ان امر الصحيح جاىز في ماله كله


Malik related to me from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace,said, "If a man frees his share of a slave and has enough money to cover the full price of the slave justly evaluated for him, he must buy out his partners so that the slave is completely freed. If he doesn't have the money, he partially frees him.

Malik said, "The generally agreed-on way of doing things among us in the case of slave whose master makes a bequest to free part of him - a third, a fourth, a half, or any share after his death, is that only the portion of him is freed that his master has named. This is because the freeing of that portion is only obliged to take place after the death of the master because the master has the option to withdraw the bequest as long as he lives. When the slave is freed from his master, the master is a testator and the testator only has access to free what he can take from his property, being the third of the property he is allowed to bequeath, and the rest of the slave is not free because the man's property has gone out of his hands. How can the rest of the slave which belongs to other people be free when they did not initiate the setting free and did not confirm it and they do not have the wala' established for them? Only the deceased could do that. He was the one who freed him and the one for whom the wala' was confirmed. That is not to be borne by another's property unless he bequeaths within the third of his property what remains of a lave to be freed. That is a request against his partners and inheritors and the partners must not refuse the slave that when it is within the third of the dead man's property because there is no harm in that to the inheritors."

Malik said, "If a man frees a third of his slave while he is critically ill, he must complete the emancipation so all of him is free from him, if it is within the third of his property that he has access to, because he is not treated in the same way as a man who frees a third of a slave after his death, because had the one who freed a third of his slave after his death lived, he could have cancelled it and the slave's being set free would be of no effect. The master who made the freeing of the third of the slave irrevocable in his illness, would still have to free all of him if he lived. If he died, the slave would be set free within the third of the bequest. That is because the command of the deceased is permissible in his third as the command of the healthy is permissible in all his property."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৪৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২. আযাদী প্রদানে শর্তারোপ করা

রেওয়ায়ত ২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার দাসকে আযাদ করিয়াছে এবং পরিষ্কারভাবে আযাদ করিয়াছে। যেমন সে ক্রীতদাসের সাক্ষ্য বৈধ হয়, তাহার স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং তাহার মর্যাদা পূর্ণতা লাভ করে, তবে গোলামের উপর যেরূপ শর্তারোপ করা হয় তাহার কর্তা তাহার উপর অনুরূপ কোন শর্তারোপ করিতে পারবে না এবং উহার উপর গোলামির কোন কিছু চাপাইতেও পারবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার অংশ আযাদ করিয়াছে গোলাম হইতে তাহার উপর সেই গোলামের (অবশিষ্ট অংশের) মূল্য ধার্য করা হইবে। তারপর শরীকদিগকে তাহাদের অংশ প্রদান করা হইবে, তাহার পক্ষে গোলাম আযাদ হইয়া যাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি গোলামে অন্য কাহারো অংশ না থাকে, তবে আযাদী পূর্ণ করার জন্য তিনি অধিক হকদার হইবেন এবং সেই আযাদীতে কোন প্রকার দাসত্ব মিশ্রিত থাকিবে না।

باب الشَّرْطِ فِي الْعِتْقِ

قَالَ مَالِك مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا لَهُ فَبَتَّ عِتْقَهُ حَتَّى تَجُوزَ شَهَادَتُهُ وَتَتِمَّ حُرِّيَّتُهُ وَيَثْبُتَ مِيرَاثُهُ فَلَيْسَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ عَلَيْهِ مِثْلَ مَا يَشْتَرِطُ عَلَى عَبْدِهِ مِنْ مَالٍ أَوْ خِدْمَةٍ وَلَا يَحْمِلَ عَلَيْهِ شَيْئًا مِنْ الرِّقِّ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ قُوِّمَ عَلَيْهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ قَالَ مَالِك فَهُوَ إِذَا كَانَ لَهُ الْعَبْدُ خَالِصًا أَحَقُّ بِاسْتِكْمَالِ عَتَاقَتِهِ وَلَا يَخْلِطُهَا بِشَيْءٍ مِنْ الرِّقِّ

قال مالك من اعتق عبدا له فبت عتقه حتى تجوز شهادته وتتم حريته ويثبت ميراثه فليس لسيده ان يشترط عليه مثل ما يشترط على عبده من مال او خدمة ولا يحمل عليه شيىا من الرق لان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من اعتق شركا له في عبد قوم عليه قيمة العدل فاعطى شركاءه حصصهم وعتق عليه العبد قال مالك فهو اذا كان له العبد خالصا احق باستكمال عتاقته ولا يخلطها بشيء من الرق


Malik said, "A master who frees a slave of his and settles his emancipation so that his testimony is permitted, his inviolability complete, and his right to inherit confirmed, cannot impose stipulations on him like what he imposes on a slave about property or service, nor get him to do anything of slavery, because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If a man frees his share of a slave and has enough money to cover the full price of the slave justly evaluated for him, he must give his partners their shares so the slave is completely free."

Malik commented, "If he owns the slave completely, it is more proper to free him completely and not mingle any slavery with it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০০

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে লোক ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী আযাদ করিয়াছে, উহা ব্যতীত তাহার অন্য কোন মাল নাই তাহার বিবরণ

রেওয়ায়ত ৩. হাসান ইবন আবিল-হাসান বসরী ও মুহাম্মদ ইবন শিরন (রহঃ) হইতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি মৃত্যুর সময় তাহার ছয়জন ক্রীতদাসকে আযাদ করিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের যুগে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাদের মধ্যে (নির্বাচনের উদ্দেশ্যে) লটারির ব্যবস্থা করিলেন এবং (লটারির মাধ্যমে) সেই ক্রীতদাসদের মধ্য হইতে এক-তৃতীয়াংশ (অর্থাৎ দুইজন) আযাদ করা হইল।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট এই মর্মে রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, সেই ব্যক্তির নিকট ক্রীতদাস হাড়া জন্য মাল ছিল না।

باب مَنْ أَعْتَقَ رَقِيقًا لَا يَمْلِكُ مَالًا غَيْرَهُمْ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّ رَجُلًا فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتَقَ عَبِيدًا لَهُ سِتَّةً عِنْدَ مَوْتِهِ فَأَسْهَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَهُمْ فَأَعْتَقَ ثُلُثَ تِلْكَ الْعَبِيدِ قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لِذَلِكَ الرَّجُلِ مَالٌ غَيْرُهُمْ

حدثني مالك عن يحيى بن سعيد وعن غير واحد عن الحسن بن ابي الحسن البصري وعن محمد بن سيرين ان رجلا في زمان رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتق عبيدا له ستة عند موته فاسهم رسول الله صلى الله عليه وسلم بينهم فاعتق ثلث تلك العبيد قال مالك وبلغني انه لم يكن لذلك الرجل مال غيرهم


Malik related to me from Yahya ibn Said and somebody else from al-Hasan ibn Abi al-Hasan al-Basri and from Muhammad ibn Sirin that a man in the time of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, freed six of his slaves while he was dying. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, drew lots between them and freed a third of those slaves.

Malik added that he had heard that the man did not have any property other than them.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০১

পরিচ্ছেদঃ ৩. যে লোক ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসী আযাদ করিয়াছে, উহা ব্যতীত তাহার অন্য কোন মাল নাই তাহার বিবরণ

রেওয়ায়ত ৪. রবিয়া ইবন আবদির রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবান ইবন উসমান (রহঃ) এর শাসনকালে এক ব্যক্তি তাহার সব কয়টি গোলামকে আযাদ করিয়া দিল, তাহার আর কোন মাল ছিল না সেই ক্রীতদাসগুলি ছাড়া। আবান ইন উসমানের নির্দেশে সব ক্রীতদাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হইল। তারপর লটারি দেওয়া হইল মৃত ব্যক্তির অংশ বেই ভাগে বাহির হইবে সেই ভাগের ক্রীতদাসদিগকে আযাদ করা হইবে, তিন অংশের মধ্য হইতে এক অংশের উপর লটারি উঠিল, ফলে যেই এক-তৃতীয়াংশের উপর লটারি উঠিল সে অংশ আযাদ হইল।

باب مَنْ أَعْتَقَ رَقِيقًا لَا يَمْلِكُ مَالًا غَيْرَهُمْ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ رَجُلًا فِي إِمَارَةِ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ أَعْتَقَ رَقِيقًا لَهُ كُلَّهُمْ جَمِيعًا وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُمْ فَأَمَرَ أَبَانُ بْنُ عُثْمَانَ بِتِلْكَ الرَّقِيقِ فَقُسِمَتْ أَثْلَاثًا ثُمَّ أَسْهَمَ عَلَى أَيِّهِمْ يَخْرُجُ سَهْمُ الْمَيِّتِ فَيَعْتِقُونَ فَوَقَعَ السَّهْمُ عَلَى أَحَدِ الْأَثْلَاثِ فَعَتَقَ الثُّلُثُ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهِ السَّهْمُ

وحدثني مالك عن ربيعة بن ابي عبد الرحمن ان رجلا في امارة ابان بن عثمان اعتق رقيقا له كلهم جميعا ولم يكن له مال غيرهم فامر ابان بن عثمان بتلك الرقيق فقسمت اثلاثا ثم اسهم على ايهم يخرج سهم الميت فيعتقون فوقع السهم على احد الاثلاث فعتق الثلث الذي وقع عليه السهم


Malik related to me from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman that a man in the time of Aban ibn Uthman's amirate freed all of his slaves and did not have other property than them. Aban ibn Uthman took charge of the slaves and they were divided into three groups. Then he drew lots on the basis that which ever group drew the dead man's arrow would be free. The arrow fell to one of the thirds, and that third was freed.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০২

পরিচ্ছেদঃ ৪. ক্রীতদাস আযাদ হইলে তাহার মাল কাহার প্রাপ্য হইবে তাহার মাসআলা

রেওয়ায়ত ৫. মালিক (রহঃ) ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, ইহা প্রচলিত সুন্নাত (নিয়ম) যে, ক্রীতদাস আযাদ হইলে মাল তাহার পশ্চাদগামী হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আরও স্পষ্ট করিয়া এই দৃষ্টান্তটি বলা যায় যে, ক্রীতদাস আযাদ হইলে তাহার মালও তাহার সাথে থাকিবে, কারণ মুকাতাব (যাহাকে মালের বিনিময়ে আযাদী প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে)-কে (মালের বিনিময়ে) আযাদীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইলে তবে শর্ত না করিলেও মাল তাহারই থাকিবে। ইহা এইজন্য যে, কিতাবতের কার্য পূর্ণতা লাভ করিলে (অর্থাৎ অর্থ আদায় করিলে) উহা হুবহু স্বত্বাধিকার (ولاء) এর চুক্তির মতো গণ্য হইবে, যেমন ক্রীতদাসকে আযাদ করিয়া দিলে সে স্বত্বাধিকার লাভ করে তদ্রুপ বদলে কিতাবত (আযাদীর জন্য নির্ধারিত অর্থ) আদায় করিলে ক্রীতদাস (مكاتب) আযাদ হইয়া যায় এবং তাহার সম্পদের স্বত্বাধিকারী সে নিজেই হইবে। আর ক্রীতদাস ও মুকাতাব-এর সম্পদ তাহদের সন্তান-সন্ততির মতো নহে, কারণ তাহাদের সন্তানগণ তাহাদেরই মতো (কর্তাগণ উহাদের মালিক বটে) উহারা তাহাদের সম্পদের মতো নহে অর্থাৎ সম্পদের মতো ক্রীতদাস ও মুকাতাব দাস সন্তানদের মালিক হইবে না। কারণ নিয়ম এই, যেই নিয়মে কোন দ্বিমত নাই অর্থাৎ ক্রীতদাস আযাদ হইলে তাহার মাল তাহার পশ্চাদানুসরণ করিবে, কিন্তু সন্তান তাহার পশ্চাদগামী হইবে না। আর মুকাতাব-এর সহিত যখন কিতাবত করা হয়, তখন তাহার মালও তাহার পশ্চাদানুসরণ করিবে, কিন্তু তাহার সন্তান তাহার পশ্চাদগামী হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যাহা ইহাকে আরও স্পষ্ট করে তাহা হইল, ক্রীতদাস ও মুকাতাব তাহারা উভয়ে দেউলিয়া হইলে তাহাদের সম্পদ ও তাহাদের উম্মে ওয়ালাদগণকে গ্রহণ করা হইবে কিন্তু তাহাদের সন্তানগণকে বিনিময়ে গ্রহণ করা হইবে না। কারণ সন্তান তাহদের মাল নহে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আর একটি নজীর ইহাকে স্পষ্ট করিয়া তোলে। তাহা হইল, যদি ক্রীতদাসকে এই শর্তে বিক্রয় করা হয় যে তাহার মাল ক্রেতা পাইবে, তবে ক্রীতদাসের সন্তান মালের অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আরও যে নজীর ইহাকে স্পষ্ট করে তাহা হইল এই যে, ক্রীতদাস কাহাকেও জখম করিলে, ক্রীতদাস ও উহার মাল বিনিময়ে লওয়া হইবে, কিন্তু (বিনিময়ে) সন্তানকে গ্রহণ করা হইবে না।

باب الْقَضَاءِ فِي مَالِ الْعَبْدِ إِذَا عَتَقَ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ مَضَتْ السُّنَّةُ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ مَالُهُ
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا أُعْتِقَ تَبِعَهُ مَالُهُ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْهُ الْمُكَاتِبُ وَذَلِكَ أَنَّ عَقْدَ الْكِتَابَةِ هُوَ عَقْدُ الْوَلَاءِ إِذَا تَمَّ ذَلِكَ وَلَيْسَ مَالُ الْعَبْدِ وَالْمُكَاتَبِ بِمَنْزِلَةِ مَا كَانَ لَهُمَا مِنْ وَلَدٍ إِنَّمَا أَوْلَادُهُمَا بِمَنْزِلَةِ رِقَابِهِمَا لَيْسُوا بِمَنْزِلَةِ أَمْوَالِهِمَا لِأَنَّ السُّنَّةَ الَّتِي لَا اخْتِلَافَ فِيهَا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا عَتَقَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ وَأَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا كُوتِبَ تَبِعَهُ مَالُهُ وَلَمْ يَتْبَعْهُ وَلَدُهُ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ وَالْمُكَاتَبَ إِذَا أَفْلَسَا أُخِذَتْ أَمْوَالُهُمَا وَأُمَّهَاتُ أَوْلَادِهِمَا وَلَمْ تُؤْخَذْ أَوْلَادُهُمَا لِأَنَّهُمْ لَيْسُوا بِأَمْوَالٍ لَهُمَا قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا بِيعَ وَاشْتَرَطَ الَّذِي ابْتَاعَهُ مَالَهُ لَمْ يَدْخُلْ وَلَدُهُ فِي مَالِهِ قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُبَيِّنُ ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّ الْعَبْدَ إِذَا جَرَحَ أُخِذَ هُوَ وَمَالُهُ وَلَمْ يُؤْخَذْ وَلَدُهُ

حدثني مالك عن ابن شهاب انه سمعه يقول مضت السنة ان العبد اذا اعتق تبعه ماله قال مالك ومما يبين ذلك ان العبد اذا اعتق تبعه ماله ان المكاتب اذا كوتب تبعه ماله وان لم يشترطه المكاتب وذلك ان عقد الكتابة هو عقد الولاء اذا تم ذلك وليس مال العبد والمكاتب بمنزلة ما كان لهما من ولد انما اولادهما بمنزلة رقابهما ليسوا بمنزلة اموالهما لان السنة التي لا اختلاف فيها ان العبد اذا عتق تبعه ماله ولم يتبعه ولده وان المكاتب اذا كوتب تبعه ماله ولم يتبعه ولده قال مالك ومما يبين ذلك ايضا ان العبد والمكاتب اذا افلسا اخذت اموالهما وامهات اولادهما ولم توخذ اولادهما لانهم ليسوا باموال لهما قال مالك ومما يبين ذلك ايضا ان العبد اذا بيع واشترط الذي ابتاعه ماله لم يدخل ولده في ماله قال مالك ومما يبين ذلك ايضا ان العبد اذا جرح اخذ هو وماله ولم يوخذ ولده


Malik related to me that he heard Ibn Shihab say, "The precedent of the sunna is that when a slave is freed, his property follows him."

Malik said, "One thing which makes clear that the property of a slave follows him when he is freed is that when the contract (mukatab) is written for his freedom, his property follows him even if he did not stipulate it. That is because the bond of kitaba is the bond of wala' when it is complete. The property of a slave and a mukatab is not treated in the same way as any children they may have. Their children are only treated in the same way as their own slaves, not in the same way as their property. This is because the sunna, in which there is no dispute, is that when a slave is freed, his property follows him and his children do not follow him, and when a mukatab writes the contract for his freedom, his property follows him and his children do not follow him."

Malik said, "One thing which makes that clear is that when a slave or a mukatab are bankrupt, their property is taken but the mothers of their children and their children are not taken because they are not their property."

Malik said, "Another thing which makes it clear is that when a slave is sold and the person who buys him stipulates the inclusions of his property, his children are not included in his property."

Malik said, "Another thing which makes it clear is that when a slave does injure some one, he and his property are taken, and his children are not taken."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. উম্মাহাতুল-আওলাদ এর আযাদী এবং এ সম্পর্কিত বিবিধ হুকুম

রেওয়ায়ত ৬. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলিয়াছেন, যেই ক্রীতদাসী তাহার কর্তার ঔরসে সন্তান জন্মাইয়াছে, সে কর্তা উহাকে বিক্রয় করিতে পারিবে না, আর পরিবে না উহাকে দান করিতে, উহার স্বত্বাধিকারও লাভ করিবে না, সে উহার দ্বারা উপকৃত হইবে, যখন কর্তার মৃত্যু হইবে ক্রীতদাসী তখন আযাদ হইবে।

باب عِتْقِ أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ وَجَامِعِ الْقَضَاءِ فِي الْعَتَاقَةِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ أَيُّمَا وَلِيدَةٍ وَلَدَتْ مِنْ سَيِّدِهَا فَإِنَّهُ لَا يَبِيعُهَا وَلَا يَهَبُهَا وَلَا يُوَرِّثُهَا وَهُوَ يَسْتَمْتِعُ بِهَا فَإِذَا مَاتَ فَهِيَ حُرَّةٌ

حدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان عمر بن الخطاب قال ايما وليدة ولدت من سيدها فانه لا يبيعها ولا يهبها ولا يورثها وهو يستمتع بها فاذا مات فهي حرة


Malik related to me from Nafi from Abdullah ibn Umar that Umar ibn al-Khattab said, "If a slave-girl gives birth to a child by her master, he must not sell her, give her away, or bequeath her. He enjoys her and when he dies she is free ."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. উম্মাহাতুল-আওলাদ এর আযাদী এবং এ সম্পর্কিত বিবিধ হুকুম

রেওয়ায়ত ৭. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট জনৈকা ক্রীতদাসী আসিল, যাহাকে তাহার কর্তা আগুন দ্বারা জখম করিয়াছে অথবা তাহার শরীরে আগুন লাগাইয়াছে। উমর (রাঃ) উহাকে আযাদ করিয়া দিলেন (অর্থাৎ আযাদ করিয়া দেওয়ার জন্য কর্তাকে নির্দেশ দিলেন।)

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট পছন্দনীয় হুকুম এই যে, যে ব্যক্তির উপর ঋণ আছে এবং ঋণ তাহার সমস্ত মাল ঘিরিয়া রাখিয়াছে সে ব্যক্তির পক্ষে (ক্রীতদাস বা ক্রীতদাসীকে) আযাদ করা বৈধ নহে। বালক যতক্ষণ বালেগ না হয় অথবা বালেগ পুরুষের সমপর্যায়ে না পৌছে, ততক্ষণ তাহার পক্ষে গোলাম আযাদ করা বৈধ হইবে না, যে ব্যক্তির মালের উপর মুতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হইয়াছে (এবং তাহাকে কার্য পরিচালনা হইতে বিরত রাখা হইয়াছে) সে বালিগ (সাবালক) হইলেও গোলাম আযাদ করিতে পরিবে না, যাবত সে নিজ সম্পদের পরিচালক না হইবে।

باب عِتْقِ أُمَّهَاتِ الْأَوْلَادِ وَجَامِعِ الْقَضَاءِ فِي الْعَتَاقَةِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَتْهُ وَلِيدَةٌ قَدْ ضَرَبَهَا سَيِّدُهَا بِنَارٍ أَوْ أَصَابَهَا بِهَا فَأَعْتَقَهَا قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا تَجُوزُ عَتَاقَةُ رَجُلٍ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ يُحِيطُ بِمَالِهِ وَأَنَّهُ لَا تَجُوزُ عَتَاقَةُ الْغُلَامِ حَتَّى يَحْتَلِمَ أَوْ يَبْلُغَ مَبْلَغَ الْمُحْتَلِمِ وَأَنَّهُ لَا تَجُوزُ عَتَاقَةُ الْمُوَلَّى عَلَيْهِ فِي مَالِهِ وَإِنْ بَلَغَ الْحُلُمَ حَتَّى يَلِيَ مَالَهُ

وحدثني مالك انه بلغه ان عمر بن الخطاب اتته وليدة قد ضربها سيدها بنار او اصابها بها فاعتقها قال مالك الامر المجتمع عليه عندنا انه لا تجوز عتاقة رجل وعليه دين يحيط بماله وانه لا تجوز عتاقة الغلام حتى يحتلم او يبلغ مبلغ المحتلم وانه لا تجوز عتاقة المولى عليه في ماله وان بلغ الحلم حتى يلي ماله


Malik related to me that he had heard that a slave-girl came to Umar ibn al-Khattab (who had been beaten by her master with a red hot iron) and he set her free.

Malik said, "The generally agreed- on way of doing things among us is that a man is not permitted to be freed while he has a debt against him which exceeds his property. A boy is not allowed to be set free until he has reached puberty. The young person whose affairs are managed cannot set free in his property, even when he reaches puberty, until he manages his property."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. পূর্বে যাহার উপর দাসমুক্তি ওয়াজিব হইয়াছে তাহার জন্য কি ধরনের দাস মুক্ত করা - জায়েয তাহার বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৮. আতা ইবন ইয়াসার (রহঃ) উমর ইবন হাকাম[1] (রাঃ) হইতে ৰণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট উপস্থিত হইলাম। আমি বলিলাম, ইয়া-রাসূলাল্লাহ! আমার এক ক্রীতদাসী আমার ছাগপাল চরাইতেছিল। একদিন আমি তাহার নিকট গেলাম এবং জানিতে পারিলাম সে একটি বকরী হারাইয়া ফেলিয়াছে। আমি তাহাকে বকরীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলাম। সে বলিল, উহাকে বাঘে খাইয়া ফেলিয়াছে। আমি উহার জন্য দুঃখিত হইলাম, আর আমি আদম সন্তানের একজন (আমার রাগ হইল)। তাই আমি ক্রীতদাসীর মুখের উপর চড় মারিলাম। আমার উপর (পূর্বে) একটি দাস বা দাসী আযাদ করা জরুরী ছিল, এখন আমি উহাকে (ক্রীতদাসীকে) আযাদ করিব কি? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহাকে (ক্রীতদাসীকে) জিজ্ঞাসা করিলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বলিল, উর্ধ্বলোকে। তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলয়হি ওয়া সাল্লাম] বললেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলয়হি ওয়া সাল্লাম বলিলেনঃ ইহাকে আযাদ করিয়া দাও।

باب مَا يَجُوزُ مِنْ الْعِتْقِ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِلَالِ بْنِ أُسَامَةَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّهُ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ جَارِيَةً لِي كَانَتْ تَرْعَى غَنَمًا لِي فَجِئْتُهَا وَقَدْ فُقِدَتْ شَاةٌ مِنْ الْغَنَمِ فَسَأَلْتُهَا عَنْهَا فَقَالَتْ أَكَلَهَا الذِّئْبُ فَأَسِفْتُ عَلَيْهَا وَكُنْتُ مِنْ بَنِي آدَمَ فَلَطَمْتُ وَجْهَهَا وَعَلَيَّ رَقَبَةٌ أَفَأُعْتِقُهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْنَ اللَّهُ فَقَالَتْ فِي السَّمَاءِ فَقَالَ مَنْ أَنَا فَقَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتِقْهَا

حدثني مالك عن هلال بن اسامة عن عطاء بن يسار عن عمر بن الحكم انه قال اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله ان جارية لي كانت ترعى غنما لي فجىتها وقد فقدت شاة من الغنم فسالتها عنها فقالت اكلها الذىب فاسفت عليها وكنت من بني ادم فلطمت وجهها وعلي رقبة افاعتقها فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم اين الله فقالت في السماء فقال من انا فقالت انت رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتقها


Malik related to me from Hilal ibn Usama from Ata ibn Yasar that Umar ibn al-Hakam said, "I went to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, 'Messenger of Allah, a slave girl of mine was tending my sheep. I came to her and one of the sheep was lost. I asked her about it and she said that a wolf had eaten it, so I became angry and I am one of the children of Adam, so I struck her on the face. As it happens, I have to set a slave free, shall I free her?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, questioned her, 'Where is Allah?' She said, 'In heaven.' He said, 'Who am I?' She said, 'You are the Messenger of Allah.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Free her.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আতা ইবনু ইয়াসার (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৬

পরিচ্ছেদঃ ৬. পূর্বে যাহার উপর দাসমুক্তি ওয়াজিব হইয়াছে তাহার জন্য কি ধরনের দাস মুক্ত করা - জায়েয তাহার বর্ণনা

রেওয়ায়ত ৯. ওবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদিল্লাহ ইবন উতবা ইবন মাসউদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আনসারের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট তাহার একটি কৃষ্ণ বর্ণের ক্রীতদাসীকে লইয়া উপস্থিত হইল এবং বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার উপর একটি ঈমানদার ক্রীতদাসী আযাদ করা ওয়াজিব হইয়াছে, তবে আমি এই ক্রীতদাসীটিকে আযাদ করিতে পারি কি? আপনি যদি ইহাকে ঈমানদার মনে করেন তবে আমি তাহাকে আযাদ করিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উহাকে (উদ্দেশ্য করিয়া) বলিলেন, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই (لا اله الا الله) তুমি কি ইহার সাক্ষ্য দাও। সে বলিল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল (محمد رسول الله) তুমি এই সাক্ষ্য দাও কি? সে বলিল, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (মৃত্যুর পর) পুনরুত্থানে তুমি বিশ্বাস কর কি? সে বলিল, হ্যাঁ। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি ইহাকে মুক্তি দাও।

باب مَا يَجُوزُ مِنْ الْعِتْقِ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ الْأَنْصَارِ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِجَارِيَةٍ لَهُ سَوْدَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ عَلَيَّ رَقَبَةً مُؤْمِنَةً فَإِنْ كُنْتَ تَرَاهَا مُؤْمِنَةً أُعْتِقُهَا فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَشْهَدِينَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ أَتَشْهَدِينَ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ أَتُوقِنِينَ بِالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ قَالَتْ نَعَمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْتِقْهَا

وحدثني مالك عن ابن شهاب عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود ان رجلا من الانصار جاء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم بجارية له سوداء فقال يا رسول الله ان علي رقبة مومنة فان كنت تراها مومنة اعتقها فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم اتشهدين ان لا اله الا الله قالت نعم قال اتشهدين ان محمدا رسول الله قالت نعم قال اتوقنين بالبعث بعد الموت قالت نعم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعتقها


Malik related to me from Ibn Shihab from Ubaydullah ibn Abdullah ibn Utba ibn Masud that one of the Ansar came to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, with a black slave- girl of his. He said, "Messenger of Allah, I must set a slave free who is a mumina. If you think that she is mumina, I will free her." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, questioned her, "Do you testify that there is no god but Allah?" She said, "Yes." "Do you testify that Muhammad is the Messenger of Allah?" She said, "Yes." "Are you certain about the rising after death?" She said, "Yes." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Free her."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. পূর্বে যাহার উপর দাসমুক্তি ওয়াজিব হইয়াছে তাহার জন্য কি ধরনের দাস মুক্ত করা - জায়েয তাহার বর্ণনা

রেওয়ায়ত ১০. মাকবুরী (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আবু হুরায়রা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যাহার উপর দাস বা দাসীর আযাদ করা ওয়াজিব হইয়াছে। প্রশ্নটি হইল, সে ব্যক্তি জারজ সন্তান আযাদ করিতে পারিবে কি ? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলিলেন, হ্যাঁ, উহা তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে।

باب مَا يَجُوزُ مِنْ الْعِتْقِ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ الرَّجُلِ تَكُونُ عَلَيْهِ رَقَبَةٌ هَلْ يُعْتِقُ فِيهَا ابْنَ زِنًا فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَعَمْ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ

وحدثني مالك انه بلغه عن المقبري انه قال سىل ابو هريرة عن الرجل تكون عليه رقبة هل يعتق فيها ابن زنا فقال ابو هريرة نعم ذلك يجزى عنه


Malik related to me that he had heard that al-Maqburi said that Abu Hurayra was asked whether a man who had to free a slave, could free an illegitimate child to fulfil that obligation. Abu Hurayra said, "Yes. That will give satisfaction for him."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. পূর্বে যাহার উপর দাসমুক্তি ওয়াজিব হইয়াছে তাহার জন্য কি ধরনের দাস মুক্ত করা - জায়েয তাহার বর্ণনা

রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ)-এর নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে ফুযাল ইবন উবায়দ আনসারী (রাঃ) হইতে, তিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সাহাবীদের একজন। তাহার নিকট প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যাহার উপর রাকাবা (গোলাম বা বাঁদী) আযাদ করা ওয়াজিব, তাহার পক্ষে জারজ সন্তান আযাদ করা জায়েয হইবে কি? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, উহা তাহার পক্ষে যথেষ্ট হইবে।

باب مَا يَجُوزُ مِنْ الْعِتْقِ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ الرَّجُلِ تَكُونُ عَلَيْهِ رَقَبَةٌ هَلْ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يُعْتِقَ وَلَدَ زِنًا قَالَ نَعَمْ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ

وحدثني مالك انه بلغه عن فضالة بن عبيد الانصاري وكان من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم انه سىل عن الرجل تكون عليه رقبة هل يجوز له ان يعتق ولد زنا قال نعم ذلك يجزى عنه


Malik related to me that he had heard that Fadala ibn Ubayd al- Ansari who was one of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was asked whether it was permissible for a man who had to free a slave to free an illegitimate child. He said, "Yes, That will give satisfaction for him."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫০৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. আযাদ করা ওয়াজিব এমন দাস-দাসীকে কি কি কারণে বা শর্তে আযাদ করা বৈধ হয় না

রেওয়ায়ত ১২. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল, যেই ক্রীতদাসকে আযাদ করা ওয়াজিব হইয়াছে উহাকে (ক্রেতা কর্তৃক আযাদ করার) শর্তে ক্রয় কম যায় কি? তিনি বলিলেন, না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ রাকাবা ওয়াজিব [ক্রীতদাস বা দাসীকে কোন ব্যাপারে আবাদ করা ওয়াজিব হইলে উহাকে রাকাবা-ই ওয়াজিবা’ বলা হয়। যেমন মানত এবং কাফফারাতে গোলাম আযাদ করা ওয়াজিব হয়] সম্বন্ধে যাহা আমি শুনিয়াছি (তন্মধ্যে) সর্বাপেক্ষা সুন্দরতম (এই যে,) ’রাকাবা-ই ওয়াজিবা’-কে যে আযাদ করিবে, সে আযাদী দেওয়ার শর্ত করিয়া ক্রয় করিবে না। কারণ এইরূপ শর্ত করিলে ঐ রাকাবা’ পূর্ণ রাকাবা হইবে না, কেননা যে এইরূপ শর্ত করিবে তাহার উদ্দেশ্যে বিক্রেতা মূল্য কমাইয়া দিবে (কাজেই রাকাবা অসম্পূর্ণ থাকিবে)।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ নফল নিয়্যত আযাদ করার জন্য গোলাম ক্রয় করিতে যাইয়া আযাদ করিবে বলিয়া শর্ত করিয়া ক্রয় করাতে কোন দোষ নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ রিকাবে-ওয়াজিবা সম্পর্কে সবচাইতে সুন্দর যাহা আমি শুনিয়াছি, (তাহা হইল এই), উহাতে নাসূরানী অথবা ইহুদী গোলাম আযাদ করা যাইবে না। মাকাতাব (যে ক্রীতদাসকে অন্য কিছুর বিনিময়ে আযাদ করিবে বলিয়া ঠিক করা হইয়াছে) ও মুদাব্বর (কর্তার মৃত্যুর পর যে ক্রীতদাস আযাদ)-কে অথবা যাহাকে কয়েক বৎসরের জন্য আযাদ করা হইয়াছে উহাকে আযাদ করা যাইবে না (আরও আযাদ করা যাইবে না) উম্মু ওয়ালাদকে এবং অন্ধকেও না, তবে নফল রূপে নাসরানী, ইহুদী ও মজুসীকে আযাদ করাতে কোন দোষ নাই। কারণ আল্লাহ তা’আলা কিতাবে বলিয়াছেনঃ (‏فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً‏) এখানে মান্না (مَنَّ) হইতেছে আযাদ করা।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ওয়াজিবরূপে যে ব্যাপারে ক্রীতদাসকে আযাদ করা হয়, যাহার উল্লেখ আল্লাহু তা’আলা কিতাবে বর্ণনা করিয়াছেন, সেই সকল ব্যাপারে মু’মিন ’রাকাবা’-কেই আযাদ করিতে হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কাফফারাতে মিসকীনদিগকে ভোজ দেওয়াতে মুসলিম মিসকীন ছাড়া অন্য কাহাকেও ভোজ দেওয়া ঠিক নহে, এই ব্যাপারে কোন অমুসলিমকে খাওয়াইবে না।

باب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ الْعِتْقِ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ

حَدَّثَنِي مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ سُئِلَ عَنْ الرَّقَبَةِ الْوَاجِبَةِ هَلْ تُشْتَرَى بِشَرْطٍ فَقَالَ لَا قَالَ مَالِك وَذَلِكَ أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ أَنَّهُ لَا يَشْتَرِيهَا الَّذِي يُعْتِقُهَا فِيمَا وَجَبَ عَلَيْهِ بِشَرْطٍ عَلَى أَنْ يُعْتِقَهَا لِأَنَّهُ إِذَا فَعَلَ ذَلِكَ فَلَيْسَتْ بِرَقَبَةٍ تَامَّةٍ لِأَنَّهُ يَضَعُ مِنْ ثَمَنِهَا لِلَّذِي يَشْتَرِطُ مِنْ عِتْقِهَا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَشْتَرِيَ الرَّقَبَةَ فِي التَّطَوُّعِ وَيَشْتَرِطَ أَنْ يُعْتِقَهَا قَالَ مَالِك إِنَّ أَحْسَنَ مَا سُمِعَ فِي الرِّقَابِ الْوَاجِبَةِ أَنَّهُ لَا يَجُوزُ أَنْ يُعْتَقَ فِيهَا نَصْرَانِيٌّ وَلَا يَهُودِيٌّ وَلَا يُعْتَقُ فِيهَا مُكَاتَبٌ وَلَا مُدَبَّرٌ وَلَا أُمُّ وَلَدٍ وَلَا مُعْتَقٌ إِلَى سِنِينَ وَلَا أَعْمَى وَلَا بَأْسَ أَنْ يُعْتَقَ النَّصْرَانِيُّ وَالْيَهُودِيُّ وَالْمَجُوسِيُّ تَطَوُّعًا لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ فِي كِتَابِهِ فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً فَالْمَنُّ الْعَتَاقَةُ قَالَ مَالِك فَأَمَّا الرِّقَابُ الْوَاجِبَةُ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ فِي الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لَا يُعْتَقُ فِيهَا إِلَّا رَقَبَةٌ مُؤْمِنَةٌ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ فِي إِطْعَامِ الْمَسَاكِينِ فِي الْكَفَّارَاتِ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُطْعَمَ فِيهَا إِلَّا الْمُسْلِمُونَ وَلَا يُطْعَمُ فِيهَا أَحَدٌ عَلَى غَيْرِ دِينِ الْإِسْلَامِ

حدثني مالك انه بلغه ان عبد الله بن عمر سىل عن الرقبة الواجبة هل تشترى بشرط فقال لا قال مالك وذلك احسن ما سمعت في الرقاب الواجبة انه لا يشتريها الذي يعتقها فيما وجب عليه بشرط على ان يعتقها لانه اذا فعل ذلك فليست برقبة تامة لانه يضع من ثمنها للذي يشترط من عتقها قال مالك ولا باس ان يشتري الرقبة في التطوع ويشترط ان يعتقها قال مالك ان احسن ما سمع في الرقاب الواجبة انه لا يجوز ان يعتق فيها نصراني ولا يهودي ولا يعتق فيها مكاتب ولا مدبر ولا ام ولد ولا معتق الى سنين ولا اعمى ولا باس ان يعتق النصراني واليهودي والمجوسي تطوعا لان الله تبارك وتعالى قال في كتابه فاما منا بعد واما فداء فالمن العتاقة قال مالك فاما الرقاب الواجبة التي ذكر الله في الكتاب فانه لا يعتق فيها الا رقبة مومنة قال مالك وكذلك في اطعام المساكين في الكفارات لا ينبغي ان يطعم فيها الا المسلمون ولا يطعم فيها احد على غير دين الاسلام


Malik related to me that he had heard that Abdullah ibn Umar was asked whether a slave could be bought on the specific condition that it was to be used to fulfil the obligation of freeing a slave, and he said, "No."

Malik said, "That is the best of what I have heard on the obligation of freeing slaves. Someone who has to set a slave free because of an obligation on him, may not buy one on the condition that he sets it free because if he does that, whatever he buys is not completely a slave because he has reduced its price by the condition he has made of setting it free."

Malik added, "There is no harm, however, in someone buying a person expressly to set him free."

Malik said, "The best of what I have heard on the obligation of freeing slaves is that it is not permitted to free a christian or a jew to fulfil it, and one does not free a mukatab or a mudabbar or an umm walad or a slave to be freed after a certain number of years, or a blind person. There is no harm in freeing a christian, jew, or magian voluntarily, because Allah, the Blessed, the Exalted, said in His Book, 'either as a favour then or by ransom,' (Sura 47 ayat 4) The favour is setting free."

Malik said, "As for obligations of freeing slaves which Allah has mentioned in the Book, one only frees a mumin slave for them."

Malik said, "It is like that in feeding poor people for kaffara. One must only feed muslims and one does not feed anyone outside of the deen of Islam."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১০

পরিচ্ছেদঃ ৮. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হইতে জীবিত প্যক্তির দাসদাসী আযাদ করা

রেওয়ায়ত ১৩. আবদুর রহমান ইবন আবি আমরা আনসারী (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তাহার মাতা কিছু ওসীয়াত করার ইচ্ছা করিয়াছিলেন, পরে ভোর হওয়া পর্যন্ত উহাতে বিলম্ব করিলেন, অতঃপর ওসীয়াত করার পূর্বেই তাহার মৃত্যু হয়, তিনি (গোলাম বা বাঁদী) আযাদ করার সংকল্প করিয়াছিলেন। আবদুর রহমান বলেনঃ আমি কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ)-কে বলিলাম, তাহার পক্ষ হইতে আমি আযাদ করিলে ইহা তাহার উপকার করিবে কি? কাসিম বলিলেনঃ সা’দ ইবন উবাদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট আরয করিলেন, আমার মাতার মৃত্যু হইয়াছে, আমি তাহার পক্ষ হইতে গোলাম আযাদ করিলে ইহা তাহার উপকার করিবে কি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হ্যাঁ।

باب عِتْقِ الْحَيِّ عَنْ الْمَيِّتِ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ أُمَّهُ أَرَادَتْ أَنْ تُوصِيَ ثُمَّ أَخَّرَتْ ذَلِكَ إِلَى أَنْ تُصْبِحَ فَهَلَكَتْ وَقَدْ كَانَتْ هَمَّتْ بِأَنْ تُعْتِقَ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقُلْتُ لِلْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ أَيَنْفَعُهَا أَنْ أُعْتِقَ عَنْهَا فَقَالَ الْقَاسِمُ إِنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أُمِّي هَلَكَتْ فَهَلْ يَنْفَعُهَا أَنْ أُعْتِقَ عَنْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ






حدثني مالك عن عبد الرحمن بن ابي عمرة الانصاري ان امه ارادت ان توصي ثم اخرت ذلك الى ان تصبح فهلكت وقد كانت همت بان تعتق فقال عبد الرحمن فقلت للقاسم بن محمد اينفعها ان اعتق عنها فقال القاسم ان سعد بن عبادة قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم ان امي هلكت فهل ينفعها ان اعتق عنها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم نعم


Malik related to me from Abd ar-Rahman ibn Abi Amra al-Ansari that his mother had wanted to make a bequest, but she delayed until morning and died. She had intended to set someone free, so Abd ar- Rahman said, 'I said to al-Qasim ibn Muhammad, 'Will it help her if I free a slave for her?' Al-Qasim replied, 'Sad ibn Ubada said to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, 'My mother died, will it help her if I set a slave free for her?' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said "Yes."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১১

পরিচ্ছেদঃ ৮. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হইতে জীবিত প্যক্তির দাসদাসী আযাদ করা

রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আবদুর রহমান ইবন আবী বকর (রহঃ)-এর আকস্মিক ওফাত হয় তাহার নিদ্রাতে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পত্নী আয়েশা (রাঃ) তাহার পক্ষ হইতে অনেকগুলো দাস-দাসী আযাদ করেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহা আমার নিকট উত্তম।

باب عِتْقِ الْحَيِّ عَنْ الْمَيِّتِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ قَالَ تُوُفِّيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ فِي نَوْمٍ نَامَهُ فَأَعْتَقَتْ عَنْهُ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِقَابًا كَثِيرَةً قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ

وحدثني مالك عن يحيى بن سعيد انه قال توفي عبد الرحمن بن ابي بكر في نوم نامه فاعتقت عنه عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم رقابا كثيرة قال مالك وهذا احب ما سمعت الي في ذلك


Malik related to me that Yahya ibn Said said, ''Abd ar-Rahman ibn Abi Bakr died in his sleep, and A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, set free many slaves for him." Malik said, "This is what I like best of what I have heard on the subject."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১২

পরিচ্ছেদঃ ৯. দাস-দাসী আযাদ করার ফযীলত এবং নিষিদ্ধ যৌন সঙ্গমকারিণী ও অবৈধ সন্তানকে আষাদ করা প্রসঙ্গে

রেওয়ায়ত ১৫. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট প্রশ্ন কর হইল, যেসব ব্যাপারে দাস-দাসী আযাদ করা ওয়াজিব উহাতে কোন প্রকার দাস-দাসী (আযাদ করা) উত্তম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, যাহার মূল্য বেশি এবং যাহারা কর্তাদের (এবং তাহাদের পরিজনের) নিকট মনোরম ও আদরণীয়।

باب فَضْلِ عِتْقِ الرِّقَابِ وَعِتْقِ الزَّانِيَةِ وَابْنِ الزِّنَا

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ الرِّقَابِ أَيُّهَا أَفْضَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَغْلَاهَا ثَمَنًا وَأَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا

حدثني مالك عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم سىل عن الرقاب ايها افضل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اغلاها ثمنا وانفسها عند اهلها


Malik related to me from Hisham ibn Urwa from his father from A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was asked what was the most excellent kind of slave to free. The Messenger of Allah, May Allah bless him and grant him peace, answered, "The most expensive and the most valuable to his master."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১৩

পরিচ্ছেদঃ ৯. দাস-দাসী আযাদ করার ফযীলত এবং নিষিদ্ধ যৌন সঙ্গমকারিণী ও অবৈধ সন্তানকে আষাদ করা প্রসঙ্গে

রেওয়ায়ত ১৬. নাফি (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি অবৈধ সন্তান ও তাহার মাতাকে আযাদ করিয়াছেন।

باب فَضْلِ عِتْقِ الرِّقَابِ وَعِتْقِ الزَّانِيَةِ وَابْنِ الزِّنَا

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ أَعْتَقَ وَلَدَ زِنًا وَأُمَّهُ

وحدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر انه اعتق ولد زنا وامه


Malik related to me from Nafi that Abdullah ibn Umar freed an illegitimate child and its mother.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে

রেওয়ায়ত ১৭. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, বরীরা (রাঃ) (তাহার নিকট) আসিয়া বলিলেন, আমি আমার কর্তাদের সহিত প্রতি বৎসর এক উকীয়া (এক উকীয়াতে চল্লিশ দিরহাম হয়- আওজাস) হিসাবে (সর্বমোট) নয় উকীয়ার বিনিময়ে মুকাতাবত (আযাদী লাভের কথা ঠিক) করিয়াছি। আপনি আমাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করুন। আয়েশা (রাঃ) বলিলেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করেন যে, আমি উহার ব্যবস্থা করি তবে উহা (আদায়) করিব আর তোমার অভিতাবকত্ব আমার জন্য হইবে। বরীরা তাহার কর্তাদের নিকট গেলেন এবং এই বিষয়ে তাহাদিগকে অবহিত করিলেন। তাহারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলেন। বারীরা তাহার কর্তাদের নিকট হইতে যখন (ফিরিয়া) আসিলেন তখন (আয়েশার গৃহে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন। বরীরা আয়েশা (রাঃ)-কে বলিলেনঃ আমি তাহাদের নিকট সেই কথা পেশ করিয়াছিলাম। তাহারা ইহা অস্বীকার করিয়াছে। কিন্তু যদি অভিভাবত্ব তাহাদের জন্য হয় (তবে তাহারা রাজী)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা শুনিলেন। অতঃপর তাহাকে (আয়েশাকে) জিজ্ঞাসা করিলেন। আয়েশা ব্যাপারটি তাহাকে জানাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইহা শুনিয়া) বলিলেন, তুমি বরীরাকে (মূল্য পরিশোধ করিয়া) গ্রহণ কর এবং তাহাদের জন্য (অভিভাবকত্বের) শর্ত মানিয়া লও, (কিন্তু উহা যেহেতু অবৈধ তাই স্বত্ব তাহারা পাইবে না)। অভিভাবকত্ব হইবে যে আযাদ করিবে তাহার। তারপর আয়েশা (রাঃ) উহা করিলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকের (সাহাবীদের) মধ্যে কিছু বলার জন্য দাঁড়াইলেন। অতঃপর আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করিলেন, তারপর বলিলেনঃ কিছু লোকের অবস্থা কি? তাহারা এমন সব শর্ত আরোপ করে যাহা আল্লাহর কিতাবে নাই, আর যেই সকল শর্ত আল্লাহর কিতাবে নাই, উহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। যদিও শর্তাশর্তও হইয়া থাকে। আল্লাহর হুকুমই গ্রহণযোগ্য, আল্লাহর শর্ত অতি দৃঢ়। (জানিয়া রাখুন) অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে।

باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ

حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ بَرِيرَةُ فَقَالَتْ إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ فَأَعِينِينِي فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ عَنْكِ عَدَدْتُهَا وَيَكُونَ لِي وَلَاؤُكِ فَعَلْتُ فَذَهَبَتْ بَرِيرَةُ إِلَى أَهْلِهَا فَقَالَتْ لَهُمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيْهَا فَجَاءَتْ مِنْ عِنْدِ أَهْلِهَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فَقَالَتْ لِعَائِشَةَ إِنِّي قَدْ عَرَضْتُ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَأَبَوْا عَلَيَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ فَسَمِعَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي لَهُمْ الْوَلَاءَ فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ فَفَعَلَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَمَا بَالُ رِجَالٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا كَانَ مِنْ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَهُوَ بَاطِلٌ وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ قَضَاءُ اللَّهِ أَحَقُّ وَشَرْطُ اللَّهِ أَوْثَقُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ

حدثني مالك عن هشام بن عروة عن ابيه عن عاىشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم انها قالت جاءت بريرة فقالت اني كاتبت اهلي على تسع اواق في كل عام اوقية فاعينيني فقالت عاىشة ان احب اهلك ان اعدها لهم عنك عددتها ويكون لي ولاوك فعلت فذهبت بريرة الى اهلها فقالت لهم ذلك فابوا عليها فجاءت من عند اهلها ورسول الله صلى الله عليه وسلم جالس فقالت لعاىشة اني قد عرضت عليهم ذلك فابوا علي الا ان يكون الولاء لهم فسمع ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فسالها فاخبرته عاىشة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خذيها واشترطي لهم الولاء فانما الولاء لمن اعتق ففعلت عاىشة ثم قام رسول الله صلى الله عليه وسلم في الناس فحمد الله واثنى عليه ثم قال اما بعد فما بال رجال يشترطون شروطا ليست في كتاب الله ما كان من شرط ليس في كتاب الله فهو باطل وان كان ماىة شرط قضاء الله احق وشرط الله اوثق وانما الولاء لمن اعتق


Malik related to me from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "Barira came to me and said, 'I have written myself as mukatab for my people for nine uqiyas, one uqiya per year, so help me.' A'isha said, 'If your people agree that I pay it all to them for you, and that if I pay it, your wala' is mine, then I will do it.' Barira went to her masters and told them that and they didn't agree. She came back from her masters while the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was sitting. She said to A'isha, 'I offered that to them and they refused me unless they had the wala'.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, heard that and asked her about it A'isha told him and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Take her and stipulate that the wala' is yours, for the wala' is for the one who sets free.' So A'isha did that and then the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, stood up in front of the people, and praised Allah and gave thanks to Him. Then he said, 'What is wrong with the people who make conditions which are not in the Book of Allah? Any condition which is not in the Book of Allah is invalid even if it is a hundred conditions. The decree of Allah is truer and the conditions of Allah are firmer, and the wala' only belongs to the one who sets free.' "


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১৫

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে

রেওয়ায়ত ১৮. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা উম্মুল মু’মিনীন (রাঃ) জনৈকা ক্রীতদাসীকে খরিদ করিয়া আযাদ করার ইচ্ছা করিলেন। ক্রীতদাসীর কর্তারা বলিল আমরা উহাকে আপনার নিকট এই শর্তে বিক্রয় করিতে পারি যে, উহার অভিভাবকত্ব আমাদের জন্য থাকিবে। আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট ইহা উল্লেখ করিলেন। তিনি বলিলেন এই শর্তারোপ যেন তোমাকে (উহাকে ক্রয় করিয়া আযাদ করিতে) বারণ না করে। অভিভাবকত্ব উহারই হইবে, যে আযাদ করিবে।

باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ جَارِيَةً تُعْتِقُهَا فَقَالَ أَهْلُهَا نَبِيعُكِهَا عَلَى أَنَّ وَلَاءَهَا لَنَا فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَا يَمْنَعَنَّكِ ذَلِكَ فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ


وحدثني مالك عن نافع عن عبد الله بن عمر ان عاىشة ام المومنين ارادت ان تشتري جارية تعتقها فقال اهلها نبيعكها على ان ولاءها لنا فذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لا يمنعنك ذلك فانما الولاء لمن اعتق


Malik related to me from Nafi from Abdullah ibn Umar that A'isha umm al-muminin wanted to buy a slave-girl and set her free. Her people said, "We will sell her to you provided that her wala' is ours." She mentioned that to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and he said, "Don't let that hinder you, for the wala' only belongs to the one who sets free."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে

রেওয়ায়ত ১৯. আমরা বিনত আবদির রহমান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, বরীরা আসিলেন উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট সাহায্য চাহিতে। আয়েশা (রাঃ) বলিলেন যদি তোমার কর্তারা পছন্দ করে যে আমি তাহাদিগকে একবারে মূল্য পরিশোধ করিব এবং তোমাকে আযাদ করিয়া দিব তবে আমি উহা করিব। বরীরা কর্তাদের নিকট ইহা পেশ করিলেন। তাহারা বলিল, আমরা ইহাতে রাজী নহি, তবে যদি তোমার অভিভাবকত্ব আমাদের জন্য থাকে।

মালিক (রহঃ) বলেন, ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বলিয়াছেন, আমরা ধারণা করেন যে, আয়েশা (রাঃ) ইহা উল্লেখ করিয়াছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের নিকট। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি বরীরাকে খরিদ কর এবং তাহাকে আযাদ করিয়া দাও, অভিভাবকত্ব অবশ্য তাহারই জন্য থাকিবে যে আযাদ করিবে।

باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكِ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكِ فَعَلْتُ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لِأَهْلِهَا فَقَالُوا لَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ لَنَا وَلَاؤُكِ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَرِيهَا وَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ

وحدثني مالك عن يحيى بن سعيد عن عمرة بنت عبد الرحمن ان بريرة جاءت تستعين عاىشة ام المومنين فقالت عاىشة ان احب اهلك ان اصب لهم ثمنك صبة واحدة واعتقك فعلت فذكرت ذلك بريرة لاهلها فقالوا لا الا ان يكون لنا ولاوك قال يحيى بن سعيد فزعمت عمرة ان عاىشة ذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اشتريها واعتقيها فانما الولاء لمن اعتق


Malik related to me from Yahya ibn Said from Amra bint Abd ar- Rahman that Barira came asking the help of A'isha, umm al-muminin. A'isha said, "If your masters agree that I pay them your price in one lump sum and set you free I will do it." Barira mentioned that to her masters and they said, "No, not unless your wala' is ours." Yahya ibn Said added that Amra bint Abd ar-Rahman claimed that A'isha mentioned that to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace said, "Buy her and set her free. The wala' only belongs to the one who sets free."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
১৫১৭

পরিচ্ছেদঃ ১০. যে আযাদ করিবে অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকার তাহারই জন্য হইবে

রেওয়ায়ত ২০. আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিভাবকত্ব বিক্রি ও দান করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ক্রীতদাস নিজকে ক্রয় করিয়া লয় আপন কর্তা হইতে এই শর্তে যে, সে যাহাকে চায় তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদান করবে। ইহা জায়েয হইবে না। অভিভাবকত্ব তাহার জন্য হইবে, যে আযাদ করিবে। আর যদি কোন ব্যক্তি নিজের মুক্তিপ্রাপ্ত ত্রীতদাসকে যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে অভিভাবকত্ব প্রদানের অনুমতি দিয়াছে তবে ইহা বৈধ হইবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন অভিভাবকত্ব তাহারই হইবে যে আযাদ করিবে এবং তিনি স্বত্বাধিকার বিক্রয় ও দান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। যদি কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসের জন্য এইরূপ শর্ত করা বৈধ হয় অথবা সে ক্রীতদাসকে অনুমতি দেয় যে, সে যাহাকে ইচ্ছা অভিভাবকত্ব প্রদান করিবে, তবে ইহা দান করা হইল।

باب مَصِيرِ الْوَلَاءِ لِمَنْ أَعْتَقَ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ
قَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَبْتَاعُ نَفْسَهُ مِنْ سَيِّدِهِ عَلَى أَنَّهُ يُوَالِي مَنْ شَاءَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَجُوزُ وَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا أَذِنَ لِمَوْلَاهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ مَا جَازَ ذَلِكَ لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ الْوَلَاءِ وَعَنْ هِبَتِهِ فَإِذَا جَازَ لِسَيِّدِهِ أَنْ يَشْتَرِطَ ذَلِكَ لَهُ وَأَنْ يَأْذَنَ لَهُ أَنْ يُوَالِيَ مَنْ شَاءَ فَتِلْكَ الْهِبَةُ

وحدثني مالك عن عبد الله بن دينار عن عبد الله بن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن بيع الولاء وعن هبته قال مالك في العبد يبتاع نفسه من سيده على انه يوالي من شاء ان ذلك لا يجوز وانما الولاء لمن اعتق ولو ان رجلا اذن لمولاه ان يوالي من شاء ما جاز ذلك لان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الولاء لمن اعتق ونهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن بيع الولاء وعن هبته فاذا جاز لسيده ان يشترط ذلك له وان ياذن له ان يوالي من شاء فتلك الهبة


Malik related to me from Abdullah ibn Dinar from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade selling or giving away the wala'.

Malik said that it was not permissible for a slave to buy himself from his master on the provision that he could give the wala' to whomever he wished as the wala' was for the one who set him free, and that had a man given permission to his mawla to give the wala' to whomever he wished, that would not have been permitted, because the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, had said, "The wala' is for the one who sets free. " The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade selling or giving away the wala'. For if it was permitted to the master to stipulate that for him and to give him permission to give the wala' to whomever he liked, that would be a gift.


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৮. আযাদী দান এবং স্বত্বাধিকার প্রসঙ্গে (كتاب العتق والولاء) 38/ Setting Free and Wala
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »