পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা সর্বোত্তম আমল
২৪২৯. আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী একবার এক সঙ্গে বসে বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পর আলোচনা করলাম। আমরা বললাম আল্লাহ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি তা যদি জানতে পারতাম তবে তা আমরা করতাম। তখন আল্লাহ তা’য়ালা নাযিল করেন:
“আকাশমণ্ডলি ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। হে মু’মিনগন তোমরা যা করো না, তা তোমরা বলো কেন? (সূরা সাফফ ৬১: ১-৩) ... এ সুরার শেষ পর্যন্ত।আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সর্বশেষ আয়াত পর্যন্ত তা আমাদের পাঠ করে শুনান। আবু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদেরকে তা পাঠ করে শুনিয়েছেন। ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন আবু সালামা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) আমাদেরকে তা পাঠ করে শুনিয়েছেন। তিনি বলেন, ইয়াহইয়া আমাদেরকে পাঠ করে শুনিয়েছেন, আওযাঈ (রহঃ) আমাদেরকে তা পাঠ করে শুনিয়েছেন, আর মুহাম্মদ আমাদেরকে তা পাঠ করে শুনিয়েছেন।[1]
তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর ৩৩০৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৪৯৭, ৭৪৯৯; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৫৯৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৮৯ তে।
بَاب الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ قَعَدْنَا نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَذَاكَرْنَا فَقُلْنَا لَوْ نَعْلَمُ أَيَّ الْأَعْمَالِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى لَعَمِلْنَاهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ كَبُرَ مَقْتًا حَتَّى خَتَمَهَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَرَأَهَا عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى خَتَمَهَا قَالَ أَبُو سَلَمَةَ فَقَرَأَهَا عَلَيْنَا ابْنُ سَلَامٍ قَالَ يَحْيَى فَقَرَأَهَا عَلَيْنَا أَبُو سَلَمَةَ وَقَرَأَهَا عَلَيْنَا يَحْيَى وَقَرَأَهَا عَلَيْنَا الْأَوْزَاعِيُّ وَقَرَأَهَا عَلَيْنَا مُحَمَّدٌ
পরিচ্ছেদঃ ২. জিহাদের ফযীলত
২৪৩০. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “যে ব্যক্তিকে তার ঘর হতে বের হয়, যদি শুধু আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা এবং আল্লাহ্র কালিমার প্রতি ঈমানই তাকে বের করে থাকে, তবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন, অথবা যেখান থেকে সে বের হয়েছিল, তাকে সেই ঘরে তার (পূর্ণ) সাওয়াব বা গনীমত সহ ফিরিয়ে আনবেন।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ২৬; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৭৬;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬১০ ও ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১১৮,১১১৯ তে।
بَاب فَضْلِ الْجِهَادِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَكَفَّلَ اللَّهُ لِمَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ لَا يُخْرِجُهُ إِلَّا جِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَتَصْدِيقُ كَلِمَاتِهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ مَعَ مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩. কোন্ প্রকার জিহাদ সর্বোত্তম
২৪৩১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন্ জিহাদ উত্তম? তিনি বলেনঃ যে যুদ্ধে মুজাহিদের ঘোড়াকে হত্যা করা হয় এবং তার নিজেরও রক্ত প্রবাহিত হয় (নিহত হয়)।[1]
بَاب أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْجِهَادِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ عُقِرَ جَوَادُهُ وَأُهْرِيقَ دَمُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কোন্ আমল সর্বোত্তম?
২৪৩২. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হল, ’কোন্ আমলটি উত্তম?’ তিনি বললেনঃ ’আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনা।’ তিনি বলেন, আবার প্রশ্ন করা হল, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেনঃ ’এরপর আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা।’ প্রশ্ন করা হল, ’তারপর কোনটি।’ তিনি বললেনঃ ’উত্তম হজ্জ।’[1]
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ২৬; মুসলিম, ঈমান ৮৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫১, ৪৫৯৮। আরও দেখুন, মাজমাউয যাওয়াইদ হা/২০০-২১১।
بَاب أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ قَالَ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ ثُمَّ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ ثُمَّ حَجٌّ مَبْرُورٌ
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি উটের দুগ্ধদোহনের বিরতিকাল পরিমাণ সময় আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে
২৪৩৩. মুআয ইবন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি একটি উটের দু’বেলা দুধ দোহানের মধ্যবর্তী বিরতির সময়টুকুও আল্লাহ রাস্তায় যুদ্ধে ব্যয় করে, তার জন্য আন্নাত অবধারিত হয়ে যায়।”[1] সেই সময়টুকু হলো (দুইবার দুধদোহনের মধ্যবর্তী সময়) যা তাতে দোহনকারীর জন্য প্রচুর দুধ প্রবাহিত করে।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬১৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৯৬ তে। ((আবূ দাউদ, জিহাদ নং ২৫৪১; নাসাঈ, জিহাদ ৬/২৫-- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব টীকা নং ২৩৯৪।- অনুবাদক))
بَاب مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ عَنْ بَحِيرٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ مَالِكِ بْنِ يَخَامِرَ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَهُوَ قَدْرُ مَا تَدُرُّ حَلَبَهَا لِمَنْ حَلَبَهَا
পরিচ্ছেদঃ ৬. লোকদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে (জিহাদের জন্য) সর্বদা তার ঘোড়া প্রস্তুত রাখে
২৪৩৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তারা বসে ছিলেন এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট বেরিয়ে এলেন। তখন তিনি বললেন: “আমি কি তোমাদেরকে সর্বোচ্চ মর্যাদাশীল ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করাব না?” আমরা বললাম, কেন নয়? (নিশ্চয়ই) ইয়া রাসূলুল্লাহ্! তিনি বললেন: “সে ঐ ব্যক্তি, যে মহান মহিয়ান আল্লাহর রাস্তায় তাঁর ঘোড়ার মাথা ধরে প্রস্তুত থাকে।” অথবা তিনি বলেন, বের হয়ে যায় এবং মৃত্যুবরণ করে বা শহীদ হয়ে যায়। তার পরবর্তী পর্যায়ের লোকের সংবাদও তোমাদেরকে দেব কি ? আমরা বললাম, হ্যাঁ; ইয়া রাসূলুল্লাহ্! তিনি বললেন, সে হল ঐ ব্যক্তি যে নির্জনে কোন গুহায় থাকে, সেখানে সে সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং লোকদের অনিষ্ট থেকে দূরে সরে থাকে।” এরপর তিনি বললেন, “তোমাদেরকে কি নিকৃষ্ট লোক সম্পর্কে অবহিত করব?” আমরা বললাম, হ্যাঁ; ইয়া রাসূলুল্লাহ্! (অবহিত করুন)। তিনি বললেন, “সে হল ঐ ব্যক্তি যার কাছে কেউ আল্লাহ তা’আলার নামে (সাহায্য) চায় কিন্তু সে তাকে দান করে না।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬০৪, ৬০৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৯৩, ১৫৯৪ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসূর নং ২৪৩৪। ((মালিক, মুয়াত্তা, জিহাদ ১, মুরসাল হিসেবে; তিরমিযী, ফাযাইলুল্ জিহাদ ১৬৫২; নাসাঈ, যাকাত ৫/৮৩-- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব টীকা নং ২৩৯৫।- অনুবাদক))
بَاب أَفْضَلُ النَّاسِ رَجُلٌ مُمْسِكٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ
أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ جُلُوسٌ فَقَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلَةً قُلْنَا بَلَى قَالَ رَجُلٌ مُمْسِكٌ بِرَأْسِ فَرَسِهِ أَوْ قَالَ فَرَسٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَمُوتَ أَوْ يُقْتَلَ قَالَ فَأُخْبِرُكُمْ بِالَّذِي يَلِيهِ فَقُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ امْرُؤٌ مُعْتَزِلٌ فِي شِعْبٍ يُقِيمُ الصَّلَاةَ وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ وَيَعْتَزِلُ شُرُورَ النَّاسِ قَالَ فَأُخْبِرُكُمْ بِشَرِّ النَّاسِ مَنْزِلَةً فَقُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ الَّذِي يُسْأَلُ بِاللَّهِ وَلَا يُعْطِي بِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদে) অবস্থান করার মর্যাদা
২৪৩৫. ইমরান ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের সারিতে কোনো ব্যক্তির সামান্য সময় অবস্থান করা (ঘরে বসে) সত্তর বছর ইবাদত করার চাইতেও উত্তম।”[1]
তাখরীজ: বাযযার নং ১৬৬৬, ১৬৬৭; তাবারাণী, কাবীর নং ১৮/১৬৮ নং ৩৭৭, ৩৯৫, ৪১৭; আওসাত ২/২৫২; মাজমাউল বাহরাইন নং ২৭১৩; হাকিম, ২/৬৮; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৬১; উকাইলী, আয যু’আফা ১/৮৬।
তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ হতে আহমাদ ২৫২৪; তিরমিযী, ফাযাইলুল জিহাদ ১৬৫০; হাকিম, ২/৬৮; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৬০ হাসান সনদে; অপর শাহিদ রয়েছে আবী উমামাহ হতে আহমাদ ৫/২৬৬ তে যয়ীফ সনদে।
অপর শাহিদ রয়েছে উছমান ইবনু আফ্ফান হতে ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১০৬০ তে।
بَاب فِي فَضْلِ مَقَامِ الرَّجُلِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَقَامُ الرَّجُلِ فِي الصَّفِّ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ الرَّجُلِ سِتِّينَ سَنَةً
পরিচ্ছেদঃ ৮. আল্লাহর রাস্তায় ধুলিমলিন হওয়ার ফযীলত
২৪৩৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধুলি-ধুসরিত হলো আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২০৭৫; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬০৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৮৮ তে। এছাড়াও, আহমাদ ৫/২২৫; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ তরজমাহ ১০০৩ সহীহ সনদে; দেখুন, আসদুল গাবাহ ৫/৩১-৩৩; আল ইসাবাহ ৯/৫৪-৫৫। ((তিরমিযী, ফাযাইলুল জিহাদ ১৬৩২; নাসাঈ, জিহাদ ৬/১৪-- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব টীকা নং ২৩৯৭।- অনুবাদক))
بَاب فِي فَضْلِ الْغُبَارِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ كَثِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شُرَيْحٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ أَنَّ مَالِكَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ مَرَّ عَلَى حَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ أَوْ حَبِيبٌ مَرَّ عَلَى مَالِكٍ وَهُوَ يَقُودُ فَرَسًا يَمْشِي فَقَالَ ارْكَبْ حَمَلَكَ اللَّهُ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اغْبَرَّتْ قَدَمَاهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মহামহিম আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল বা এক বিকাল (অবস্থান করা)-এর ফযীলত
২৪৩৭. সাহল ইবনু সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর রাস্তায় এক সকাল কিংবা এক বিকাল অবশ্যই দুনিয়া ও এর মধ্যেকার সব কিছু থেকে উত্তম।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৭৯৪; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৮১;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৫১৪, ৭৫৩১, ৭৫৩৪ তে।
بَاب الْغَدْوَةِ وَالرَّوْحَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَغَدْوَةٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ رَوْحَةٌ خَيْرٌ مِنْ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সিয়াম পালন করে
২৪৩৮. আবূ সাঈদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম পালন করবে, আল্লাহ তা’আলা তার থেকে জাহান্নাম-কে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে দিবেন।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৮৪০; মুসলিম, সিয়াম ১১৫৩;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২৫৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪১৭ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪২৩।
بَاب مَنْ صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُومُ يَوْمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ إِلَّا بَاعَدَ اللَّهُ بَيْنَ وَجْهِهِ وَبَيْنَ النَّارِ سَبْعِينَ خَرِيفًا
পরিচ্ছেদঃ ১১. আল্লাহর পথে পাহারা দানে বিনিদ্র রজনী যাপন করা সম্পর্কে
২৪৩৯. আবী রাইহানাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোনো এক যুদ্ধে শরীক ছিলেন। তিনি এক রাতে তাঁকে বলতে শুনেছেন: “সেই চক্ষুর জন্য জাহান্নামকে হারাম করা হয়েছে যে চোখ আল্লাহর পথে পাহারা দানে বিনিদ্র রজনী যাপন করে এবং সেই চক্ষুর জন্যও জাহান্নামকে হারাম করা হয়েছে যা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে আর।” তিনি বলেন, তিনি তৃতীয় আরেকটি বিষয়ও বলেছিলেন, যা আমি ভূলে গেছি। বর্ণনাকারী আবী শুরাইহ বলেন, যে ব্যক্তি বলেছেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি এ তৃতীয় বিষয়টি (হলো): “সেই চক্ষুর জন্য জাহান্নামকে হারাম করা হয়েছে যে চোখ আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়াবলী থেকে ফিরে থাকে অথবা, সেই চক্ষুর জন্যও জাহান্নামকে হারাম করা হয়েছে যা আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদে) উপড়ে ফেলা হয়।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৩৪; ইবনু আবী শাইবা ৫/৩৫০; নাসাঈ, কুবরা ৪৩২৫; হাকিম, ২/৮৩; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৪৯; বুখারী, কাবীর নং ৪/২৬৪; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ২/২৮; হাকিম এর সনদকে সহীহ বলেছেন, যাহাবী তা বজায় রেখেছেন।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে হাকিম ইবনু মু’আবিয়া যার তাখরীজ দিয়েছি মাউসিলী, মু’জামুশ শুয়ূখ নং ২১৫। এর অপর একটি শাহিদ রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৩৪৬ তে।
بَاب فِي الَّذِي يَسْهَرُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَارِسًا
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ كَثِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شُرَيْحٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الصَّبَّاحِ مُحَمَّدِ بْنِ سُمَيْرٍ عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الْهَمْدَانِيِّ عَنْ أَبِي رَيْحَانَةَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ فَسَمِعَهُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَهُوَ يَقُولُ حُرِّمَتْ النَّارُ عَلَى عَيْنٍ سَهِرَتْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَحُرِّمَتْ النَّارُ عَلَى عَيْنٍ دَمَعَتْ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ قَالَ وَقَالَ الثَّالِثَةَ فَنَسِيتُهَا قَالَ أَبُو شُرَيْحٍ سَمِعْتُ مَنْ يَقُولُ ذَاكَ حُرِّمَتْ النَّارُ عَلَى عَيْنٍ غَضَّتْ عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ أَوْ عَيْنٍ فُقِئَتْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
পরিচ্ছেদঃ ১১. আল্লাহর পথে পাহারা দানে বিনিদ্র রজনী যাপন করা সম্পর্কে
২৪৪০. উকবা ইবনে আমের আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা’আলা নিরাপত্তামূলক পাহারাদানকারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।”[1] আব্দুল্লাহ আদ দারিমী বলেন, বর্ণনাকারী উমার ইবনু আব্দুল আযীয উক্ববাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাক্ষাত লাভ করেননি।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৫০ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪১৬; বাইহাকী, সিয়ার ৯/১৪৯, ১৫০ মুরসাল যয়ীফ; আরও দেখুন, মিসবাহুয যুজাজাহ ২/৩৯৪।
بَاب فِي الَّذِي يَسْهَرُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَارِسًا
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا ابْنُ الدَّرَاوَرْدِيِّ عَنْ صَالِحِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ زَائِدَةَ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رَحِمَ اللَّهُ حَارِسَ الْحَرَسِ قَالَ عَبْد اللَّهِ وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ لَمْ يَلْقَ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ
পরিচ্ছেদঃ ১২. আল্লাহর রাস্তায় ব্যয়ের ফযীলত
২৪৪১. আবু মাসউদ আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাকে রশি যুক্ত একটি উটনী নিয়ে এসে বলল, এটি আল্লাহর রাস্তায় (দান করলাম)। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “কিয়ামতের দিন এর বিনিময়ে তোমার জন্য থাকবে নাকে রশিযুক্ত সাতশ’টি উটনী।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, ইমারাহ ১৮৯২; তাবারাণী, কাবীর ১৭/২২৯ নং ৬৩৩, ৬৩৪, ৬৩৫, ৬৩৬; হাকিম, ২/৯০; ইবনু আবী শাইবা ২/৩৪৮; আহমাদ ৪/১২১, ৫/২৭৪; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৮/১১৬।
بَاب فِي فَضْلِ النَّفَقَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ بِنَاقَةٍ مَخْطُومَةٍ فَقَالَ هَذِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ سَبْعُ مِائَةِ نَاقَةٍ كُلُّهَا مَخْطُومَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. যে ব্যক্তি তার সম্পদ হতে মহামহিম আল্লাহর রাস্তায় জোড়া জোড়া দান করে
২৪৪২. ছা’ছা’আ ইবনু মুয়াবিয়া (রহঃ) বলেন, আবু যর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হলো, তখন তিনি উট চরাচ্ছিলেন অথবা, তা চালিয়ে নিচ্ছিলেন, তাঁর কাঁধে ছিল পানির একটি মশক। আমি বললাম : ইয়া আবূ যার! আপনার কী হয়েছে? তিনি বললেন: ’আমার জন্য আমার কাজ।’ আবার আমি বললাম: আপনার কী হয়েছে? তিনিও বললেন: ’আমার জন্য আমার কাজ।’ আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করুন, যা আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট শুনেছেন। তখন তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “যে মুসলিম বান্দা আল্লাহর রাস্তায় তার মাল-সম্পদ হতে জোড়া-জোড়া দান করবে, জান্নাতের দ্বাররক্ষী তাকে নিয়ে দ্রুত (এগিয়ে) যাবে।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, তা হলো দু’ দু’টি করে দিরহাম, অথবা, দু’ দু’টি দাসী অথবা, দু’ দু’টি দাস অথবা, দু’ দু’টি করে পশু।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৯৪০, ৪৬৪৩ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৫/৩৪৮-৩৪৯; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৭/১৮৬; হাকিম, ২/৮৬।
بَاب مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ مَالٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا هِشَامٌ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ صَعْصَعَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ قَالَ لَقِيتُ أَبَا ذَرٍّ وَهُوَ يَسُوقُ جَمَلًا أَوْ يَقُودُهُ فِي عُنُقِهِ قِرْبَةٌ فَقُلْتُ يَا أَبَا ذَرٍّ مَا مَالُكَ قَالَ لِي عَمَلِي فَقُلْتُ مَا مَالُكَ قَالَ لِي عَمَلِي قُلْتُ حَدِّثْنِي حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ مُسْلِمٍ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ مَالٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا ابْتَدَرَتْهُ حَجَبَةُ الْجَنَّةِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هُوَ دِرْهَمَيْنِ أَوْ أَمَتَيْنِ أَوْ عَبْدَيْنِ أَوْ دَابَّتَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তীর নিক্ষেপের ফযীলত ও এর নির্দেশ
২৪৪৩. উকবা ইবন আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেন: (“তাদের বিরুদ্ধে তোমরা সাধ্যমত শক্তি সঞ্চয় কর।”: সুরা আনফাল: ৬০)এরপরে তিনি তিনবার বললেন: “জেনে রাখ, নিশ্চয়ই ’শক্তি’ হলো ’তীর নিক্ষেপ’।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, ইমারাহ ১৯১৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৭৪৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭০৯ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪৪৯; তায়ালিসী ১/২৪১ নং ১১৮২ অন্ধকারাচ্ছন্ন সনদে।
بَاب فِي فَضْلِ الرَّمْيِ وَالْأَمْرِ بِهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّهُ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ أَلَا إِنَّ الْقُوَّةَ الرَّمْيُ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. তীর নিক্ষেপের ফযীলত ও এর নির্দেশ
২৪৪৪. উকবা ইবনে ’আমের আল-জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ একটি তীরের উপলক্ষে তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেনঃ (১) তীর নির্মাতা যে তা নির্মাণকালে কল্যাণের আশা করে, (২) (জিহাদে) যে এতে (নিক্ষেপে) সাহায্য করে এবং (৩) এই তীর নিক্ষেপকারী।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেনঃ “তোমরা তীরন্দাজী করো এবং ঘোড়দৌড় শিক্ষা করো। তবে তোমাদের ঘোড়দৌড় শেখার তুলনায় তীরন্দাজী শিক্ষা করা আমার কাছে অধিক প্রিয়।”
তিনি আরও বলেন: “কোনো মুসলিম ব্যক্তির সকল ক্রীড়া-কৌতুকই বৃথা। তবে তার ধনুক দ্বারা তীর নিক্ষেপ, তার ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দান এবং তার স্ত্রীর সাথে তার ক্রীড়া-কৌতুক বৃথা নয়। কারণ এগুলো উপকারী ও বিধিসম্মত।তিনি আরও বলেন: “যে ব্যক্তি তীরন্দাজী শিক্ষা করার পর তা ত্যাগ করলো, তাকে যে তাকে শিক্ষা দিয়েছে, তার (শিক্ষার) সাথে সে নাফরমানী করলো।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/১৪৪, ১৪৬, ১৪৮; ইবনু আবী শাইবা ৫/৩২০,৩৪৯, ৯/২৩ নং ৬৩৭৫; ইবনু মাজাহ, জিহাদ ২৮১১; ; তায়ালিসী ১/২৪১, ২৪২ নং ১১৭৯; বাইহাকী, সাবাক্বা ওয়ার রমিয়াহ ১০/১৩; তিরমিযী, ফাযাইলুল জিহাদ ১৬৩৭; তাবারাণী, কাবীর ১৭/২৪১ নং ৯৪১; আবূ দাউদ, জিহাদ ২৫১৩; নাসাঈ, জিহাদ ৬/২৮; সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৪৫০; ফাসাওয়ী, আল মা’রিফাতুত তারীখ ২/৫০১, ৫০২; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/৩৬৮; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ১০৬২; খতীব, মাওযিহ ১/১১৪; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ৮/৭৫, ৭৬ বিচ্ছিন্ন সনদে; আব্দুর রাযযাক, জামি’ মা’মার নং ২১০১০ জাইয়্যেদ সনদে; এর শেষাংশ বর্ণনা করেছেন মুসলিম , ইমরাহ ১৯১৯।
আর এর প্রথম অংশের শাহিদ আবী হুরাইরা হতে রয়েছে হাকিম ২/৯৫ খতীব ৩/১২৮, ৬/৩৬৭ এ সনদ দু’টিই যয়ীফ।
আর এর দ্বিতীয় অংশের শাহিদ জাবির হতে রয়েছে নাসাঈ, কুবরা ৮৯৩৮, ৮৯৩৯, ৮৯৪০; দ্বিতীয় অংশের সনদ সহীহ।
بَاب فِي فَضْلِ الرَّمْيِ وَالْأَمْرِ بِهِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الْأَزْرَقِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُدْخِلُ الثَّلَاثَةَ بِالسَّهْمِ الْوَاحِدِ الْجَنَّةَ صَانِعَهُ يَحْتَسِبُ فِي صَنْعَتِهِ الْخَيْرَ وَالْمُمِدَّ بِهِ وَالرَّامِيَ بِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ارْمُوا وَارْكَبُوا وَلَأَنْ تَرْمُوا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ تَرْكَبُوا وَقَالَ كُلُّ شَيْءٍ يَلْهُو بِهِ الرَّجُلُ بَاطِلٌ إِلَّا رَمْيَ الرَّجُلِ بِقَوْسِهِ وَتَأْدِيبَهُ فَرَسَهُ وَمُلَاعَبَتَهُ أَهْلَهُ فَإِنَّهُنَّ مِنْ الْحَقِّ وَقَالَ مَنْ تَرَكَ الرَّمْيَ بَعْدَمَا عُلِّمَهُ فَقَدْ كَفَرَ الَّذِي عُلِّمَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১৫. যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় কোনো আঘাত পেল
২৪৪৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহর পথে আহত ব্যক্তিকে মহামহিম আল্লাহ কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠাবেন যে, তার ক্ষতস্থান হতে রক্ত ঝরতে থাকবে, তার ঘ্রাণ হবে কস্তুরীর মত সুগন্ধে ভরপুর, আর তার রং হবে রক্তিম বর্ণ।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ওযু ২৩৭; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৭৬;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬২৬৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৫২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১২৩ তে। এছাড়াও, সাঈদ ইবনু মানসুর নং ২৫৭১।
بَاب فِي فَضْلِ مَنْ جُرِحَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ جُرْحًا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي عَمِّي مُوسَى بْنُ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ مَجْرُوحٍ يُجْرَحُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا بَعَثَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَجُرْحُهُ يَدْمَى الرِّيحُ رِيحُ الْمِسْكِ وَاللَّوْنُ لَوْنُ الدَّمِ
পরিচ্ছেদঃ ১৬. যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করে
২৪৪৬. সাহল ইবন হুনায়ফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে শাহাদাত প্রার্থনা করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে শহীদদের মর্যাদায় পৌছে দিবেন, যদি সে তার বিছানায়ও মারা যায়।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, ইমারাহ ১৯০৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬/১০৭ আনাসের হাদীসের শাহিদ হিসেবে; এবং সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩১৯২ তে।
بَاب فِيمَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ
أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ كَثِيرٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شُرَيْحٍ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ سَهْلَ بْنَ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ سَأَلَ اللَّهَ الشَّهَادَةَ صَادِقًا مِنْ قَلْبِهِ بَلَّغَهُ اللَّهُ مَنَازِلَ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ مَاتَ عَلَى فِرَاشِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. শহীদের মর্যাদা সম্পর্কে
২৪৪৭. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কাউকে একবার চিমটি কাটায় যতটুকু ব্যাথা পাও, শহীদ তার কতলের সময় ততটুকুই কষ্ট পায়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৫৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬১৩ তে। ((তিরমিযী, ফাযাইলুল জিহাদ ১৬৬৮; নাসাঈ, জিহাদ ৬/৩৬- -- ফাওয়ায আহমেদের দারেমীর তাহক্বীক্ব টীকা নং ২৪০৮।- অনুবাদক))
بَاب فِي فَضْلِ الشَّهِيدِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَجِدُ الشَّهِيدُ مِنْ أَلَمِ الْقَتْلِ إِلَّا كَمَا يَجِدُ أَحَدُكُمْ مِنْ أَلَمِ الْقَرْصَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮. শহীদগণ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাংখা করবে
২৪৪৮. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর জান্নাতে প্রবেশ করবে, দুনিয়া এবং তাতে যা কিছু আছে সব কিছু তাকে দিলেও সে আর দুনিয়াতে ফিরে আসা পছন্দ করবে না। কিন্তু শহীদের কথা ভিন্ন। কেননা, সে যখন দেখবে শহীদ হওয়ার কত ফযীলত তখন (সে দুনিয়াতে ফিরে আসতে ভালবাসবে), যেন সে এভাবে আল্লাহর পথে আবার কতল হতে পারে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, জিহাদ ২৭৯৫; মুসলিম, ইমারাহ ১৮৭৭;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৭৯, ৩০১৯, ৩০২০, ৩০৫৬, ৩২২৪, ৩২৬০ তে।
بَاب مَا يَتَمَنَّى الشَّهِيدُ مِنْ الرَّجْعَةِ إِلَى الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ نَفْسٍ تَمُوتُ فَتَدْخُلُ الْجَنَّةَ فَتَوَدُّ أَنَّهَا رَجَعَتْ إِلَيْكُمْ وَلَهَا الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا إِلَّا الشَّهِيدَ فَإِنَّهُ وَدَّ أَنَّهُ قُتِلَ كَذَا مَرَّةً لِمَا رَأَى مِنْ الثَّوَابِ