পরিচ্ছেদঃ ১. পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না
১। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ ’বিগাইরি তুহুর’ এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২)
আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম। এ অনুচ্ছেদে আবুল মালীহ, আবু হুরাইরা ও আনাস (রাঃ) হতেও বর্ণিত হাদীস রয়েছে।
উসামা পুত্র আবুল মালীহ’র নাম আমির। এও বলা হয় যে, তার নাম যাইদ ইবনু উসামা ইবনু উমাইর আল-হু্যালী।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ . وَأَبُو الْمَلِيحِ بْنُ أُسَامَةَ اسْمُهُ عَامِرٌ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيُّ .
Ibn `Umar narrated that:
the Prophet said: "Salat will not be accepted without purification, nor Charity from Ghulul." Hannad said in his narration, "except with purification" [Abu `Eisa said: This Hadith is the most correct thing on this topic, and the best. There are also narrations on this topic from Abu Al-Malih, from his father; and Abu Hurairah and Anas. And Abu Al-Malih bin Usamah's name is `Amir, and they also say it was Zaid bin Usamah bin `Umair Al-Hudhali.
পরিচ্ছেদঃ ২. পবিত্রতা অর্জনের ফযীলত
২। আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মু’মিন অথবা মুসলিম বান্দা ওযু করে এবং মুখমণ্ডল ধোয়, তার মুখমণ্ডল হতে তার চোখের দ্বারা কৃত সকল গুনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে দূর হয়ে যায়। যখন সে তার দু’হাত ধোয়, তার দুহাতে কৃত সকল গুনাহ তার হাত হতে পানির সাথে অথবা পানির অবশিষ্ট বিন্দুর সাথে দূরীভূত হয়ে যায়। অতঃপর সে সকল গুনাহ হতে পবিত্র হয়ে যায়। — সহীহ। আত্তা’লীকুর রাগীব- (১/৯৫)
আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি মালিক সুহাইল হতে, তিনি তার পিতার সূত্রে এবং তিনি আবু হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবু সালিহ হচ্ছেন সুহাইলের পিতা। তার নাম যাকওয়ান। আবু হুরাইরা (রাঃ)-এর আসল নাম নিয়ে মতবিরোধ আছে। কেউ বলেছেন, তার নাম আবদুশ শামস, আবার কেউ বলেছেন তার নাম আবদুল্লাহ ইবনু আমর। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (ইমাম বুখারী) এ ধরনের কথাই বলেছেন এবং এটাই সবচাইতে সহীহ।
এ অনুচ্ছেদে উসমান, সাওবান, সুনাবিহী, আমর ইবনু আবাসা, সালমান ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীদের বর্ণিত হাদীস রয়েছে। সুনাবিহী যিনি আবু বাকর (রাঃ)-এর নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে কোন হাদীস শুনেননি। তার নাম আবদুর রাহমান ইবনু উসাইলা এবং ডাকনাম ছিল আবু আবদুল্লাহ। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে দেখা করার জন্যে বের হয়েছিলেন, কিন্তু রাস্তায় থাকাকালীন সময়েই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যান। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু হাদীস বর্ণনা করেছেন। আরেক সুনাবিহী ইবনুল আসার আল-আহমাসী নামে পরিচিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী। তার বর্ণিত হাদীস হলঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ’পূর্ববতী উন্মাতদের নিকট আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্যের গৌরব করব। অতএব আমি মারা যাবার পর তোমরা যেন একে অপরের সাথে ফিতনা-ফ্যাসাদে জড়িয়ে না পড়’।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ أَوْ نَحْوِ هَذَا وَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوبِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَأَبُو صَالِحٍ وَالِدُ سُهَيْلٍ هُوَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ وَاسْمُهُ ذَكْوَانُ . وَأَبُو هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فَقَالُوا عَبْدُ شَمْسٍ وَقَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ الأَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَثَوْبَانَ وَالصُّنَابِحِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَالصُّنَابِحِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ لَيْسَ لَهُ سَمَاعٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ رَحَلَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الطَّرِيقِ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ . وَالصُّنَابِحُ بْنُ الأَعْسَرِ الأَحْمَسِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ الصُّنَابِحِيُّ أَيْضًا وَإِنَّمَا حَدِيثُهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي " .
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "When a Muslim, or believer, performs Wudu', washing his face, every evil that he looked at with his eyes leaves with the water - or with the last drop of water, or an expression similar to that - and when he washes his hands, every evil he did with his hands leaves with the water - or with the last drop of water - until he becomes free of sin."
পরিচ্ছেদঃ ৩. পবিত্রতা নামাযের চাবি
৩। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা নামাযের চাবি; তাকবীর তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হালালকারী। —হাসান সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭৫)
আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে এ হাদীসটি সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীল অতিশয় সত্যবাদী লোক। কিন্তু কিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞ তার স্মরণশক্তির ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন।
আবূ ঈসা বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈলকে (বুখারীকে) বলতে শুনেছি, আহমাদ ইবনু হাম্বল, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম এবং হুমাইদী (রাহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীলের হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে নিয়েছেন। মুহাম্মাদ বলেন, তার হাদীস বলতে গেলে গ্রহণযোগ্যই।
আবূ ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে জাবির এবং আবু সাঈদ (রাঃ)-এর হাদীসও রয়েছে।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ هُوَ صَدُوقٌ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ كَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَالْحُمَيْدِيُّ يَحْتَجُّونَ بِحَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ .
'Ali narrated that :
the Prophet, said: "The key to Salat is the purification, its Tahrlm is the Takblr, and its Tahlil is the Taslim."
পরিচ্ছেদঃ ৩. পবিত্রতা নামাযের চাবি
৪। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামায, আর নামাযের চাবি হচ্ছে ওযু।
হাদীসটির প্রথম অংশ যঈফ। ২য় অংশ সহীহ, পূর্বের সহীহ হাদীসের অংশ হওয়ার কারণে -মিশকাত (২৯৪)।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ زَنْجَوَيْهِ الْبَغْدَادِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الْقَتَّاتِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلاَةُ وَمِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الْوُضُوءُ " .
Jabir bin 'Abdullah, may Allah be pleased with them, narrated that :
Allah's Messenger said: "The key to Paradise is Salat, and the key to Salat is Wudu'."
পরিচ্ছেদঃ ৪. মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় যা বলবে
৫। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মলত্যাগ করতে যেতেন তখন বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জঘন্য (পুরুষ ও স্ত্রী) জিনের (ক্ষতি) হতে আশ্রয় চাই।” শু’বা বলেন, তিনি কখনও "আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা"-এর স্থলে “আউযু বিল্লাহ" (আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই) বলতেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৯৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আলী, যাইদ ইবনু আরকাম, জাবির ও ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর হাদীস রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আনাসের হাদীস সর্বাধিক সহীহ এবং সর্বোত্তম। যাইদ ইবনু আরকুম (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের সনদে অমিল রয়েছে। হিশাম দাসতোয়াঈ এবং সাঈদ ইবনু আবী আরুবাহ কাতাদাহ হতে বর্ণনা করেছেন। সাঈদ বর্ণনা করেছেন কাসিম ইবনু আউফ শাইবানী হতে তিনি যাইদ ইবনু আরকাম হতে। হিশাম দাসতোয়াঈ কাতাদাহ হতে তিনি যাইদ ইবনু আরকাম হতে বর্ণনা করেছেন শু’বা এবং মা’মার বর্ণনা করেছেন কাতাদাহ হতে তিনি নাযার ইবনু আনাস হতে। শু’বা বলেন, যাইদ ইবনু আরকাম হতে। মামার বলেন, নাযার ইবনু আনাস হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে। আবু ঈসা বলেনঃ আমি ইমাম বুখারীকে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কাতাদা সম্ভবতঃ কাসিম এবং নাযার উভয়ের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ قَالَ مَرَّةً أُخْرَى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبِيثِ أَوِ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَجَابِرٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَحَدِيثُ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ فِي إِسْنَادِهِ اضْطِرَابٌ رَوَى هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ فَقَالَ سَعِيدٌ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَوْفٍ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَقَالَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَرَوَاهُ شُعْبَةُ وَمَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ فَقَالَ شُعْبَةُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَقَالَ مَعْمَرٌ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى سَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَقَالَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ قَتَادَةُ رَوَى عَنْهُمَا جَمِيعًا .
Anas bin Malik said:
"When the Prophet entered the toilet he would say: 'O Allah Indeed I seek refuge in You.'" Shu'bah (one of the narrators) said: "Another time he said: 'I seek refuge in You from AI-Khubthi and al-Khablth.' Or: 'Al-Khubthi and Al-Khaba'ith.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় যা বলবে
৬। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জঘন্য পুরুষ ও স্ত্রী জিন শাইতানের ক্ষতি হতে আশ্রয় চাই। -সহীহ। দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Anas bin Malik said:
"When the Prophet would enter the toilet 'He said: "O Allah! Indeed I seek refuge in You from Al-Khubith and Al- Khaba'ith."
পরিচ্ছেদঃ ৫. পায়খানা হতে বের হবার পর যা বলবে
৭। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানা হতে বের হতেন তখন বলতেনঃ (হে আল্লাহ) আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ- (৩০০)
আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব। আমি শুধু ইউসুফ ইবনু আবু বুরদার সূত্রে ইসরাঈলের বর্ণনার মাধ্যমেই এ হাদীস জানতে পেরেছি। আবু বুরদা ইবনু আবু মূসার নাম হল আমির ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কাইস আল-আশ’আরী। এ অনুচ্ছেদে শুধু আয়িশাহ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত এ হাদীস ব্যতীত অন্য কোন হাদীস আমরা জানি না।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلاَءِ قَالَ " غُفْرَانَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ . وَأَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيُّ . وَلاَ نَعْرِفُ فِي هَذَا الْبَابِ إِلاَّ حَدِيثَ عَائِشَةَ رضى الله عنها عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
'Aishah, [may Allah be pleased with her] said:
"When the Prophet would exit the toilet he would say: 'Ghufranak.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬. কিবলামুখী হয়ে পায়খানা বা পেশাবে বসা নিষেধ
৮। আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন মলত্যাগ করতে যাও, তখন মলত্যাগ বা পেশাবের সময় কিবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসো না, বরং পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বস। আবু আইয়ূব (রাঃ) বলেন, আমরা সিরিয়াতে এসে দেখতে পেলাম এখানকার পায়খানাগুলো কিবলার দিকে করে স্থাপিত। অতএব আমরা কিবলার দিক হতে ঘুরে যেতাম এবং আল্লাহ তা’আলার কাছে ক্ষমা চাইতাম। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩১৮), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু হারিস, মাকিল ইবনু আবুল হাইসাম, আবু উমামা, আবু হুরাইরা ও সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ)-এর হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবৃ আইয়ুবের হাদীসটি বেশি সহীহ এবং সর্বোত্তম। আবু আইয়ুবের নাম খালিদ ইবনু যাইদ এবং যুহরীর নাম মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনু উবাইদুল্লাহ ইবনু শিহাব আয-যুহরী। তার উপনাম আবু বকর , আবুল ওলীদ আল-মক্কী বলেন, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস শাফিঈ বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ “মলত্যাগ বা পেশাবের সময় কিবলাকে সামনে বা পেছনে রেখে বসবে না"- এ নিষেধাজ্ঞা খোলা ময়দানের জন্য। কিন্তু ঘরের মধ্যে মলত্যাগের সময় কিবলাকে সামনে রেখে বসার অনুমতি রয়েছে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীমও একই রকম মত দিয়েছেন। আহমাদ ইবনু হাম্বল বলেছেন, কিবলাকে পেছনে রেখে মলত্যাগ-পেশাবে বসার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতি রয়েছে, কিন্তু কিবলাকে সামনে করে বসা যাবে না। তার মতে, খোলা জায়গায় অথবা ঘেরা জায়গায় কিবলাকে সামনে রেখে বসা ঠিক নয়।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بَوْلٍ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا " . فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّأْمَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ مُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيِّ وَمَعْقِلِ بْنِ أَبِي الْهَيْثَمِ وَيُقَالُ مَعْقِلُ بْنُ أَبِي مَعْقِلٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ . وَأَبُو أَيُّوبَ اسْمُهُ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ . وَالزُّهْرِيُّ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ وَكُنْيَتُهُ أَبُو بَكْرٍ . قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ الْمَكِّيُّ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بِبَوْلٍ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا " . إِنَّمَا هَذَا فِي الْفَيَافِي وَأَمَّا فِي الْكُنُفِ الْمَبْنِيَّةِ لَهُ رُخْصَةٌ فِي أَنْ يَسْتَقْبِلَهَا . وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ إِنَّمَا الرُّخْصَةُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي اسْتِدْبَارِ الْقِبْلَةِ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَمَّا اسْتِقْبَالُ الْقِبْلَةِ فَلاَ يَسْتَقْبِلُهَا . كَأَنَّهُ لَمْ يَرَ فِي الصَّحْرَاءِ وَلاَ فِي الْكُنُفِ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ .
Abu Ayyub Al-Ansari narrated that :
Allah's Messenger said: "When one of you arrives to defecate, then let none of you face the Qiblah while defecating, nor while urinating. And do not have your back towards it, but have it east of you or west of you."
পরিচ্ছেদঃ ৭. উল্লিখিত ব্যাপারে অনুমতি সম্পর্কে
৯। জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলাকে সামনে রেখে মলত্যাগ বা পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। আমি তাঁর মৃত্যুর এক বছর আগে তাকে কিবলার দিকে মুখ করে মলত্যাগ বা পেশাব করতে দেখেছি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩২৫)।
এ অনুচ্ছেদে আবু কাতাদা, আয়িশাহ ও আম্মার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে জাবিরের হাদীসটি হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِبَوْلٍ فَرَأَيْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ بِعَامٍ يَسْتَقْبِلُهَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ وَعَائِشَةَ وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Jabir bin Abdullah said:
"The Prophet prohibited us from facing the Qiblah while urinating. Then i saw him facing it a year before he died."
পরিচ্ছেদঃ ৭. উল্লিখিত ব্যাপারে অনুমতি সম্পর্কে
১০। ইবনু লাহীআ আবূ যুবাইরের সূত্রে, তিনি জাবিরের সূত্রে এবং তিনি আবূ কাতাদার সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি (কাতাদা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিবলার দিকে ফিরে পেশাব করতে দেখেছেন।
সনদ দুর্বল
কুতাইবা আমাদের কাছে এ তথ্য পরিবেশন করেছেন। ইবনু লাহীআর হাদীসের চেয়ে জাবিয়ের হাদীস অধিকতর সহীহ। হাদীস বিশারদদের মতে, ইবনু লাহীআ দুর্বল রাবী। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান ও অন্যরা তাকে স্মরণশক্তিতে দুর্বল বলে সাব্যস্ত করেছেন।
وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَبُولُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ . وَحَدِيثُ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ . وَابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Abu Qatadah narrated that :
he saw the Prophet urinating while facing the Qiblah. Qutaibah narrated that to us, he said: "Ibn Lahi'ah informed us." Jabir's Hadlth about the Prophet is more correct than the Hadith of Ibn Lahi'ah. Ibn Lahi'ah is weak according to the scholars of Hadith. He was graded weak by Yahya bin Sa'eed Al-Qattan, and others, [due to his memorization].
পরিচ্ছেদঃ ৭. উল্লিখিত ব্যাপারে অনুমতি সম্পর্কে
১১। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি একদিন উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রাঃ)-এর ঘরের ছাদে উঠি। অতঃপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সিরিয়ার দিকে মুখ করে এবং কাবাকে পেছনে রেখে মলত্যাগ করতে দেখি। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩২২), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَقِيتُ يَوْمًا عَلَى بَيْتِ حَفْصَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى حَاجَتِهِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ مُسْتَدْبِرَ الْكَعْبَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn 'Umar said:
"One day I climbed on Hafsah's house, and I saw the Prophet relieving himself while facing Ash-Sham, with his back toward the Ka'bah."
পরিচ্ছেদঃ ৮. দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষেধ
১২। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে লোক বলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন, তার কথা তোমরা বিশ্বাস কর না। তিনি সব সময় বসেই পেশাব করতেন।
সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩০৭)
এ অনুচ্ছেদে উমার ও বুরাইদা (রাঃ)-এর হাদীস রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আইশার হাদীস অধিকতর হাসান ও সবচাইতে সহীহ। উমারের বর্ণিত হাদীস হলঃ
১২/১। উমার (রাঃ) বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে দেখেন। তিনি বলেনঃ হে উমার! দাঁড়িয়ে পেশাব কর না। (উমার বলেন,) তারপর আমি আর কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি।" যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩০৮) সিলসিলাহ আহাদীস যঈফাহ (৯৩৪)
আবূ ঈসা বলেনঃ শুধুমাত্র আব্দুল কারীম ইবনুল মুখারিক এই হাদীসটিকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি মুহাদ্দিসদের মতে যঈফ। আইয়ুব সাখতিয়ানী তাকে যঈফ বলেছেন এবং তার সমালোচনা করেছেন। অপর এক বর্ণনায় ইবনু উমার হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,-উমার (রাঃ) বলেছেন, “আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি”।
এ হাদীসটি আবদুল কারীমের বর্ণিত হাদীস হতে অধিক সহীহ। এ অনুচ্ছেদে বুরাইদার হাদীস অরক্ষিত। দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষিদ্ধ হওয়ার তাৎপর্য হল, এটা প্রচলিত নিয়ম বিরোধী, তবে হারাম নয়।
“আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ তোমার দাঁড়িয়ে পেশাব করাটা একটা যুলুম ও বেয়াদবী।"
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبُولُ قَائِمًا فَلاَ تُصَدِّقُوهُ مَا كَانَ يَبُولُ إِلاَّ قَاعِدًا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَبُرَيْدَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَنَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ . وَحَدِيثُ عُمَرَ إِنَّمَا رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ رَآنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبُولُ قَائِمًا فَقَالَ " يَا عُمَرُ لاَ تَبُلْ قَائِمًا " . فَمَا بُلْتُ قَائِمًا بَعْدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رَفَعَ هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ أَبِي الْمُخَارِقِ وَهُوَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ وَتَكَلَّمَ فِيهِ . وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ عُمَرُ رضى الله عنه مَا بُلْتُ قَائِمًا مُنْذُ أَسْلَمْتُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ فِي هَذَا غَيْرُ مَحْفُوظٍ . وَمَعْنَى النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ قَائِمًا عَلَى التَّأْدِيبِ لاَ عَلَى التَّحْرِيمِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ إِنَّ مِنَ الْجَفَاءِ أَنْ تَبُولَ وَأَنْتَ قَائِمٌ .
Aishah said:
"Whoever narrated to you that the Prophet would urinate while standing; then do not believe him. He would not urinate except while squatting." [He said:] There are narrations on this topic from Umar, Buraidah, [and Abdur-Rahman bin Hasanah].
পরিচ্ছেদঃ ৯. দাঁড়িয়ে পেশাব করার অনুমতি সম্পর্কে
১৩। হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সম্প্রদায়ের আবর্জনা রাখার স্থানে আসেন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করেন। অতঃপর আমি তার জন্য পানি আনি। আমি অপেক্ষা করার জন্য একটু দূরে সরে দাঁড়াই। তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমি এসে তার পায়ের সামনে দাঁড়ালাম। তিনি ওযু করলেন এবং মোজার উপর মসিহ করলেন। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩০৫)।
আবু ঈসা বলেনঃ আমি জারুদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ আমি ওয়াকী’কে এই হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি আমাশ হতে। অতঃপর ওয়াকী’ বলেন, এটাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মাসিহ’র ক্ষেত্রে বর্ণিত সর্বাধিক সহীহ হাদীস। আবু আম্মার হুসাইন ইবনু হুরাইসকেও অনুরূপ কথা বলতে শুনেছি। আবু ঈসা বলেনঃ হুযাইফার সূত্রে আবু ওয়ায়েল হতে মানসূর এবং উবাইদা আযবাব্বী ও আ’মাশের বর্ণনায় অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং মুগীরা ইবনু শু’বার সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে আবু ওয়াইলের বরাতে হাম্মাদ ইবনু সুলাইমান এবং আসিম ইবনু বুহদালাহ বর্ণনা করেছেন। হু্যাইফার সূত্রে আবু ওয়াইলের হাদীস অধিকতর সহীহ্। কিছু বিদ্বান ব্যক্তি দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার অনুমতি দিয়েছেন।
আবু ঈসা বলেনঃ উবাইদাহ ইবনু আমর আসসালমানী হতে ইবরাহীম নাখয়ী হাদীস বর্ণনা করেছেন। উবাইদাহ উচু স্তরের তাবেয়ীদের অন্তর্ভুক্ত। উবাইদাহ হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছি। উবাইদাহ ইবনু মুয়াত্তিব আযবাব্বী, তার উপনাম ’আব্দুল করীম।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ عَلَيْهَا قَائِمًا فَأَتَيْتُهُ بِوَضُوءٍ فَذَهَبْتُ لأَتَأَخَّرَ عَنْهُ فَدَعَانِي حَتَّى كُنْتُ عِنْدَ عَقِبَيْهِ فَتَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الأَعْمَشِ . ثُمَّ قَالَ وَكِيعٌ هَذَا أَصَحُّ حَدِيثٍ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْحِ . وَسَمِعْتُ أَبَا عَمَّارٍ الْحُسَيْنَ بْنَ حُرَيْثٍ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى مَنْصُورٌ وَعُبَيْدَةُ الضَّبِّيُّ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ مِثْلَ رِوَايَةِ الأَعْمَشِ . وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَعَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثُ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ أَصَحُّ . وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْبَوْلِ قَائِمًا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبِيدَةُ بْنُ عَمْرٍو السَّلْمَانِيُّ رَوَى عَنْهُ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ . وَعَبِيدَةُ مِنْ كِبَارِ التَّابِعِينَ يُرْوَى عَنْ عَبِيدَةَ أَنَّهُ قَالَ أَسْلَمْتُ قَبْلَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِسَنَتَيْنِ . وَعُبَيْدَةُ الضَّبِّيُّ صَاحِبُ إِبْرَاهِيمَ هُوَ عُبَيْدَةُ بْنُ مُعَتِّبٍ الضَّبِّيُّ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ الْكَرِيمِ .
Hudhaifah narrated:
"Allah's Messenger came to a waste area used by people, so he urinated on it while standing. I brought him the (water for) Wudu. Then I left to be away from him, but he called me until I was behind him. So he performed Wudu and wiped (Masaba) over his Khuff."
পরিচ্ছেদঃ ১০. মলত্যাগ বা পেশাবের সময় গোপনীয়তা (পর্দা) অবলম্বন করা
১৪। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মলত্যাগ করার প্রয়োজন মনে করতেন, তিনি মাটির কাছাকাছি না হওয়া পর্যন্ত বস্ত্র তুলতেন না। -সহীহ। সহীহ আবু দাউদ- (১১), সহীহাহ- (১০৭১)।
আবু ঈসা বলেন, অনুরূপ একটি হাদীস মুহাম্মাদ ইবনু রাবীআ-আমাশের সূত্রে আনাস (রাঃ)-এর নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। ওয়াকী’ এবং আবু ইয়াহ ইয়া আল-হিন্মানী আমাশের সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমাশ আনাসের জায়গায় ইবনু উমারের নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলত্যাগ করতে চাইলে মাটির কাছাকাছি না হওয়া পর্যন্ত পরিধানের বস্ত্র তুলতেন না।
হাদীস দুটি মুরসাল। কেননা আমাশ- আনাস অথবা অন্য কোন সাহাবীর নিকট হতে কোন হাদীসের বর্ণনা শুনেননি, অবশ্য তিনি তাকে দেখেছেন। যেমন তিনি বলেছেন, আমি তাকে নামায পড়তে দেখেছি। আমাশের নাম সুলাইমান ইবনু মিহরান, তার উপনাম আবু মুহাম্মাদ আল-কাহিলী এবং তিনি কাহিল গোত্রের মুক্ত গোলাম ছিলেন। তিনি বলেন, আমার পিতাকে ছোটবেলা মুসলিম দেশে নিয়ে আসা হয়। মাসরূক তাকে নিজের উত্তোরাধিকারী করেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى وَكِيعٌ وَأَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ . وَكِلاَ الْحَدِيثَيْنِ مُرْسَلٌ . وَيُقَالُ لَمْ يَسْمَعِ الأَعْمَشُ مِنْ أَنَسٍ وَلاَ مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نَظَرَ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ رَأَيْتُهُ يُصَلِّي . فَذَكَرَ عَنْهُ حِكَايَةً فِي الصَّلاَةِ . وَالأَعْمَشُ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مِهْرَانَ أَبُو مُحَمَّدٍ الْكَاهِلِيُّ وَهُوَ مَوْلًى لَهُمْ . قَالَ الأَعْمَشُ كَانَ أَبِي حَمِيلاً فَوَرَّثَهُ مَسْرُوقٌ .
Anas, may Allah Most High be pleased with him, said:
"When the Prophet wanted to relieve himself, he would not raise his garment until he was close to the ground."
পরিচ্ছেদঃ ১১. ডান হাতে ইস্তিনজা করা মাকরূহ
১৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কোন ব্যক্তিকে ডান হাত দিয়ে নিজের লজ্জাস্থান স্পর্শ করতে নিষেধ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩১০), বুখারী ও মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আয়িশাহ, সালমান, আবু হুরাইরা ও সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। আবু কাতাদাহ আনসারী তার নাম হারিস ইবনু রিবীয়ী। বিদ্বান বা পণ্ডিত ব্যক্তিগণ ডান হাত দিয়ে শৌচ করা মাকরূহ বলেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَمَسَّ الرَّجُلُ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ . وَفِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَسَلْمَانَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَتَادَةَ الأَنْصَارِيُّ اسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا الاِسْتِنْجَاءَ بِالْيَمِينِ .
Abdullah bin Abu Qatadah narrated from his father:
"The Prophet prohibited that a man should touch his penis with his right hand."
পরিচ্ছেদঃ ১২. পাথর বা ঢিলা দিয়ে ইস্তিনজা করা
১৬। আবদুর রাহমান ইবনু ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সালমান (রাঃ)-কে বলা হল, আপনাদের নবী প্রতিটি বিষয় আপনাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন; এমনকি পায়খানা-পেশাবের শিষ্টাচারও। সালমান (রাঃ) বলেন, হ্যাঁ, তিনি আমাদের কিবলামুখী হয়ে কাউকে তিনটি টিলার কম দিয়ে ইস্তিনজা করতে এবং শুকনা গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিনজা করতে নিষেধ করেছেন। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩১৬), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ এ অনুচ্ছেদ আয়িশাহ, খুযাইমা ইবনু সাবিত, জাবির ও সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, সালমান (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস হাসান সহীহ। বেশিরভাগ সাহাবা ও তাবিঈর মতে ইস্তিনজায় যদি চিলা দ্বারা সুন্দরভাবে পরিষ্কার হয়ে যায় তবে তাই যথেষ্ট, পানির দরকার নেই। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারক, ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের এটাই মত।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قِيلَ لِسَلْمَانَ قَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ فَقَالَ سَلْمَانُ أَجَلْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ أَوْ أَنْ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَجَابِرٍ وَخَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ سَلْمَانَ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ رَأَوْا أَنَّ الاِسْتِنْجَاءَ بِالْحِجَارَةِ يُجْزِئُ وَإِنْ لَمْ يَسْتَنْجِ بِالْمَاءِ إِذَا أَنْقَى أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Abdur-Rahman bin Yazld said, :
"They said to Salman, 'Your Prophet taught you about everything, even defecating?' So Salman said, 'Yes. He prohibited us from facing the Qiblah when defecating and urinating, performing Istinja with the right hand, using less than three stones for Istinja, and using dung or bones for Istinja"
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দুটি টিলা দিয়ে ইস্তিনজা করা
১৭। আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মলত্যাগ করতে যাওয়ার সময় (আমাকে) বললেনঃ আমার জন্য তিন টুকরা পাথর নিয়ে আস। রাবী বলেন, আমি দুটি পাথরের টুকরা এবং একটি শুকনা গোবরের টুকরা নিয়ে আসলাম। তিনি পাথরের টুকরা দু’টো রাখলেন এবং গোবরের টুকরাটা ফেলে দিলেন। তিনি বললেনঃ “এটা নোংরা জিনিস”। —সহীহ। বুখারী- (১৫৬)।
আবু ঈসা বলেন, কাইস ইবনু রাবী’ এ হাদীসটি আবু ইসহাক হতে, তিনি আবূ উবাইদা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে ইসরাঈল বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। মা’মার এবং আম্মার ইবনু যুরাইক আবূ ইসহাক হতে, তিনি আলক্বামা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যুহাইর আবু ইসহাক হতে, তিনি আবদুর রাহমান ইবনু আসওয়াদ হতে, তিনি নিজ পিতা আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। যাকারিয়া ইবনু আবু যাইদাহ আবু ইসহাকের সুত্রে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদের সূত্রে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে অমিল রয়েছে।
আমর ইবনু মুররা বলেন, আমি আবু উবাদা ইবনু আব্দুল্লাহকে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে কোন হাদীস বর্ণনা করেছে? তিনি বললেন, না।
আবু ঈসা বলেন আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রাহমান দারিমীকে প্রশ্ন করলাম, আবু ইসহাকের সূত্রে বর্ণিত এসব রিওয়াতের মধ্যে কোনটি সর্বাধিক সহীহ? তিনি এর কোন জবাব দিতে পারেননি। আমি এ সম্পর্কে মুহাম্মাদকে (বুখারী) প্রশ্ন করলাম। তিনিও এর কোন জবাব দেননি। আবু ইসহাকের সূত্রে যুহাইর হতে বর্ণিত হাদীসকে তিনি বেশি সহীহ বলে গ্রহণ করেছেন এবং সহীহ বুখারীতে তা সংকলন করেছেন।
আবু ঈসা বলেনঃ আমার মতে ইসহাকের সূত্রে ইসরাঈল ও কাইস হতে বর্ণিত হাদীস সবচাইতে সহীহ। কেননা আবু ইসহাক হতে বর্ণিত হাদীসসমূহ স্মরণ রাখার ব্যাপারে ইসরাঈল অন্যদের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য এবং সুপরিচিত রাবী। তাছাড়া কাইস ইবনু রাবী’ও তার অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু ঈসা বলেনঃ আমি আবু মূসা মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্নাকে বলতে শুনেছি; তিনি বলেন, আমি আব্দুর রহমান ইবনু মাহদীকে বলতে শুনেছি, আবূ ইসহাক হতে সুফিয়ানের যে সমস্ত হাদীসের ক্ষেত্রে আমি ইসরাঈলের উপর নির্ভর করেছি সেক্ষেত্রে আমি অনেক হাদীস হারিয়ে ফেলেছি। কেননা সুফিয়ানের বর্ণনা অধিক পরিপূর্ণ।
আবু ঈসা বলেনঃ আবু ইসহাকের সূত্রে যুহাইরের বর্ণনা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। কেননা তিনি তার নিকট শেষ বয়সে হাদীস শুনেছেন। ইবনু হাম্বল বলেন, তুমি যদি যায়িদা ও যুহাইরের নিকট হাদীস শুনে থাক তাহলে অন্যের নিকট তা শুনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তুমি যদি যুহাইরকে আবূ ইসহাকের হাদীস বর্ণনা করতে শুন তাহলে তা অন্যের নিকট জিজ্ঞেস করে নিও। আবু ইসহাকের নাম ’আমর ইবনু আবদিল্লাহ সাবিয়ী হামদানী। আবু উবাইদা ইবনু আবদিল্লাহ ইবনি মাসউদ তার পিতার নিকটে কোন হাদীস শুনেননি। তার আসল নামও জানা যায়নি।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِهِ فَقَالَ " الْتَمِسْ لِي ثَلاَثَةَ أَحْجَارٍ " . قَالَ فَأَتَيْتُهُ بِحَجَرَيْنِ وَرَوْثَةٍ فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ وَقَالَ " إِنَّهَا رِكْسٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ . وَرَوَى مَعْمَرٌ وَعَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ اضْطِرَابٌ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ .
Abdullah said:
"Allah's Messenger went out to relieve himself. So he said: 'Bring me tree stones.'" He said, "So I came with two stones and a piece of dung. So he took the two stones, and left the dung. He said: 'It is Riks (a degenerative or filthy thing)."
পরিচ্ছেদঃ ১৪. যেসব বস্তু দিয়ে ইস্তিনজা করা মাকরূহ
১৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা শুকনা গোবর দিয়ে আর হাড় দিয়ে ইস্তিনজা করবে না। কেননা এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাদ্য। —সহীহ। আল-ইরওয়া— (৪৬), মিশকাত(৩৫০), যঈফাহ– (১০৩৮) এর অধীনে।
এ অনুচ্ছেদে আবু হুরাইরা, সালমান, জাবির ও ইবনু উমার (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম ও অন্যরা দাউদ ইবনু আবী হিনদের সূত্রে, তিনি শাবী হতে, তিনি আলকামা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (আবদুল্লাহ) জ্বিনদের রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু "আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। হাদীসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। শা’বী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা শুকনা গোবর অথবা হাড় দিয়ে ইস্তিনজা কর না। কেননা এটা তোমাদের ভাই জিনদের খাদ্য।”
হাফস ইবনু গিয়াসের বর্ণনা হতে ইসমাঈলের বর্ণনা বেশি সহীহ। এ হাদীসের উপরই মনীষীরা আমল করেন (গোবর ও হাড় দিয়ে শৌচ করেন না)। এ অনুচ্ছেদে জাবির ও ইবনু উমর (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسْتَنْجُوا بِالرَّوْثِ وَلاَ بِالْعِظَامِ فَإِنَّهُ زَادُ إِخْوَانِكُمْ مِنَ الْجِنِّ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسَلْمَانَ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرُهُ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ - الْحَدِيثَ بِطُولِهِ - فَقَالَ الشَّعْبِيُّ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَسْتَنْجُوا بِالرَّوْثِ وَلاَ بِالْعِظَامِ فَإِنَّهُ زَادُ إِخْوَانِكُمْ مِنَ الْجِنِّ " . وَكَأَنَّ رِوَايَةَ إِسْمَاعِيلَ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما .
Abdullah bin Mas'ud narrated that :
Allah's Messenger said: "Do not perform Istinja, with dung, nor with bones. For indeed it is provisions for your brothers among the Jinn."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. পানি দিয়ে ইস্তিনজা করা
১৯। আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি (মহিলাদের) বললেন, তোমরা তোমাদের স্বামীদের পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার নির্দেশ দাও। আমি (স্ত্রীলোক হিসাবে) তাদের (এ নির্দেশ দিতে) লজ্জাবোধ করছি। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও পানি দিয়ে ইস্তিনজা করতেন। -সহীহ। ইরওয়া- (৪২)।
এ অনুচ্ছেদে জারীর ইবনু আবদিল্লাহ আল-বাজালী, আনাস ও আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মনীষীগণ এ হাদীসের উপরই আমল করেন। তারা পানি দিয়ে ইস্তিনজা করা পছন্দ করেন, যদিও তাদের মতে চিলা দ্বারা ইস্তিনজা করলেই যথেষ্ট। তারা সবাই পানি দ্বারা ইস্তিনজা করা উত্তম বলেছেন। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বল ও ইসহাক এ মতই সঠিক মনে করেন।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَسْتَطِيبُوا، بِالْمَاءِ فَإِنِّي أَسْتَحْيِيهِمْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُهُ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ وَإِنْ كَانَ الاِسْتِنْجَاءُ بِالْحِجَارَةِ يُجْزِئُ عِنْدَهُمْ فَإِنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ وَرَأَوْهُ أَفْضَلَ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Aishah said:
"Encourage your Husbands to clean themselves with water, for I am too shy of them, and Allah's Messenger would do that."
পরিচ্ছেদঃ ১৬. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পায়খানার বেগ হলে তিনি দূরে চলে যেতেন
২০। মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামের মলত্যাগের প্রয়োজন হলে তিনি অনেক দূরে চলে গেলেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৩৩০১)।
এ অনুচ্ছেদে আবদুর রাহমান ইবনু আবী কুরাদ, আবু ক্বাতাদা, জাবির, উবাইদ, আবু মূসা, ইবনু আব্বাস ও বিলাল ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসও রয়েছে। আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে আরো বর্ণিত আছেঃ তিনি সফরে থাকার সময় যেমন আশ্রয়স্থল খুঁজতেন তেমনি পেশাবের জন্য নরম জায়গা খুঁজতেন। আবূ সালামার নাম আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দর রহমান ইবনি আউফ আয্-যুহরী।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَاجَتَهُ فَأَبْعَدَ فِي الْمَذْهَبِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي قُرَادٍ وَأَبِي قَتَادَةَ وَجَابِرٍ وَيَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَبِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُرْوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَرْتَادُ لِبَوْلِهِ مَكَانًا كَمَا يَرْتَادُ مَنْزِلاً . وَأَبُو سَلَمَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ .
Al-Mughirah bin Shu'bah said:
I was with the Prophet on a journey. The Prophet had to relieve himself, so he went far away."