সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه)
৬৪৭১

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌ তা’আলার বাণীঃ তবে তার জন্য নয় (যাকে সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়। কিন্তু তার চিত্ত বিশ্বাসে অবিচলিত। আর যে সত্য প্রত্যাখ্যানে হৃদয় উন্মুক্ত রাখল তার উপর আপতিত হবে আল্লাহ্‌র গযব... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (১৬ঃ ১০৬)। আল্লাহ্‌ বলেনঃ তবে যদি তোমরা তাদের নিকট হতে কোন ভয়ের আশংকা কর আর تقية ... একই অর্থ (৩ঃ ২৮)। আল্লাহ্‌ তা’আলা আরো বলেন, যারা নিজেদের উপর জুলম করে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশ্তাগণ বলে, তোমরা কি অবস্থায় ছিলে। তারা বলে, দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম। তারা বলে, তোমরা নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করতে পারতে আল্লাহ্‌র দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না? ... আল্লাহ্‌ পাপ মোচনকারী ও ক্ষমাশীল পর্যন্ত (৪ঃ ৯৭-৯৯)। আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন এবং অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য? যারা বলে ... সহায় পর্যন্ত। (৪ঃ ৭৫) আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্‌ অসহায়দেরকে ক্ষমার্হ বলে চিহ্নিত করেছেন। যারা আল্লাহ্‌র নির্দেশসমূহ পরিত্যাগ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। আর বল প্রয়োগকৃত ব্যক্তি এমনই অসহায় হয় যে, সে ঐ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে না, যার নির্দেশ তাকে দেওয়া হয়েছে। হাসান (রহঃ) বলেন, তকিয়া কিয়ামত পর্যন্ত অবধারিত। ইবন আব্বাস (রাঃ) ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, যাকে জালিমরা বাধ্য করার দরুন সে তালাক প্রদান করে ফেলে তা কিছুই নয়। ইবন উমর (রাঃ), ইবন যুবায়র (রাঃ) শা’বী (রহঃ) এবং হাসান (রহঃ) ও এ মত পোষণ করেন। আর নবী (সাঃ) বলেছেন, সকল কাজই নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত

৬৪৭১। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে দোয়া করতেনঃ হে আল্লাহ! আইয়াশ ইবনু আবু বারীআ, সালামা ইবনু হিশাম, ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে নাজাত দাও। হে আল্লাহ! অসহায় মুমিনদেরকে নাজাত দাও। হে আল্লাহ! মুযার গোত্রের উপর তোমার পাঞ্জা কঠোর করে নাও এবং তাদের ওপর ইউসুফের দুর্ভিক্ষের বছর সমুহের ন্যায় বছর চাপিয়ে দাও।

اب وقول الله تعالى إلا من أكره وقلبه مطمئن بالإيمان ولكن من شرح بالكفر صدرا فعليهم غضب من الله ولهم عذاب عظيم وقال إلا أن تتقوا منهم تقاة وهي تقية وقال إن الذين توفاهم الملائكة ظالمي أنفسهم قالوا فيم كنتم قالوا كنا مستضعفين في الأرض إلى قوله عفوا غفورا وقال والمستضعفين من الرجال والنساء والولدان الذين يقولون ربنا أخرجنا من هذه القرية الظالم أهلها واجعل لنا من لدنك وليا واجعل لنا من لدنك نصيرا فعذر الله المستضعفين الذين لا يمتنعون من ترك ما أمر الله به والمكره لا يكون إلا مستضعفا غير ممتنع من فعل ما أمر به وقال الحسن التقية إلى يوم القيامة وقال ابن عباس فيمن يكرهه اللصوص فيطلق ليس بشيء وبه قال ابن عمر وابن الزبير والشعبي والحسن وقال النبي صلى الله عليه وسلم الأعمال بالنية

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أُسَامَةَ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو فِي الصَّلاَةِ ‏ "‏ اللَّهُمَّ أَنْجِ عَيَّاشَ بْنَ أَبِي رَبِيعَةَ، وَسَلَمَةَ بْنَ هِشَامٍ، وَالْوَلِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ، اللَّهُمَّ أَنْجِ الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ، اللَّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلَى مُضَرَ، وَابْعَثْ عَلَيْهِمْ سِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ ‏"‏‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، حدثنا الليث، عن خالد بن يزيد، عن سعيد بن ابي هلال، عن هلال بن اسامة، ان ابا سلمة بن عبد الرحمن، اخبره عن ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يدعو في الصلاة ‏ "‏ اللهم انج عياش بن ابي ربيعة، وسلمة بن هشام، والوليد بن الوليد، اللهم انج المستضعفين من المومنين، اللهم اشدد وطاتك على مضر، وابعث عليهم سنين كسني يوسف ‏"‏‏.‏


Narrated Abi Huraira:

The Prophet (ﷺ) used to invoke Allah in his prayer, "O Allah! Save `Aiyash bin Abi Rabi`a and Salama bin Hisham and Al-Walid bin Al-Walid; O Allah! Save the weak among the believers; O Allah! Be hard upon the tribe of Mudar and inflict years (of famine) upon them like the (famine) years of Joseph."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭২

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৭. যে ব্যক্তি কুফরি কবূল করার পরিবর্তে দৈহিক নির্যাতন, নিহত ও লাঞ্ছিত হওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়

৬৪৭২। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হাওশাব তায়েফী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস এমন যার মধ্যে সেগুলো পাওয়া যাবে, সে ঈমানের স্বাদ পাবে। ১. আল্লাহ ও তার রাসুল তার কাছে অন্য সবকিছু থেকে প্রিয় হওয়া। ২. কাউকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য ভালবাসা। ৩. জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে যেভাবে অপছন্দ করে, তেমনি পুনরায় কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করাকে অপছন্দ করে।

باب مَنِ اخْتَارَ الضَّرْبَ وَالْقَتْلَ وَالْهَوَانَ عَلَى الْكُفْرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَوْشَبٍ الطَّائِفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ثَلاَثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلاَوَةَ الإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا، وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لاَ يُحِبُّهُ إِلاَّ لِلَّهِ، وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ، كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن حوشب الطاىفي، حدثنا عبد الوهاب، حدثنا ايوب، عن ابي قلابة، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ثلاث من كن فيه وجد حلاوة الايمان ان يكون الله ورسوله احب اليه مما سواهما، وان يحب المرء لا يحبه الا لله، وان يكره ان يعود في الكفر، كما يكره ان يقذف في النار ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever possesses the (following) three qualities will have the sweetness of faith (1): The one to whom Allah and His Apostle becomes dearer than anything else; (2) Who loves a person and he loves him only for Allah's Sake; (3) who hates to revert to atheism (disbelief) as he hates to be thrown into the Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৩

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৭. যে ব্যক্তি কুফরি কবূল করার পরিবর্তে দৈহিক নির্যাতন, নিহত ও লাঞ্ছিত হওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়

৬৪৭৩। সাঈদ ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনু যায়িদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি মনে করি উমর (রাঃ) এর কঠোরতা আমাকে ইসলামের উপর অনড় করে দিয়েছে। তোমরা উসমান (রাঃ) এর সাথে যা করেছ তাতে যদি উহুদ পাহাড় ফেটে যেত তা হলে তা সঙ্গতই হত।

باب مَنِ اخْتَارَ الضَّرْبَ وَالْقَتْلَ وَالْهَوَانَ عَلَى الْكُفْرِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، سَمِعْتُ قَيْسًا، سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ زَيْدٍ، يَقُولُ لَقَدْ رَأَيْتُنِي وَإِنَّ عُمَرَ مُوثِقِي عَلَى الإِسْلاَمِ، وَلَوِ انْقَضَّ أُحُدٌ مِمَّا فَعَلْتُمْ بِعُثْمَانَ كَانَ مَحْقُوقًا أَنْ يَنْقَضَّ‏.‏

حدثنا سعيد بن سليمان، حدثنا عباد، عن اسماعيل، سمعت قيسا، سمعت سعيد بن زيد، يقول لقد رايتني وان عمر موثقي على الاسلام، ولو انقض احد مما فعلتم بعثمان كان محقوقا ان ينقض‏.‏


Narrated Qais:

I heard Sa`id bin Zaid saying, "I have seen myself tied and forced by `Umar to leave Islam (Before `Umar himself embraced Islam). And if the mountain of Uhud were to collapse for the evil which you people had done to `Uthman, then Uhud would have the right to do so."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৪

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৭. যে ব্যক্তি কুফরি কবূল করার পরিবর্তে দৈহিক নির্যাতন, নিহত ও লাঞ্ছিত হওয়াকে অগ্রাধিকার দেয়

৬৪৭৪। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... খাব্বাব ইবনু আরাত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন বিষয়ে অভিযোগ করলাম। তখন তিনি কা’বা ঘরের ছায়ায় তাঁর চাদরকে বালিশ বানিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম, (আমাদের জন্য কি) সাহায্য কামনা করবেন না? আমাদের জন্য কি দোয়া করবেন না? তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বেকার লোকদের মধ্যে এমন ব্যাক্তিও ছিল যাকে ধরে নিয়ে তার জন্য যমীনে গর্ত করাতে। তারপর করাত এনে মাথায় আঘাত হেনে দুই টুকরা করে ফেলা হত। লোহার শলাকা দিয়ে তার গোশত ও হাড্ডি খসানো হত। এতদসত্ত্বেও তাকে তার দ্বীন থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারত না। আল্লাহর কসম! এ দ্বীন অবশ্যই পূর্নতা লাভ করবে। এমন হবে যে সানআ থেকে হাযরামাওত পর্যন্ত ভ্রমণকারী ভ্রমণ করবে। অথচ সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে না এবং নিজের মেষপালের জন্য বাঘের ভয় থাকবে কিন্তু তোমরা তো তাড়াহুড়া করছ।

باب مَنِ اخْتَارَ الضَّرْبَ وَالْقَتْلَ وَالْهَوَانَ عَلَى الْكُفْرِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، عَنْ خَبَّابِ بْنِ الأَرَتِّ، قَالَ شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْدَةً لَهُ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ فَقُلْنَا أَلاَ تَسْتَنْصِرُ لَنَا أَلاَ تَدْعُو لَنَا‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ قَدْ كَانَ مَنْ قَبْلَكُمْ يُؤْخَذُ الرَّجُلُ فَيُحْفَرُ لَهُ فِي الأَرْضِ فَيُجْعَلُ فِيهَا، فَيُجَاءُ بِالْمِنْشَارِ فَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ فَيُجْعَلُ نِصْفَيْنِ، وَيُمَشَّطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ مَا دُونَ لَحْمِهِ وَعَظْمِهِ، فَمَا يَصُدُّهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ، وَاللَّهِ لَيَتِمَّنَّ هَذَا الأَمْرُ، حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ لاَ يَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ وَالذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن اسماعيل، حدثنا قيس، عن خباب بن الارت، قال شكونا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو متوسد بردة له في ظل الكعبة فقلنا الا تستنصر لنا الا تدعو لنا‏.‏ فقال ‏ "‏ قد كان من قبلكم يوخذ الرجل فيحفر له في الارض فيجعل فيها، فيجاء بالمنشار فيوضع على راسه فيجعل نصفين، ويمشط بامشاط الحديد ما دون لحمه وعظمه، فما يصده ذلك عن دينه، والله ليتمن هذا الامر، حتى يسير الراكب من صنعاء الى حضرموت لا يخاف الا الله والذىب على غنمه، ولكنكم تستعجلون ‏"‏‏.‏


Narrated Khabbab bin Al-Art:

We complained to Allah's Messenger (ﷺ) (about our state) while he was leaning against his sheet cloak in the shade of the Ka`ba. We said, "Will you ask Allah to help us? Will you invoke Allah for us?" He said, "Among those who were before you a (believer) used to be seized and, a pit used to be dug for him and then he used to be placed in it. Then a saw used to be brought and put on his head which would be split into two halves. His flesh might be combed with iron combs and removed from his bones, yet, all that did not cause him to revert from his religion. By Allah! This religion (Islam) will be completed (and triumph) till a rider (traveler) goes from San`a' (the capital of Yemen) to Hadramout fearing nobody except Allah and the wolf lest it should trouble his sheep, but you are impatient."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৫

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৮. জোরপূর্বক কাউকে দিয়ে তার নিজের সম্পদ বা অপরের সম্পদ বিক্রয় করানো

৬৪৭৫। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, একদা আমরা মসজিদে ছিলাম। হঠাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেনঃ তোমরা ইহুদীদের কাছে চল। আমি তাঁর সাথে বের হয়ে পড়লাম এবং বায়তুল-মিদরাস নামক শিক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পৌছলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাদেরকে সন্বোধন করে বললেনঃ হে ইহুদী সম্প্রদায়! তোমরা মুসলিম হয়ে যাও, নিরাপদ থাকবে। তারা বলল হে আবূল কাসিম! আপনি (আপনার দায়িত্ব) পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি বললেনঃ এটাই আমি চাই। তারপর দ্বিতীয়বার কথাটি বললেনঃ তারা বলল, হে আবূল কাসিম! আপনি পৌঁছে দিয়েছেন। এরপর তিনি তৃতীয়বার তা পুনরাবৃত্তি করলেন। আর বললেনঃ তোমরা জেনে রেখো যে, যমীন কেবল আল্লাহ ও তার রাসুলের। আমি তোমাদেরকে দেশান্তর করতে মনস্থ করেছি। তাই তোমাদের যার অস্থাবর সস্পত্তি রয়েছে, তা যেন সে বিক্রি করে নেয়। অন্যথায় জেনে রেখো, যমীন কেবল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের।

باب فِي بَيْعِ الْمُكْرَهِ وَنَحْوِهِ فِي الْحَقِّ وَغَيْرِهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ إِذْ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ انْطَلِقُوا إِلَى يَهُودَ ‏"‏‏.‏ فَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى جِئْنَا بَيْتَ الْمِدْرَاسِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَادَاهُمْ ‏"‏ يَا مَعْشَرَ يَهُودَ أَسْلِمُوا تَسْلَمُوا ‏"‏‏.‏ فَقَالُوا قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ ذَلِكَ أُرِيدُ ‏"‏، ثُمَّ قَالَهَا الثَّانِيَةَ‏.‏ فَقَالُوا قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ‏.‏ ثُمَّ قَالَ الثَّالِثَةَ فَقَالَ ‏"‏ اعْلَمُوا أَنَّ الأَرْضَ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ، وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُجْلِيَكُمْ، فَمَنْ وَجَدَ مِنْكُمْ بِمَالِهِ شَيْئًا فَلْيَبِعْهُ، وَإِلاَّ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا الأَرْضُ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد العزيز بن عبد الله، حدثنا الليث، عن سعيد المقبري، عن ابيه، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال بينما نحن في المسجد اذ خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ انطلقوا الى يهود ‏"‏‏.‏ فخرجنا معه حتى جىنا بيت المدراس فقام النبي صلى الله عليه وسلم فناداهم ‏"‏ يا معشر يهود اسلموا تسلموا ‏"‏‏.‏ فقالوا قد بلغت يا ابا القاسم‏.‏ فقال ‏"‏ ذلك اريد ‏"‏، ثم قالها الثانية‏.‏ فقالوا قد بلغت يا ابا القاسم‏.‏ ثم قال الثالثة فقال ‏"‏ اعلموا ان الارض لله ورسوله، واني اريد ان اجليكم، فمن وجد منكم بماله شيىا فليبعه، والا فاعلموا انما الارض لله ورسوله ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

While we were in the mosque, Allah's Messenger (ﷺ) came out to us and said, "Let us proceed to the Jews." So we went along with him till we reached Bait-al-Midras (a place where the Torah used to be recited and all the Jews of the town used to gather). The Prophet (ﷺ) stood up and addressed them, "O Assembly of Jews! Embrace Islam and you will be safe!" The Jews replied, "O Aba-l-Qasim! You have conveyed Allah's message to us." The Prophet (ﷺ) said, "That is what I want (from you)." He repeated his first statement for the second time, and they said, "You have conveyed Allah's message, O Aba-l- Qasim." Then he said it for the third time and added, "You should Know that the earth belongs to Allah and His Apostle, and I want to exile you fro,,, this land, so whoever among you owns some property, can sell it, otherwise you should know that the Earth belongs to Allah and His Apostle."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৬

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৯. বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তির বিয়ে জায়েয হয় না। আল্লাহ্‌ বলেন, তোমরা দাসীগণকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২৪ঃ ৩৩)

৬৪৭৬। ইয়াহইয়াহ ইবনু কাযাআ (রহঃ) ... খানসা বিনত খিযাম আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাকে তার পিতা (অনুমতি ব্যতীত) বিয়ে দিলেন। আর সে ছিল বিধবা। কিন্তু এ বিয়ে তার পছন্দ হল না। তাই সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে জানাল। ফলে তিনি তার এ বিয়ে রদ (বাতিল) করে দিলেন।

باب لاَ يَجُوزُ نِكَاحُ الْمُكْرَهِ {وَلاَ تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَنْ يُكْرِهْهُنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِنْ بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَحِيمٌ}

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُجَمِّعٍ، ابْنَىْ يَزِيدَ بْنِ جَارِيَةَ الأَنْصَارِيِّ عَنْ خَنْسَاءَ بِنْتِ خِذَامٍ الأَنْصَارِيَّةِ، أَنَّ أَبَاهَا، زَوَّجَهَا وَهْىَ ثَيِّبٌ، فَكَرِهَتْ ذَلِكَ، فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ نِكَاحَهَا‏.‏

حدثنا يحيى بن قزعة، حدثنا مالك، عن عبد الرحمن بن القاسم، عن ابيه، عن عبد الرحمن، ومجمع، ابنى يزيد بن جارية الانصاري عن خنساء بنت خذام الانصارية، ان اباها، زوجها وهى ثيب، فكرهت ذلك، فاتت النبي صلى الله عليه وسلم فرد نكاحها‏.‏


Narrated Khansa' bint Khidam Al-Ansariya:

That her father gave her in marriage when she was a matron and she disliked that marriage. So she came and (complained) to the Prophets and he declared that marriage invalid.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৭

পরিচ্ছেদঃ ২৯০৯. বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তির বিয়ে জায়েয হয় না। আল্লাহ্‌ বলেন, তোমরা দাসীগণকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত (২৪ঃ ৩৩)

৬৪৭৭। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! মহিলাদের বিয়ে দিতে তাদের অনুমতি নিতে হবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি বললাম, কুমারীর কাছে অনুমতি চাইলে তো লজ্জাবোধ করে; ফলে চুপ থাকে। তিনি বললেনঃ তার নীরবতাই তার অনুমতি।

باب لاَ يَجُوزُ نِكَاحُ الْمُكْرَهِ {وَلاَ تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاءِ إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَنْ يُكْرِهْهُنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِنْ بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَحِيمٌ}

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو ـ هُوَ ذَكْوَانُ ـ عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يُسْتَأْمَرُ النِّسَاءُ فِي أَبْضَاعِهِنَّ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَإِنَّ الْبِكْرَ تُسْتَأْمَرُ فَتَسْتَحِي فَتَسْكُتُ‏.‏ قَالَ ‏"‏ سُكَاتُهَا إِذْنُهَا ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن يوسف، حدثنا سفيان، عن ابن جريج، عن ابن ابي مليكة، عن ابي عمرو ـ هو ذكوان ـ عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ قالت قلت يا رسول الله يستامر النساء في ابضاعهن قال ‏"‏ نعم ‏"‏‏.‏ قلت فان البكر تستامر فتستحي فتسكت‏.‏ قال ‏"‏ سكاتها اذنها ‏"‏‏.‏


Narrated `Aisha:

I asked the Prophet, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Should the women be asked for their consent to their marriage?" He said, "Yes." I said, "A virgin, if asked, feels shy and keeps quiet." He said, "Her silence means her consent."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৮

পরিচ্ছেদঃ ২৯১০. কাউকে যদি বাধ্য করা হয়, যার ফলে সে গোলাম দান করে ফেলে অথবা বিক্রি করে দেয় তবে তা কার্যকর হবে না। কেউ কেউ অনুরূপ রায় পোষণ করেন। অপর দিকে তার মতে ক্রেতা যদি এতে কিছু মানত করে তাহলে তা কার্যকর হবে। অনুরূপ তাকে যদি মুদাব্বর বানিয়ে নেয় তাহলে তা কার্যকর হবে

৬৪৭৮। আবু নু’মান (রহঃ) ... জাবিব (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক আনসারী ব্যাক্তি তার এক গোলাম মুদাববর বানিয়ে দেয়। অথচ তার এ ছাড়া অন্য কোন মাল ছিল না। এ সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌছলে তিনি বললেনঃ কে আমার কাছ থেকে এ গোলাম ক্রয় করবে? নূআয়ম ইবনু নাহহাম (রাঃ) আটশ’ দিরহামের বিনিময়ে তাকে ক্রয় করলেন। রাবী বলেন আমি জাবির (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, ঐ গোলামটি কিবতী গোলাম ছিল এবং (ক্রয়ের) প্রথম বছরই মারা যায়।

باب إِذَا أُكْرِهَ حَتَّى وَهَبَ عَبْدًا أَوْ بَاعَهُ لَمْ يَجُزْ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ فَإِنْ نَذَرَ الْمُشْتَرِي فِيهِ نَذْرًا، فَهْوَ جَائِزٌ بِزَعْمِهِ، وَكَذَلِكَ إِنْ دَبَّرَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ دَبَّرَ مَمْلُوكًا، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي ‏"‏‏.‏ فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ النَّحَّامِ بِثَمَانِمِائَةِ دِرْهَمٍ‏.‏ قَالَ فَسَمِعْتُ جَابِرًا يَقُولُ عَبْدًا قِبْطِيًّا مَاتَ عَامَ أَوَّلَ‏.‏

حدثنا ابو النعمان، حدثنا حماد بن زيد، عن عمرو بن دينار، عن جابر ـ رضى الله عنه ـ ان رجلا، من الانصار دبر مملوكا، ولم يكن له مال غيره، فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ من يشتريه مني ‏"‏‏.‏ فاشتراه نعيم بن النحام بثمانماىة درهم‏.‏ قال فسمعت جابرا يقول عبدا قبطيا مات عام اول‏.‏


Narrated Jabir:

A man from the Ansar made his slave, a Mudabbar. And apart from that slave he did not have any other property. This news reached Allah's Messenger (ﷺ) and he said, "Who will buy that slave from me?" So Nu'aim bin An-Nahham bought him for 800 Dirham. Jabir added: It was a coptic (Egyptian) slave who died that year.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৭৯

পরিচ্ছেদঃ ২৯১১. ‘ইকরাহ’ (বাধ্যকরণ) শব্দ থেকে কারহান ও কুরহান নির্গত, উভয়টির অর্থ অভিন্ন

৬৪৭৯। হুসাইন ইবনু মানসূর (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এ আয়াতঃ হে মু’মিনগণ! নারীদেরকে জবরদস্তিভাবে তোমাদের উত্তরাধিকার মনে করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়- আয়াতের শেষ পর্যন্ত- এর ব্যাখ্যায় বলেন, তাদের রীতি ছিল, যখন কোন ব্যাক্তি মারা যেত তখন তার অভিভাবকগণই তার স্ত্রীর ব্যাপারে অধিক হকদার বলে মনে করত। ইচ্ছা করলে তাদের মধ্যে কেউ তাকে বিয়ে করত, ইচ্ছা করলে তাকে (অন্যত্র) বিয়ে দিত, আর ইচ্ছা করলে তাকে বিয়ে দিত না। তারাই স্ত্রীর অভিভাবকদের তুলনায় নিজেদের কে অধিক হকদার বলে মনে করত। এ ব্যাপারে উক্ত আয়াত নাযিল হয়।

باب مِنَ الإِكْرَاهِ‏‏ كَرْهٌ وَكُرْهٌ وَاحِدٌ

حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، سُلَيْمَانُ بْنُ فَيْرُوزَ عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،‏.‏ قَالَ الشَّيْبَانِيُّ وَحَدَّثَنِي عَطَاءٌ أَبُو الْحَسَنِ السُّوَائِيُّ،، وَلاَ أَظُنُّهُ إِلاَّ ذَكَرَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ ‏(‏يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَرِثُوا النِّسَاءَ كَرْهًا‏)‏ الآيَةَ قَالَ كَانُوا إِذَا مَاتَ الرَّجُلُ كَانَ أَوْلِيَاؤُهُ أَحَقَّ بِامْرَأَتِهِ، إِنْ شَاءَ بَعْضُهُمْ تَزَوَّجَهَا، وَإِنْ شَاءُوا زَوَّجَهَا، وَإِنْ شَاءُوا لَمْ يُزَوِّجْهَا، فَهُمْ أَحَقُّ بِهَا مِنْ أَهْلِهَا، فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي ذَلِكَ‏.‏

حدثنا حسين بن منصور، حدثنا اسباط بن محمد، حدثنا الشيباني، سليمان بن فيروز عن عكرمة، عن ابن عباس،‏.‏ قال الشيباني وحدثني عطاء ابو الحسن السواىي،، ولا اظنه الا ذكره عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ ‏(‏يا ايها الذين امنوا لا يحل لكم ان ترثوا النساء كرها‏)‏ الاية قال كانوا اذا مات الرجل كان اولياوه احق بامراته، ان شاء بعضهم تزوجها، وان شاءوا زوجها، وان شاءوا لم يزوجها، فهم احق بها من اهلها، فنزلت هذه الاية في ذلك‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

Regarding the Qur'anic Verse: 'O you who believe! You are forbidden to inherit women against their will.' (4.19) The custom (in the Pre-lslamic Period) was that if a man died, his relatives used to have the right to inherit his wife, and if one of them wished, he could marry her, or they could marry her to somebody else, or prevent her from marrying if they wished, for they had more right to dispose of her than her own relatives. Therefore this Verse was revealed concerning this matter.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ২৯১২. যখন কোন মহিলাকে ব্যভিচারে বাধ্য করা হয় তখন তার উপর কোন ‘হদ’ আসে না। কেননা, আল্লাহ বলেন, তবে কেউ যদি তাদেরকে বাধ্য করে সে ক্ষেত্রে জবরদস্তির উপর আল্লাহতো তাদের প্রতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (২৪ঃ ৩৩)

লায়স (র.) নাফি' (র.)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, সাফিয়্যা বিন্‌ত আবূ উবাইদ তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে প্রাপ্ত একটি দাসীর সাথে জবরদস্তিমূলকভাবে যিনা করে। এমন কি তার কুমারীত্ব টুটে দেয়। উমর (রা.) উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন। কিন্তু দাসীটিকে সে বাধ্য করেছিল বলে কশাঘাত করলেন না। যুহরী (র.) কুমারী দাসীর ব্যাপারে বলেন, যার কুমারীত্ব কোন আযাদ ব্যক্তি ছিন্ন করে ফেলল, বিচারক ঐ কুমারী দাসীর মূল্য অনুপাতে তার জন্য ঐ আযাদ ব্যক্তির নিকট হতে কুমারীত্ব টুটে ফেলার দিয়াত গ্রহণ করবেন এবং ওকে কশাঘাত করবেন। আর বিবাহিতা দাসীর ক্ষেত্রে ইমামদের সিদ্ধান্ত অনুসারে কোন জরিমানা নেই। তবে তার উপর ‘হদ' কার্যকর হবে নেই।


৬৪৮০। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ’সারা’ (আলাইহিস সালাম) কে নিয়ে হিজরত করে এমন এক জনপদে উপনীত হলেন, যেখানে একজন স্বৈরাচার বাদশা ছিল। সে তাঁকে বলে পাঠাল যে, যেন তিনি ’সারা’ কে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। তিনি তাকে পাঠিয়ে দিলেন। সে “সারার” দিকে অগ্রসর হতে লাগল। অপর দিকে “সারা” উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে লাগলেন। আর বললেন, হে আল্লাহ্! আমি যদি তোমার ও তোমার রাসূলের প্রতি ঈমান এনে থাকি তাহলে আমার উপর ঐ কাফেরকে কর্তৃত্ব প্রদান করো না। ফলে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে (মাটিতে পড়ে) গোড়ালী দিয়ে ঘষর্ণ করতে লাগল।

باب إِذَا اسْتُكْرِهَتِ الْمَرْأَةُ عَلَى الزِّنَا، فَلاَ حَدَّ عَلَيْهَا فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمَنْ يُكْرِهْهُنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِنْ بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَحِيمٌ}

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي نَافِعٌ أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ أَبِي عُبَيْدٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ عَبْدًا مِنْ رَقِيقِ الإِمَارَةِ وَقَعَ عَلَى وَلِيدَةٍ مِنْ الْخُمُسِ فَاسْتَكْرَهَهَا حَتَّى اقْتَضَّهَا فَجَلَدَهُ عُمَرُ الْحَدَّ وَنَفَاهُ وَلَمْ يَجْلِدْ الْوَلِيدَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ اسْتَكْرَهَهَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي الأَمَةِ الْبِكْرِ يَفْتَرِعُهَا الْحُرُّ يُقِيمُ ذَلِكَ الْحَكَمُ مِنْ الأَمَةِ الْعَذْرَاءِ بِقَدْرِ قِيمَتِهَا وَيُجْلَدُ وَلَيْسَ فِي الأَمَةِ الثَّيِّبِ فِي قَضَاءِ الأَئِمَّةِ غُرْمٌ وَلَكِنْ عَلَيْهِ الْحَدُّ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هَاجَرَ إِبْرَاهِيمُ بِسَارَةَ، دَخَلَ بِهَا قَرْيَةً فِيهَا مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ أَوْ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ أَنْ أَرْسِلْ إِلَىَّ بِهَا‏.‏ فَأَرْسَلَ بِهَا، فَقَامَ إِلَيْهَا فَقَامَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّي فَقَالَتِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ فَلاَ تُسَلِّطْ عَلَىَّ الْكَافِرَ، فَغُطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ ‏"‏‏.‏

وقال الليث حدثني نافع ان صفية بنت ابي عبيد اخبرته ان عبدا من رقيق الامارة وقع على وليدة من الخمس فاستكرهها حتى اقتضها فجلده عمر الحد ونفاه ولم يجلد الوليدة من اجل انه استكرهها قال الزهري في الامة البكر يفترعها الحر يقيم ذلك الحكم من الامة العذراء بقدر قيمتها ويجلد وليس في الامة الثيب في قضاء الاىمة غرم ولكن عليه الحد حدثنا ابو اليمان، حدثنا شعيب، حدثنا ابو الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هاجر ابراهيم بسارة، دخل بها قرية فيها ملك من الملوك او جبار من الجبابرة، فارسل اليه ان ارسل الى بها‏.‏ فارسل بها، فقام اليها فقامت توضا وتصلي فقالت اللهم ان كنت امنت بك وبرسولك فلا تسلط على الكافر، فغط حتى ركض برجله ‏"‏‏.‏


And Safiyya bint 'Ubaid said:
"A governmental male-slave tried to seduce a slave-girl from the Khumus of the war booty till he deflowered her by force against her will; therefore 'Umar flogged him according to the law, and exiled him, but he did not flog the female slave because the male-slave had committed illegal sexual intercourse by force, against her will." Az-Zuhri said regarding a virgin slave-girl raped by a free man: The judge has to fine the adulterer as much money as is equal to the price of the female slave and the adulterer has to be flogged (according to the Islamic Law); but if the slave woman is a matron, then, according to the verdict of the Imam, the adulterer is not fined but he has to receive the legal punishment (according to the Islamic Law).


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "(The Prophet) Abraham migrated with his wife Sarah till he reached a town where there was a king or a tyrant who sent a message, to Abraham, ordering him to send Sarah to him. So when Abraham had sent Sarah, the tyrant got up, intending to do evil with her, but she got up and performed ablution and prayed and said, 'O Allah ! If I have believed in You and in Your Apostle, then do not empower this oppressor over me.' So he (the king) had an epileptic fit and started moving his legs violently. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৮১

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৩. যখন কোন ব্যক্তি তার সঙ্গীর ব্যাপারে নিহত হওয়া বা অনুরূপ কিছুর আশঙ্কা করে তখন (তার কল্যাণার্থে) কসম করা যে, সে তার ভাই। অনুরূপভাবে যে কোন বল প্রয়োগকৃতব্যক্তির ব্যাপারে যখন কোন প্রকার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেননা, এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করবে। তার জন্য লড়াই করবে, তাকে লাঞ্ছিত করবে না। যদি সে মজলুমের জন্যে লাড়াই করে তাহলে তার উপর কোন ‘হদ’ বা কিসাস নেই। যদি কাউকে বলা হয় তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অথবা তোমাকে দাসকে বিক্রি করতে হবে অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে বা অনুরূপভাবে যে কোন চুক্তির কথা বলা হয়। অন্যথায় আমরা তোমার পিতাকে অথবা মুসলিম ভাইকে হত্যা করে ফেলব। তখন তার জন্য ঐসব কাজ করার অনুমতি আছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কেউ কেউ বলেন, যদি বলা হয়, তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অন্যথায় আমরা তোমার পুত্রকে বা তোমার পিতাকে বা তোমার কোন নিকট আত্মীয়কে হত্যা করে ফেলব, তখন তার জন্য এসব কাজ করার অনুমতি নেই। কেননা, সে নিরুপায় নয়। কেউ কেউ এর বিপরীত রায় ব্যক্ত করে বলেন, যদি তাকে বলা হয়, আমরা অবশ্যই তোমার পিতাকে বা তোমার পুত্রকে হত্যা করে ফেলব, না হয় তোমাকে ঔ গোলামটি বিক্রি করতে হবে, অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে, অথবা হেবা স্বীকার করতে হবে, তাহলে কিয়াসের দৃষ্টিতে তার জন্য তা জরুরী হয়ে যায়। তবে ইস্তিহসানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলি যে এ ক্ষেত্রে বিক্রি, দান বা যে কোন চুক্তি বাতিল গণ্য হবে। অতএব তারা কিতাব (কুরআন), সুন্নাহ ব্যাতিরেকেই নিকটাত্মীয় ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রভেদ করে নিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ ইবরাহীম (আঃ) তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে বলেছেন, ইনি আমার বোন। আর ওটি ছিল আল্লাহর ব্যাপারে (দীনের ভিত্তিতে)। নাখাঈ (র) বলেন, যে ব্যক্তি হলফ করায়, সে যদি অত্যাচারী হয় তা হলে হলফকারীর নিয়তই গ্রহণীয় হবে। আর যিদ সে মজলুম হয় তাহলে তার নিয়তই কার্যকর হবে।

৬৪৮১। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই, না সে তার প্রতি জুলুম করবে, না তাকে অন্যের হাওলা করবে। যে কেউ তার ভাইয়ের প্রয়োজন মেটাবে আল্লাহ্ তার প্রয়োজন মেটাবেন।

باب يَمِينِ الرَّجُلِ لِصَاحِبِهِ إِنَّهُ أَخُوهُ، إِذَا خَافَ عَلَيْهِ الْقَتْلَ أَوْ نَحْوَهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مُكْرَهٍ يَخَافُ، فَإِنَّهُ يَذُبُّ عَنْهُ الْمَظَالِمَ وَيُقَاتِلُ دُونَهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ، فَإِنْ قَاتَلَ دُونَ الْمَظْلُومِ فَلاَ قَوَدَ عَلَيْهِ وَلاَ قِصَاصَ، وَإِنْ قِيلَ لَهُ لَتَشْرَبَنَّ الْخَمْرَ، أَوْ لَتَأْكُلَنَّ الْمَيْتَةَ، أَوْ لَتَبِيعَنَّ عَبْدَكَ، أَوْ تُقِرُّ بِدَيْنٍ، أَوْ تَهَبُ هِبَةً وَتَحُلُّ عُقْدَةً، أَوْ لَنَقْتُلَنَّ أَبَاكَ أَوْ أَخَاكَ فِي الإِسْلاَمِ. وَسِعَهُ ذَلِكَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ». وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَوْ قِيلَ لَهُ لَتَشْرَبَنَّ الْخَمْرَ، أَوْ لَتَأْكُلَنَّ الْمَيْتَةَ، أَوْ لَنَقْتُلَنَّ ابْنَكَ أَوْ أَبَاكَ أَوْ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ، لَمْ يَسَعْهُ، لأَنَّ هَذَا لَيْسَ بِمُضْطَرٍّ. ثُمَّ نَاقَضَ فَقَالَ إِنْ قِيلَ لَهُ لَنَقْتُلَنَّ أَبَاكَ أَوِ ابْنَكَ، أَوْ لَتَبِيعَنَّ هَذَا الْعَبْدَ، أَوْ تُقِرُّ بِدَيْنٍ أَوْ تَهَبُ، يَلْزَمُهُ فِي الْقِيَاسِ، وَلَكِنَّا نَسْتَحْسِنُ وَنَقُولُ الْبَيْعُ وَالْهِبَةُ وَكُلُّ عُقْدَةٍ فِي ذَلِكَ بَاطِلٌ. فَرَّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي رَحِمٍ مُحَرَّمٍ وَغَيْرِهِ بِغَيْرِ كِتَابٍ وَلاَ سُنَّةٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاِمْرَأَتِهِ هَذِهِ أُخْتِي. وَذَلِكَ فِي اللَّهِ». وَقَالَ النَّخَعِيُّ إِذَا كَانَ الْمُسْتَحْلِفُ ظَالِمًا، فَنِيَّةُ الْحَالِفِ، وَإِنْ كَانَ مَظْلُومًا، فَنِيَّةُ الْمُسْتَحْلِفِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرِ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمًا، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، لاَ يَظْلِمُهُ، وَلاَ يُسْلِمُهُ، وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ، كَانَ اللَّهُ فِي حَاجَتِهِ ‏"‏‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، حدثنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، ان سالما، اخبره ان عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ اخبره ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ المسلم اخو المسلم، لا يظلمه، ولا يسلمه، ومن كان في حاجة اخيه، كان الله في حاجته ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "A Muslim is a brother of another Muslim. So he should neither oppress him nor hand him over to an oppressor. And whoever fulfilled the needs of his brother, Allah will fulfill his needs."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
৬৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৩. যখন কোন ব্যক্তি তার সঙ্গীর ব্যাপারে নিহত হওয়া বা অনুরূপ কিছুর আশঙ্কা করে তখন (তার কল্যাণার্থে) কসম করা যে, সে তার ভাই। অনুরূপভাবে যে কোন বল প্রয়োগকৃতব্যক্তির ব্যাপারে যখন কোন প্রকার আশঙ্কা দেখা দেয়। কেননা, এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে জালিমের হাত থেকে রক্ষা করবে। তার জন্য লড়াই করবে, তাকে লাঞ্ছিত করবে না। যদি সে মজলুমের জন্যে লাড়াই করে তাহলে তার উপর কোন ‘হদ’ বা কিসাস নেই। যদি কাউকে বলা হয় তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অথবা তোমাকে দাসকে বিক্রি করতে হবে অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে অথবা কিছু দান করতে হবে বা অনুরূপভাবে যে কোন চুক্তির কথা বলা হয়। অন্যথায় আমরা তোমার পিতাকে অথবা মুসলিম ভাইকে হত্যা করে ফেলব। তখন তার জন্য ঐসব কাজ করার অনুমতি আছে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। কেউ কেউ বলেন, যদি বলা হয়, তোমাকে অবশ্যই মদ পান করতে হবে, অথবা মৃতের গোশত খেতে হবে, অন্যথায় আমরা তোমার পুত্রকে বা তোমার পিতাকে বা তোমার কোন নিকট আত্মীয়কে হত্যা করে ফেলব, তখন তার জন্য এসব কাজ করার অনুমতি নেই। কেননা, সে নিরুপায় নয়। কেউ কেউ এর বিপরীত রায় ব্যক্ত করে বলেন, যদি তাকে বলা হয়, আমরা অবশ্যই তোমার পিতাকে বা তোমার পুত্রকে হত্যা করে ফেলব, না হয় তোমাকে ঔ গোলামটি বিক্রি করতে হবে, অথবা তোমাকে ঋণ স্বীকার করতে হবে, অথবা হেবা স্বীকার করতে হবে, তাহলে কিয়াসের দৃষ্টিতে তার জন্য তা জরুরী হয়ে যায়। তবে ইস্তিহসানের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলি যে এ ক্ষেত্রে বিক্রি, দান বা যে কোন চুক্তি বাতিল গণ্য হবে। অতএব তারা কিতাব (কুরআন), সুন্নাহ ব্যাতিরেকেই নিকটাত্মীয় ও আত্মীয়দের মধ্যে প্রভেদ করে নিল। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেনঃ ইবরাহীম (আঃ) তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে বলেছেন, ইনি আমার বোন। আর ওটি ছিল আল্লাহর ব্যাপারে (দীনের ভিত্তিতে)। নাখাঈ (র) বলেন, যে ব্যক্তি হলফ করায়, সে যদি অত্যাচারী হয় তা হলে হলফকারীর নিয়তই গ্রহণীয় হবে। আর যিদ সে মজলুম হয় তাহলে তার নিয়তই কার্যকর হবে।

৬৪৮২। মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রহীম (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমার ভাইকে সাহায্য কর। সে জালিম হোক অথবা মজলুম হোক। এক ব্যাক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মজলুম হলে তাকে সাহায্য করব, তা তো বোধ্যগম্য ব্যাপার। কিন্তু জালিম হলে তাকে সাহায্য করব, তা কিভাবে? তিনি বললেনঃ তাকে অত্যাচার থেকে বিরত রাখবে। আর এটাই হচ্ছে তার সাহায্য।

باب يَمِينِ الرَّجُلِ لِصَاحِبِهِ إِنَّهُ أَخُوهُ، إِذَا خَافَ عَلَيْهِ الْقَتْلَ أَوْ نَحْوَهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مُكْرَهٍ يَخَافُ، فَإِنَّهُ يَذُبُّ عَنْهُ الْمَظَالِمَ وَيُقَاتِلُ دُونَهُ وَلاَ يَخْذُلُهُ، فَإِنْ قَاتَلَ دُونَ الْمَظْلُومِ فَلاَ قَوَدَ عَلَيْهِ وَلاَ قِصَاصَ، وَإِنْ قِيلَ لَهُ لَتَشْرَبَنَّ الْخَمْرَ، أَوْ لَتَأْكُلَنَّ الْمَيْتَةَ، أَوْ لَتَبِيعَنَّ عَبْدَكَ، أَوْ تُقِرُّ بِدَيْنٍ، أَوْ تَهَبُ هِبَةً وَتَحُلُّ عُقْدَةً، أَوْ لَنَقْتُلَنَّ أَبَاكَ أَوْ أَخَاكَ فِي الإِسْلاَمِ. وَسِعَهُ ذَلِكَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ». وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَوْ قِيلَ لَهُ لَتَشْرَبَنَّ الْخَمْرَ، أَوْ لَتَأْكُلَنَّ الْمَيْتَةَ، أَوْ لَنَقْتُلَنَّ ابْنَكَ أَوْ أَبَاكَ أَوْ ذَا رَحِمٍ مَحْرَمٍ، لَمْ يَسَعْهُ، لأَنَّ هَذَا لَيْسَ بِمُضْطَرٍّ. ثُمَّ نَاقَضَ فَقَالَ إِنْ قِيلَ لَهُ لَنَقْتُلَنَّ أَبَاكَ أَوِ ابْنَكَ، أَوْ لَتَبِيعَنَّ هَذَا الْعَبْدَ، أَوْ تُقِرُّ بِدَيْنٍ أَوْ تَهَبُ، يَلْزَمُهُ فِي الْقِيَاسِ، وَلَكِنَّا نَسْتَحْسِنُ وَنَقُولُ الْبَيْعُ وَالْهِبَةُ وَكُلُّ عُقْدَةٍ فِي ذَلِكَ بَاطِلٌ. فَرَّقُوا بَيْنَ كُلِّ ذِي رَحِمٍ مُحَرَّمٍ وَغَيْرِهِ بِغَيْرِ كِتَابٍ وَلاَ سُنَّةٍ. وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ إِبْرَاهِيمُ لاِمْرَأَتِهِ هَذِهِ أُخْتِي. وَذَلِكَ فِي اللَّهِ». وَقَالَ النَّخَعِيُّ إِذَا كَانَ الْمُسْتَحْلِفُ ظَالِمًا، فَنِيَّةُ الْحَالِفِ، وَإِنْ كَانَ مَظْلُومًا، فَنِيَّةُ الْمُسْتَحْلِفِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا ‏"‏‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْصُرُهُ إِذَا كَانَ مَظْلُومًا، أَفَرَأَيْتَ إِذَا كَانَ ظَالِمًا كَيْفَ أَنْصُرُهُ قَالَ ‏"‏ تَحْجُزُهُ أَوْ تَمْنَعُهُ مِنَ الظُّلْمِ، فَإِنَّ ذَلِكَ نَصْرُهُ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الرحيم، حدثنا سعيد بن سليمان، حدثنا هشيم، اخبرنا عبيد الله بن ابي بكر بن انس، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انصر اخاك ظالما او مظلوما ‏"‏‏.‏ فقال رجل يا رسول الله انصره اذا كان مظلوما، افرايت اذا كان ظالما كيف انصره قال ‏"‏ تحجزه او تمنعه من الظلم، فان ذلك نصره ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Help your brother whether he is an oppressor or an oppressed," A man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I will help him if he is oppressed, but if he is an oppressor, how shall I help him?" The Prophet (ﷺ) said, "By preventing him from oppressing (others), for that is how to help him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৮/ বল-প্রয়োগে বাধ্য করা (كتاب الإكراه) 78/ Saying Something Under Compulsion (Ikraah)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১২ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে